আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

[রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে পারলে মানবিক জাতি হিসেবে ভালো বোধ করতাম, কিন্তু রাষ্ট্রকে অনেক সময় নিজের স্বার্থ রক্ষায় নিশ্চুপ থাকতে হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের না জড়িয়ে পড়ার কিছু কারণ-

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে পারলে মানবিক জাতি হিসেবে ভালো বোধ করতাম, কিন্তু রাষ্ট্রকে অনেক সময় নিজের স্বার্থ রক্ষায় নিশ্চুপ থাকতে হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের না জড়িয়ে পড়ার কিছু কারণ- -রোহিঙ্গা সম...স্যা এই নিয়ে আমরা তৃতীয়বার মোকাবেলা করছি, আ্যমনেস্টি আর জাতিসংঘের উচিত আমাদের উপদেশ না দিয়ে মিয়ানমারকে এই সমস্যা সমাধানে বাধ্য করা -এটি মিয়ানমারের বিষয়। এটিকে আবারো দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে পরিণত করতে দেয়া ঠিক হবে না। -অং সান সু চি সহ মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীরাই রোহিঙ্গাদের দেশে থাকতে দিতে রাজি না। সেনাবাহিনী তো নয়ই।

তাই তাদের আশ্রয় দিতে শুরু করলে সহিংসতা বেড়ে যেতে পারে, রাখাইন ও সেনারা এই সুযোগে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে বিপুল উৎসাহে সীমান্ত দিয়ে অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের চিরতরে বের করে দেয়ার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু তাদের অনুপ্রবেশে বাধা দিলে তারা নিজ সীমান্তের ভেতরেই থাকবে আর পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে মিয়ানমার সরকার বাধ্য হবে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া এক্ষেত্রে আরো বিপদজনক ও হিতে বিপরীত হয়ে উঠতে পারে তাদের জন্যেই। -এটি একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, স্বাধীনতা যুদ্ধ নয়। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দীর্ঘসময় ধরে চলে না, এম্নিতেই থিতিয়ে আসে।

আগামী সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো দাঙ্গা প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। -আমরা ঢাকাবাসী সুশীল সমাজ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলাফল ভোগ করবো না, যেটা করবে কক্সবাজার ও পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ। তাদের জিজ্ঞেস করুন…তারা কেউই আর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে রাজি নয়, গত কয়েক দশকে রোহিঙ্গারা সেখানে যেসব সামাজিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা তৈরি করেছে তার ফলসরূপ। সুতরাং আমরা মানবিক হতে গিয়ে তাদের উপর শরণার্থী সমস্যা চাপিয়ে দিতে পারি না। স্থানীয় জনগণের সিদ্ধান্ত এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

-অনেকেই ১৯৭১ সালে ভারতের আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার সাথে এই ঘটনা তুলনা করছেন। কিন্তু, প্রথমত ভারত আমাদের শুধু মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়নি, ভূ রাজনৈতিক স্বার্থ না থাকলে তারাও এই যুদ্ধে জড়াত না, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের এমন কোন স্বার্থ নেই। আমরা যদি চিরতরে ভারতেই থেকে যেতাম, যুদ্ধ না করতাম, তাহলে ভারত কখনোই আমাদের ঢুকতে দিত না…আমি নিশ্চিত। অথচ অধিকাংশ রোহিঙ্গার ফিরে যাবার ইচ্ছাই থাকে না, চিরকালীন শরণার্থী পালা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব না। -রোহিঙ্গা ইসুতে বাংলাদেশকে জড়ালে মিয়ানমারের অনেক লাভ।

সমুদ্র হারানোর পর এখন বাংলাদেশকে শরণার্থীর বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দেয়া যায়, নানা ইস্যুতে দর কষাকষি করা যায়। আর একবার লাখ লাখ রোহিঙ্গা তাড়িয়ে দেয়া গেলে তাদের ফিরিয়ে নেয়ার আগ্রহ যে তাদের সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে কারোরই নেই, এটিও প্রমাণিত। আর এই সংঘাত কেন্দ্র করে যে সেনাশাসকগণ মিয়ানমারে আবার গোল দিতে চাইবে না তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই এই খেলায় জড়ালে ফলাফল অনিশ্চিত……তবে বাংলাদেশের যে কোনই লাভ নেই তা নিশ্চিত। আবারো বলি, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে পারলে মানবিক জাতি হিসেবে হয়তো আমরা ভালো বোধ করতাম।

কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে রাজনীতি আর কূটনীতিতে মানবিকতা অনেকাংশেই অপ্রাসঙ্গিক! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.