আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাগাতার আন্দোলনে গার্মেন্টস শ্রমিকরা

আমার অহংকারে, অহংকারী হয়ে , উষ্ণতার আগুন মেখে, পোড়াও আমাকেই : অচেনা দহনে... নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাঁচার আশায় তৈরি পোষাক শিল্পের শ্রমিকরা আবারো রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। গত ১১ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত আন্দোলনে নামে সাভারের আশুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের লাখ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক। কার্যত শ্রমিকদের এই লাগাতার আন্দোলনে ফলে অচল হয়ে যায় এই দুটি গার্মেন্ট শিল্পাঞ্চল। শ্রমিকদের রাজপথ থেকে বিতাড়িত করতে পুলিশ বাহিনী বেপরোয়া হামলা চালায় শ্রমিকদের উপর। অনেক শ্রমিককে মালিকপক্ষের লোকেরা কারখানার ভেতরেই মারধর করে।

এসময় অন্তত হাজারখানেক শ্রমিক আহত হয়। পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, জলকামান আর লাঠিচার্জের জবাব দিতে কোথাও কোথাও শ্রমিকরাও ঢিল ছোঁড়ে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। গার্মেন্ট শ্রমিক সংগঠনগুলো শ্রমিকদের দাবিকে যৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। শ্রমিক নেতারা আরো বলেন, শ্রমিকদের বেঁচে থাকার মতো মুজুরির দাবি মেনে না হলে এ খাতে যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য মালিকরাই দায়ী থাকবেন। তবে তারা এও বলেন, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে মরিয়া তৃতীয় পক্ষ ও বিদেশি নানা শক্তি।

যারা দেশের গামেন্ট খাতকে ধ্বংস করার জন্য প্রতিদিন ষড়যন্ত্র করছে। গত ১৩ জুন সরকার-মালিক-শ্রমিকদের ত্রিপক্ষীয় এক বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেছে, এজন্য শ্রমিকরা দায়ী নয়। অন্য কেউ পরিকল্পিতভাবে এসব করছে। এর জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুও গত ১৪ জুন শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবির যৌক্তিকতা মেনে নেন।

এদিন তিনি বেতন বড়ানোর বিষয়টি মালিকদের বোঝাবেন এমন আশ্বাস দিয়ে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যায়ই শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবিকে নাকচ করে দিয়ে গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ বরং কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। ফলে আগামী দিনগুলোতে গার্মেন্ট শিল্পের পরিস্থিতি ঠিক কোনদিকে যাবে তা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছেই বলে মনে করেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। যেখান থেকে শুরু: জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো। কারখানাভিত্তিক এসব আন্দোলন কখনো কখনো মালিকপক্ষ তাদের পালিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে নির্যাতন করে দমিয়ে রাখত।

কখনো বা ছাঁটাইয়ের ভয় দেখিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করত। কিন্তু গত ১১ জুন ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি এ কে আজাদের মালিকানাধীন সাভারের আশুলিয়ার নরসিংহপুরে অবস্থিত আর্টিস্টিক ডিজাইন লিমিটেড কারখানার শ্রমকিরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও আশুলিয়ায় বাড়ি ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় বেতন দাবিতে আন্দোলনে নামে। পরে তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষন করে আশপাশের এলাকার শ্রমিকরাও রাজপথে নেমে পড়ে। সকল শ্রমিক একসাথে রাজপথে নেমে পরায় আন্দোলনের ব্যপকতা আরো বেড়ে যায়। পুলিশ মালিকদের পক্ষ নিয়ে শ্রমিকদের রাজপথ থেকে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য নির্যাতন চালালে শ্রমিকরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে, যার রেশ চারদিন ধরে চলে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

প্রথম দিন (১১ জুন) : প্রথমে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আর্টিস্টিক ডিজাইন লিমিটেডের শ্রমিকরা প্রথমে কারখানার ভিতরেই বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে কারাখানার কর্তৃপক্ষ তাদেরকে নানারকম ভয়ভীতি দেখায় এবং ছাঁটাইয়ের হুমকি দেয়। এনিয়ে বাকবিত-ার একপর্যায়ে শ্রমিকরা আশুলিয়া-টঙ্গী সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ এসে তাদের লাঠিপেটা করে রাজপথ থেকে উঠিয়ে দেয়। এসময় কয়েকশ শ্রমিক আহত হয়।

শ্রমিকরা প্রথমে পিছু হটে গেলেও তারা আবার রাজপথে ফিরে আসে। তখন অতিরিক্ত পুলিশও ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। শুরু পুলিশ ও শ্রমিকের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। গোটা এলাকায় তখন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একপর্যায়ে কয়েকটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় দিন (১২ জুন) : সকাল থেকেই শ্রমিকরা প্রথম দিনের মতো রাস্তায় নেমে আসলে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আশপাশের কারখানার শ্রমিকরাও রাস্তায় নামে। হা-মীম গ্রুপের আরেকটি প্রতিষ্ঠান এডিএল এর শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে। অল্প সময়ের মধ্যে স্থানীয় জিরানী বাজার, নরসিংহপুর, জিরাবো, ঘোষবাগ, জামগড়া, পুকুরপাড়, বাইপাইলসহ বিভিন্ন জায়গা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের হামলায় আহত হয় প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক।

পুলিশ টিয়ার সেল, জল কামান ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এদিন শতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। অর্টিস্টিক ডিজাইন লিমিটেড কারখানা মালিকপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। বিকালে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শ্রমমন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেন। এদিন কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

শ্রমিকদের কাজে যোগ আহ্বান জানানো হয় সভা থেকে। তৃতীয় দিন (১৩ জুন): সরকার ও মালিকপ আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের পোশাক শ্রমিকরা আবারো রাস্তায় নেমে আসে। তারা তাদের দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। সকাল থেকে প্রায় চারঘণ্টা ধরে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের লাগাতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসে প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক আহত হয়।

এসময় বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। একপর্যায়ে আশুলিয়া জোনের সব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ জানায়, অর্টিস্টিক কারখানার শ্রমিকরা সকালে কাজে এসে বন্ধের নোটিশ দেখে প্তি হয়ে ওঠে। এরপর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা নরসিংহপুর, জামগড়াসহ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে টায়ার ও কাঠ জড়ো করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।

ওইদিন বেলা ১০টার দিকে কয়েক হাজার শ্রমিক বাইপাইল এলাকায় জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে ঢাকা ইপিজেডের দিকে এগোতে থাকলে পুুলিশ জল কামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিন্তু শ্রমিকরা সেখান থেকে সরে গিয়ে জামগড়া, নরসিংহপুর ও সরকার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় র‌্যাব শ্রমিকদের মোকাবেলায় রাস্তায় নামে। এদিন আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন শ্রমিক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার বিকালে তাদের কাজের কথা বলে আর্টিস্টিক ডিজাইন কারখানায় নিয়ে মারধর করা হয়। এতে অন্তত ২৪ জন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হা-মীম গ্রুপের আশুলিয়া প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আলী ম-ল জানান, কারখানা বন্ধের খবর পেয়ে কিছু শ্রমিক মঙ্গলবার (১২ জুন) রাত ৮টার দিকে জোর করে কারখানায় ঢোকার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়। কমিটি গঠন: ১৩ জুন আশুলিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে মালিক ও শ্রমিক নেতাদের নিয়ে পুনরায় বৈঠক করেন শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন। এদিনের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পোশাক শিল্পে অসন্তোষকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় শ্রমিকরা জড়িত নয়। এতে অন্য কেউ জড়িত।

তাই এতে কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করতে ত্রিপীয় বৈঠকে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদকে। মন্ত্রী আরো বলেন, কারখানাগুলোতে কর্মরত কোনো শ্রমিক এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত নয়। এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। কারা এ ষড়যন্ত্রে জড়িত, তা জানা দরকার।

এজন্য বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। মন্ত্রী আরো বলেন, আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। দুই-একটি কারখানার সমস্যার জন্যই এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- শ্রমিকদের সমস্যা রয়েছে, এমন কারখানাগুলোতে সংকট ব্যবস্থাপনা কমিটির (সিএমসি) সদস্য ও শ্রমিক নেতারা কারখানা ফটকে সভা ( গেট মিটিং) করবেন।

এজন্য সকাল থেকেই শ্রমিক নেতারা ওই এলাকায় থাকবেন। এদিনে সভা শেষে বিজিএমইএ সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বলেন, কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে যাক, এটা আমরা কেউই চাই না। এতে দেশের তি, অর্থনীতির তি। চতুর্থ দিন (১৪ জুন): আলোচনার মাধ্যমে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও এদিনও শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে আশুলিয়ায়। তাদের এই দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে এদিন কাঁচপুরের শ্রমিকরাও রাস্তায় নেমে আসে।

সকালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতারা আশুলিয়া শিল্পঞ্চলে যান। এসময় শ্রমিক নেতারাও শ্রমিকদের পক্ষ হয়ে সেখানে যান। সেখানে তারা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। একপর্যায়ে আর্টিস্টিক ডিজাইন কারখানার মালিক এ কে আজাদ তার কারখানার শ্রমিকদের ইনক্রিমেন্ট বাড়ানোর কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্ধিত ইনিক্রিমেন্ট জুন থেকেই কার্যকর হবে।

আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার খরচও বহন করবে কারাখানা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চার দিনের আন্দোলনের সময় শ্রমিকদের কোনো বেতন কাটা হবে না। শ্রমিকদের নামে কোনো মামলা বা হয়রানী করা হবে না। বিজিএমইএ’র হুমকি: উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৪ জুন এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ মালিকদের সভায় শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে উল্টো মালিকরা কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। বিজিএমইএ সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, তারা শনি-রোববার (১৬ ও ১৭ জুন) আশুলিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

শ্রমিকরা আন্দোলনে থাকলে সেখানকার সব কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসময় সেখানে বিকেএমইএ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। আশুলিয়ার শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সংগঠনের নেতারা বলেন, শ্রমিকদের দাবি মেনে নিলে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নত হবে। শ্রমিকরা খেয়েপড়ে বাঁচার সুযোগ পেলে তারা উৎপাদনেও মন দিতে পারবে। যদি তা না হয় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ থাকবে।

আর এর সুযোগ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও গার্মেন্টের তৃতীয় শক্তি (ঝুট ব্যবসায়ী, স্থানীয় মাস্তান, রাজনৈতিক দালাল) নানা ষড়যন্ত্র করবে, যা এখনো তারা করছে। এরাই শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে রাজপথে নামলে, তাদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ভাংচুর চালায়। এই ষড়যন্ত্র সরকার শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে পারছে না। শ্রমিক নেতারা বেতন বাড়ানোর দাবি নিয়ে নিজ নিজ গার্মেন্টের মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার কথা বলেন এবং তারপর শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বলেন। তারা বলেন, বেতন না বাড়ালে আন্দোলন চলবে।

তবে কেউ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে যেন পা না দেয় সে ব্যাপারেও শ্রমিকজদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তারা।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.