আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফোরজি প্রযুক্তি : বাংলাদেশ কোন পথে?

মনের মহাজন খুঁজে ফিরি.... হাই-স্পিড ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, হাই-স্পিডের জন্য থ্রিজি নাকি ফোরজি প্রয়োজন? এটা ঠিক যে, যত সংখ্যা বাড়বে তত স্পিড বাড়বে। কিন্তু আমরা কি পাচ্ছি? একবার আমরা শুনছি থ্রিজি আসছে, আবার শুনছি না, থ্রিজি না ফোরজি আসছে। কর্তাব্যক্তিদের কথার দুলুনিতে দুলছি আমরা সাধার জনগণ। এমন দুলনিতে কখনও কোনো অপারেটর থ্রিজি চাচ্ছে আবার কেউবা বলছেন, কয়েকদিন পর যদি ফোরজি আসে তাহলে বেশি টাকা খরচ করে থ্রিজি কেন? এমন নানা প্রত্যাশার ঝলকানিতে সরকারের তিন বছর পার হয়ে গেলেও আমরা ঠিক করতে পারছি না থ্রিজি, নাকি ফোরজি! আর খুব দুর্ভাগ্যের কথা হচ্ছে, আমরা যখন থ্রিজি নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে করতে কয়েক বছর পার করে ফেলেছি, ততক্ষণে সেই প্রযুক্তিটি পুরনো হয়ে এখন ফোরজির পথে পৃথিবী পা বাড়িয়েছে।

ওয়ান টু ফোরজি প্রথমেই জানি, ‘জি’ এর মানেটা আসলে কী? ‘জি’ মানে জেনারেশন বা প্রজন্ম। মোবাইল প্রযুক্তির প্রজন্ম যা মোবাইল ফোন এবং এর নেটওয়ার্কে ইনস্টল করা হয়ে থাকে। প্রতিটি নতুন ‘জি’-এর জন্য নতুন একটি ফোন কিনতে হবে আর নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে ব্যয়বহুল আপগ্রেডের। প্রথম দুটির একটি ছিল অ্যানালগ সেল ফোন (ওয়ান জি বা প্রথম প্রজন্ম) এবং অপরটি ডিজিটাল ফোন (টুজি বা দ্বিতীয় প্রজন্ম) এর জন্য। বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কগুলো এখনও টুজি এবং সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে এক সঙ্গেই থ্রিজি এবং ফোরজির লাইসেন্স দিয়ে দেবে।

কিন্তু প্রযুক্তিগতভাবে টুজি পর্যন্ত বিষয়গুলো সাদামাটাই ছিল। এর পরে এসেই বিষয়টা একটু জটিলাকার ধারণ করেছে। নাম্বার বেশি হলেই ভালো ফল নয় সাধারণ একজন মানুষের কাছে থ্রিজি এবং ফোরজি মোবাইল প্রযুক্তি রহস্যময় দুটি শব্দ। তবে তারা হয়তো একটি বিষয় চিন্তা করতে পারেন, তাহলো থ্রি আর ফোরের এর ভেতর মাত্র পার্থক্য এক। তাহলে আর এতো ঝামেলা কেন! তবে সাধারণ মানুষদেরও এর থেকে একটু বুঝতে হবে।

কারণ বর্তমান সময়ে বাজারে থ্রিজি এবং ফোরজি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে ভরে যাচ্ছে। আপনার যদি এগুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা না থাকে, তাহলে এগুলো কিনতে গিয়ে শুধু টাকা নষ্ট হতে পারে। আবার বিদেশ থেকে কেউ দেশে ফিরছেন। তাকে বললেন একটা আধুনিক স্মার্টফোন নিয়ে আসতে। তিনি আপনার জন্য নিয়ে এলেন দেখতে দারুন একটি ফোরজি স্মার্টফোন।

তাহলে লাভটা কী হলো? একটি বিষয় মনে রাখবেন, নাম্বার বেশি হলেই সব সময় যে ভালো ফল পাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়। ফোরজি যে কারণে অর্থহীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক, অথবা থ্রিজি চালু হয় ২০০৩ সালে। সে সময় এর সুসঙ্গত সর্বনিম্ন ইন্টারনেটের গতি ছিল ১৪৪ কিলো-বিট/সেকেন্ড। সে সময় ধারণা করা হয়েছিল, এর মধ্য দিয়েই ‘মোবাইল ব্রডব্যান্ড’ চালু হবে। কিন্তু বর্তমানে নানা ধরনের থ্রিজি চালু রয়েছে এবং এই ‘থ্রিজি’ সংযোগ মানে ইন্টারনেট গতি ৪০০ কেবিপিএস থেকে এর চাইতে দশগুণ বেশিও পেতে পারেন।

সাধারণত নতুন প্রজন্ম নিয়ে আসে নতুন বেজ প্রযুক্তি, প্রতি ব্যবহারকারী হিসেবে নেটওয়ার্কের আরও বেশি তথ্য ধারণক্ষমতা এবং আরও ভালো ভয়েস পাঠানোর সুবিধা। সে হিসেবে ফোরজি মানে আরো দ্রুতগতিসমপন্ন বলে অনুমান করা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ব্যাপারটা সব সময় এরকম নয়। ফোরজি নামধারী প্রযুক্তির শুধু যে অভাব নেই তা নয়, নানাভাবে এই প্রযুক্তিটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আর তাই ফোরজি টার্মটি হয়ে পড়েছে প্রায় অর্থহীন।

ফোরজি প্রযুক্তি বলতে কিছু নেই!! মান নির্ধারণের সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) ফোরজি নামকরণের একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি তৈরি করে দেয়ার প্রচেষ্টা করেছে, কিন্তু বারবার তা উপেক্ষা করায় শেষ পর্যন্ত আইটিইউ ফোরজি প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়। আইটিইউ বলছে ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তি বলতে আসলে একক কোনও প্রযুক্তি নেই। তিনটি উপায়ে এই ফোরজি বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেগুলো হলো এইচএসপিএ+ ২১/৪২, ওয়াইম্যাক্স এবং এলটিই। যদিও কিছু মানুষ এলটিইকেই শুধু চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তি বলে মনে করে থাকেন। আবার কেউ কেউ বলে এদের কেউ চতুর্থ প্রজন্মের যে গতি থাকার কথা তা দিতে সক্ষম নয়।

ফোরজির সেবা অপারেটরদের ওপর নির্ভর করে তবে একটা নিয়ম সবাই মানতে চেষ্টা করে সেটি হচ্ছে, নতুন প্রজন্মটিকে অবশ্যই আগের প্রজন্মের গতি অপেক্ষা দ্রুত হতে হবে। অবশ্য এই নিয়ম শুধু মোবাইল পরিচালকদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। উদাহরণ দিলে ব্যপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে, ধরুন, আমরা সবাই জানি সিটিসেল দেয় সিডিএমএ সুবিধা। এরা যদি ওয়াইম্যাক্স ফোরজি চালু করে তাহলে তা অবশ্যই তাদের সিডিএমএ থ্রিজির চাইতে বেশি গতিসমপন্ন হবে। কিন্তু গ্রামীণফোনের থ্রিজি এইচএসপিএ সংযোগ বাংলালিংক বা রবির (যদি থাকত) ফোরজি এলটিই এর চেয়ে দ্রুতগতির হতে পারে।

অর্থাত্ আপনার মোবাইল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি যদি তার তরঙ্গ পরিবর্তন করে তাহলে সে আগের চেয়ে গতিশীল হলেও প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে গতিশীল হবে তা কিন্তু বলা যাবে না। তাই যারা ভাবছেন, ফোরজি এলেই আমরা ব্রডব্যান্ডের গতিতে ভেসে যাব, তারা একটু ব্রেক নিতে পারেন। এটা পুরোটাই নির্ভর করবে সেই অপারেটর কীভাবে তার নেটওয়ার্ক বসাচ্ছে এবং কতটুকু সেবা তারা আসলেই দিতে চায়। এর সঙ্গে খরচের বিষয়টিও জড়িত। ফোরজি কি আপনার প্রয়োজন? বাংলাদেশে কিউবি ও বাংলা লায়ন নামের দুটি কোমপানি ওয়াইম্যাক্স পদ্ধতিতে ফোরজি সেবা দিতে শুরু করেছে।

কিন্তু তাদের সেই সেবা এবং দামে কি আপনি সন্তুষ্ট? তাহলে কেন মনে হচ্ছে যে, এলটিই ফোরজি এলেই আমরা বিশাল কিছু পেয়ে যাব? তবে হ্যাঁ, কিছু পরিবর্তন তো হবেই, তার মূল কারণ হলো এলটিই প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার। পৃথিবীতে যেই প্রযুক্তি বেশি মানুষ ব্যবহার করবে, তার দাম ততই কমে যাবে। সেই চিন্তা মাথায় রেখেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ওয়াইম্যাক্স ক্যারিয়ার স্প্রিন্ট তাদের ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তিকে পরিত্যাগ করে এলটিইতে কনভার্ট করে ফেলার কাজে হাত দিয়েছে। সেই হিসেবে কিউবি ও বাংলালায়ন যেকোনও সময় আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে যাবে। কিন্তু গ্রাহক হিসেবে আপনার সমস্যা কোথায়? আপনাকে আরেকটি থ্রিজি কিংবা ফোরজি মডেম কিনতে হবে, এই যা! ফোরজি যখন স্বর্গ তাই বলে কী আপনাকে ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হবে? ধরুন, এই বছরই দুটো কোম্পানি এলো—একটি থ্রিজি নিয়ে অপরটি ফোরজি নিয়ে।

তখনই কি আপনি ফোরজির জন্য অস্থির হয়ে উঠবেন? আপনি যদি নিয়মিত ভিডিও স্ট্রিমিং করতে পছন্দ করেন তাহলে ফোরজি আপনার জন্য স্বর্গ। ল্যাপটপের সঙ্গে যদি মোবাইল সংযোগ করে আপনি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ফোরজি আপনার জীবনে নিয়ে আসতে পারে স্বস্তি। মোটকথা, বিশালাকারে তথ্য আদান-প্রদান করতে হলেই প্রয়োজন হবে ফোরজির। মনে রাখতে হবে, ফোরজি নেটওয়ার্কে সহসাই অনেক বেশি ডাটা ডাউনলোড করে ফেলতে পারেন। ফলে আপনার যে কোটা থাকবে সেটা সহসাই শেষ হয়ে যেতে পারে।

বিশাল একটা ফাইল মুহূর্তেই ডাইনলোড হয়ে আপনার মাসিক খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে! ফোরজির যত নতুন সেবা ফোরজি প্রযুক্তি মূলত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য আলট্রা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। ফোরজির মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ফিং, ভিডিও কনফারেন্স, গান-ভিডিও ইত্যাদি ডাউনলোড করাসহ ইন্টারনেটে বিভিন্ন কনটেম্লট দেখা সবকিছুই আগের চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে করা সম্ভব। টুজি এবং থ্রিজি’র ধারাবাহিকতায় এসেছে এই ফোরজি। আশা করা হচ্ছে, থ্রিজি সার্ভিসের চেয়ে ফোরজি পাঁচ গুণ বেশি দ্রুতগতিসমপন্ন হবে এবং ফোরজির মাধ্যমে হাই-ডেফিনিশন মোবাইল টিভি এবং ভিডিও কনফারেন্সসহ আরও অনেক চমকপ্রদ সুবিধা পাওয়া যাবে। ভারতে ফোরজি প্রযুক্তি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফোরজি প্রযুক্তি চালু হতে শুরু করেছে।

দ্রুতগতির যোগাযোগের জন্য সবাই দীর্ঘদিন থেকেই ফোরজির জন্য অপেক্ষা করছে। সম্প্রতি ভারতে এই প্রযুক্তি চালু হয়েছে এবং বাংলাদেশও ফোরজি প্রযুক্তি লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু ফোরজি প্রযুক্তিতে নতুন কী আছে? টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে ভারতের ফোরজি সমপর্কে বলা হয়েছে, বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, গ্রামীণ এলাকায় ফোরজি সাপোর্ট দেয়ার জন্য যে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে, সেটা অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে। ফলে শহর অঞ্চলে একচেটিয়াভাবে এই সুবিধা দেয়া হবে। তবে এয়ারটেল টিডি-এলটিই টেকনোলজির সাহায্যে ভবিষ্যতে ব্রডব্যান্ড জগতে বিপ্লব ঘটাবে বলে মনে করছেন ভারতের বিশ্লেষকরা।

ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারম্যান জানান, তারা এরই মধ্যে কলকাতায় ফোরজি টেকনোলজি সেবা দিতে শুরু করেছেন এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে কর্ণাটক, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রসহ দেশের অন্যান্য প্রান্তেও এই সুবিধা দেয়া হবে। তিনি আরও জানান, এ মাসেই ব্যাঙ্গালোরে ফোরজি এলটিই সার্ভিস দেয়া হবে এবং তারপরেই কাজ শুরু হবে পুনে এবং চণ্ডিগড়ে। এয়ারটেল এবং অন্যান্য মোবাইল অপারেটর ফোর জির জন্য সর্বমোট ৩৮,৫৪৩ কোটি ডলার ব্যয় করেছে বলে জানা যায়। এয়ারটেলই সর্বপ্রথম ভারতে ফোরজি সেবা চালু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফোরজি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশজুড়ে কে কার আগে চতুর্থ প্রজন্মের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে পারে সে নিয়ে বেশ যুদ্ধ শুরু করেছে।

তার পরিপ্রেক্ষিতে ভেরাইজন ফোরজি এলটিইর বিস্তৃতির এক আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভেরাইজন তাদের এই পরিকল্পনা এটিঅ্যান্ডটির ফোরজি সমপ্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণার মাত্র দু’দিন পর প্রকাশ করেছে। এ বছরের শেষ নাগাদ ভেরাইজন ফোরজি এলটিইর বিস্তৃতি দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে। অবশ্য এই মুহূর্তে ভেরাইজন দেশটির প্রায় ২০০টি বাজার (এলাকা) পরিচালনা করছে, সেখানে এটিঅ্যান্ডটি গ্রীষ্মের মধ্যে ৪০টি বাজারের নাগাল পাওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে ভেরাইজনের লক্ষ্য, ২০১২ সালের মধ্যে ৪০০টি বাজার দখল করা।

সারাদেশে ২৬০ মিলিয়ন আমেরিকাবাসীকে ফোরজি সুবিধা প্রদান করতে সমর্থ হবে তারা। সমপ্রতি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ডেভিড স্মল এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ফোরজির জনপ্রিয়তা বাড়ানোর কৌশল হিসেবে ২০১২ সালের বাকিটা সময় তারা শুধু চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক উপযুক্ত স্মার্টফোনগুলোই তারা বের করবে। যদিও ২০১১ সালের শেষ প্রান্তিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেসব স্মার্টফোন বের হয়েছে তার এক-তৃতীয়াংশই ফোরজি প্রযুক্তিনির্ভর। তা সত্ত্বেও ভেরাইজন মাত্র ৫ শতাংশ গ্রাহককে তাদের চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ফোরজি সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের হারও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এছাড়া আইফোনের নতুন সংস্করণ বের হওয়ার যে গুজব রয়েছে তা যদি সত্যি হয় তাহলে এই ভেরাইজনের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপনি কোন পথে যাবেন? আপনি হয় তো এই লেখা পড়ে একটু ভড়কে গেছেন যে, আসলে আপনার কোন পথে যাওয়া উচিত? উত্তর খুব সহজ, আপনার অপারেটর আপনাকে যে পথে নিয়ে যাবে আপনাকে সে পথেই যেতে হবে। তারপরও কথা আছে, আপনার আসলে প্রয়োজন কোনটি এবং কতটুকু তা আগে নির্ধারণ করতে হবে। তারপর প্রয়োজন হলে আপনার ইচ্ছামত অপারেটরদের সুবিধা অনুযায়ী নিজের প্লান পরিবর্তন করতে পারবেন। আর এ জন্যই আমরা ফোরজির ভালোমন্দ সব বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছি।

এখন আপনি কোন পথে যাবেন তা আপনিই নির্ধারণ করতে পারবেন। বি দ্র: আমার এই লেখাটি আজ ১২ জুন ২০১২ মঙ্গলবার দৈনিক আমারদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে | ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.