আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিডনিতে পাথর হওয়া এড়াতে খান পালং শাক ।

জীবনে যা কিছু শিখলাম ,সব ভুল করে শিখলাম । ভুল বিহনে কোন কিছু শিখা যায় না । আসলাম আপনাদের মাঝে কিছু শিখার তরে । কিডনিতে পাথর হওয়া কিডনির জটিল অসুখগুলোর মধ্যে একটি । বহু মানুষের কাছেই শোনা যায় তাঁদের কিডনিতে পাথর হয়েছে ।

অনেকেরই এই পাথর নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে, কিন্তু যখন তাদের লক্ষন প্রকাশ পায় তখনই রোগটি ধরা পড়ে । সাধারনত যে সব লক্ষন কিডনিতে পাথর হওয়ার ইঙ্গিত দেয় তা হল প্রস্রাবে বাধাঁ আসা , ব্যথা হওয়া ,পেটে এবং কখনো কখনো পিঠেও ব্যথা হওয়া । প্রস্রাব পরিক্ষা , আলট্রাসোনোগ্রাফি , আই বি পি টেস্ট করিয়ে রোগ নির্ণয় করতে হয় । শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার দৃষ্টান্ত বয়স্কদের তুলনায় কম । কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি।

তবে পাথর পরীক্ষা করে এর কম্পোজিশন সম্পর্কে ধারণা করা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাথর ক্যালসিয়াম ফসফেট ও অক্সালেট দ্বারা তৈরি। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে সিসটিন দ্বারাও পাথর গঠিত হয। তবে কিডনিতে এই পাথর হওয়ার কারণ সম্বন্ধে চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন, যে আমরা রোজদিনে যেসব খাবার খাই তাতে যে অক্সালেট থাকে সেগুলো অন্ত্র থেকে রক্তে প্রবেশ করে । পরে এই আক্সালেট ক্যালসিয়াম , আক্সালেটে পরিণত হয়ে কিডনিতে জমে গিয়ে পাথর তৈরি করে । কিডনির পাথর হওয়া প্রতিরোধ করতে কলার খোসা ও পালং শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

কারণ কলার খোসাতে যে আক্সালেট অকসিভেজ এবং পালংশাকে যে গ্লাই অক্সিলেট রিডাকটেজ নামে এনজাইম থাকে তা ক্যলসিয়াম আক্সালেট নামক পাথর বা স্টোন জমাতে বাধা সৃষ্টি করে । পাথর হওয়া রোধ করতে এমন খাবার খাওয়া উচিত্‍ যাতে অক্সালেট এর ভাগ কম থাকে । এছাড়া শাকসবজি বেশি করে খেল এবং প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করলে কিডিনিতে পাথর হওয়া রোধ করা যায় । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।