আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ সম্পর্কে কয়েকটি ভবিষ্যৎ বানী করেনতো সবাই!

এখন সময়টা এমন যে কেহ চাইলেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারে। শাহবাগ আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল প্রথম থেকেই অনেকেই জানত এই আন্দোলন আওয়ামিলীগের দীর্ঘ পরিকল্পনার একটা অংশ। তাঁরাই আন্দোলনের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত সেই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। আন্দোলনের নানান অযৌক্তিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। আমরা দেখে এসেছি প্রায় সকল মিডিয়াই তখন শাহবাগীদের সমর্থন জানিয়েছেন।

তিলকে তাল বানিয়ে প্রচার করেছেন জনগনের সামনে। সাধারণ জনগনের একটা অংশ তথাকথিত মিডিয়ার মিথ্যা প্রলোভন এবং প্রচারনায় বিভ্রান্ত হয়ে শাহবাগে গিয়েছিল! গনজাগরনের লোকসংখা বাড়ানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও চেষ্টার ত্রুটি ছিলনা। স্কুল-কলেজের হাজার-হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে তখন বাধ্যতামূলক ভাবে ক্লাস বন্ধ রেখে শাহবাগে যেতে হত। উদ্দেশ্য ছিল তাদের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের বৈধতা আদায়ের জন্য একটা পটভূমি তৈরি করা। তাদের কর্মকাণ্ডে যে সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে, থাকবে তাই দেখানোর উদ্দেশ্যেই শাহবাগ নাটকের সূচনা! আর এজন্য বেছে নেয়া হল কিছু পথভ্রষ্ট তরুনদের।

কারন তাঁরা জানে প্রগতিশীল-বাস্তববাদী কোন মানুষ সেই অযৌক্তিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিবেনা। তাদের শত শত দুর্নীতির কাছে কোন চিন্তাশীল তরুন মাথা নত করবেনা। (শাহবাগের সবাই কিন্তু পথভ্রষ্ট না। সেখানে অনেক মেধাবী চিন্তাশীল যুক্তিবাদি মানুষও আছে। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারছেনা তাদের আবেগকে নিয়ে কত বড় নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে।

হয়ত বুঝতে পেরেও কিছু করতে পারছেনা। এখন খুব দেরী হয়ে গেছে! না পারে গিলতে, না পারে ফেলতে এই অবস্থা হয়েছে এখন তাদের!) যাহোক, দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকের শাহবাগ পর্ব সরকার সফল ভাবেই শেষ করল। তারপর, সাঈদির ফাঁসির রায়! সরকার ভাল করেই জানত সাঈদির ফাঁসির রায় হলে দেশের পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে যাবে। দেশের সেই সংঘাতময় পরিস্থিতির দায় জামাত শিবীরের ঘাড়ে চাপিয়ে সরকার কিছুটা জনপ্রিয় হতে চেয়েছিল। সরকারের উদ্দেশ্য এখানেও মোটামোটি সফল।

দেশে সংঘাত হয়েছে হচ্ছে। জামাত শিবিরের সমর্থকরা হামলা,ভাঙচুর করা শুরু করেছে। মন্দিরে আগুন দিচ্ছে। হিন্দু, সংখালগুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে! সাধারণ মানুষরাও ভাবতে বসে গেল। জামাত শিবিরতো দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

একজন সাঈদির জন্য শত শত মানুষের জীবন নিয়ে খেলা শুরু করে দিয়েছে জামাত শিবির! দেশের পতাকা পুড়াচ্ছে! শহীদ মিনার ভাঙছে! প্রায় সব মিডিয়াই জামাত শিবিরের নিন্দার ঝড় উঠে গেল। কিন্তু কোন মিডিয়াই ছবি, ভিডিও সহ প্রমান দিতে পারছেনা। দেশের মানুষ এক টিভি চ্যানেল থেকে অন্য টিভি চ্যানেলে যায়। এক পত্রিকা থেকে অন্য পত্রিকায় চোখ রাখে। সব একই কথা! "আমার দেশ" পত্রিকায় সেই খবরটাই আসে।

একই মন্দির, একই শহীদ মিনার, একই সংঘাত! কিন্তু তাদের প্রমান, তাদের ছবি অন্যগুলো থেকে আলাদা! সাধারণ মানুষ দেখতে পায় অন্য মিডিয়াগুলো যেই সংঘাতের দায় জামাতের উপর চাপাচ্ছে সেই সংঘাতগুলো সংঘটিত হচ্ছে ছাত্রলীগ দ্বারা। যুবলীগ, আওয়ামিলীগ, পুলিশলিগ দ্বারা! জনগন সচেতন হতে শুরু করে। অসহায় জনগন কোন উপায় দেখেনা। কোন রাজনৈতিক দলেই তাদের আর ভরসা হয়না। ঠিক সেই মুহুর্তে "হেফাজতে ইসলাম" নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠের আবির্ভাব হল।

বঞ্চিত জনগন তাদের দলে ভিরে গেল। গত লং-মার্চে আমরা তার কিছু চিত্র দেখেছি। শত বাধা উপেক্ষা করে যেভাবে লক্ষ-লক্ষ মানুষ ঢাকার দিকে আসতে লাগল তা দেখে আওয়ামিলীগ সরকারের ভিত কেঁপে উঠল। তারা অনেক চিন্তা-ভাবনা করে দেখল সাধারণ জনগন ক্ষেপলে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কষ্ট হয়ে যাবে। সাধারণ জনগনের এই জোয়ার থামাতে হবে।

কিভাবে? "আমার দেশ" বন্দ করে দিতে হবে। মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করতে হবে। তাঁর উপর নির্যাতন চালাতে হবে। তাহলে অন্য মিডিয়াগুলোও ভবিষ্যতে প্রতিবাদি হতে সাহস পাবেনা! মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হল! ( চলবে...। আজ খুব ব্যাস্ত! হয়তো আগামি কাল!) শাহজাহান আহমেদ মিশিগান, আমেরিকা।

এপ্রিল ১১-২০১৩ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.