আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেলিভিশন এবং ভূত ও জাতিস্মর ।

প্রদীপ হালদার,জাতিস্মর। টেলিভিশন এবং ভূত ও জাতিস্মর । টেলিভিশন আজকের সমাজে বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ অবদান । টেলিভিশন ছাড়া কোন মানুষ আজ আর চলতে পারবে না । কথা বলার মানুষ না থাকলেও আজ মানুষ একাকী চলতে পারবে ।

কিন্তু ঘরে যদি একটি টেলিভিশন না থাকে তাহলে কোন মানুষই চলতে পারবে না । টেলিভিশন মানুষকে সারা রাত সারা দিন আনন্দে ভরে রাখে । আওয়াজ আর ছবি নিয়ে টেলিভিশন । আমরা টেলিভিশন দেখি । প্রয়োজনে চ্যানেল বদল করি ।

টেলিভিশন যেমনভাবে সিগন্যাল গ্রহণ করে , তেমনভাবে আমাদের কাছে প্রকাশ করে । কিন্তু তার জন্য বিদ্যুৎ চাই । টেলিভিশনে বিদ্যুৎশক্তি দুটি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে কাজ করে । একটি আলোক শক্তি এবং অন্যটি শব্দ শক্তি । এই দুই শক্তির দ্বারা ছবি এবং শব্দ আমাদের চোখ এবং কানের সামনে ভেসে ওঠে ।

মানুষের মৃত্যুর পর সেই মানুষের মাথায় ধরে রাখা যাবতীয় ছবি এবং শব্দ বিদ্যুৎশক্তির মাধ্যমে বের হয়ে যায় । তারপর টেলিভিশনের মতো ছবি এবং শব্দ নিয়ে মানুষের মাথা থেকে বের হয়ে আসা বিদ্যুৎ শক্তি কাজ করে । এটাই ভূত । এই ছবি আর শব্দ আমরা না পারি দেখতে , না পারি শুনতে । আসলে মানুষের মাথায় ধরে রাখা ছবি আমরা দেখতে পাই না ।

এখানেও ঠিক তাই । তবে ভূত আবার নতুন করে ছবি এবং শব্দ মাথায় ধরে রাখে । এই ভূত কোন গর্ভবতী মহিলার শরীরে মিশে যেতে পারে । আর তখনই এই ছবি আর শব্দ ঐ গর্ভবতী মহিলার বাচ্চার শরীরের মাথার মধ্যে ঢুকে যাবে। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হলে , একটা উপযুক্ত বয়সে বাচ্চাটি মাথার মধ্যে ঢুকে থাকা ছবি আর শব্দের কথা বলতে পারবে ।

কেননা ঐ ছবি আর শব্দ ঐ বাচ্চাটাই দেখতে এবং শুনতে পাবে । এটাই জাতিস্মর । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।