আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফুটবলের ক্ষুদে পেলে-ম্যারাডোনাদের কথা – তাদের সৃষ্টি যা শিল্পের চেয়ে বেশী, তাদের সম্ভাবনা যা ইতিহাস গড়ার প্রতিশ্রুতি (ফুটবলপ্রেমীদের জন্য)

যখন একা বসে ভাবি তখন সেই ভাবনাগুলোই গান হয়ে যায়। তারপর গীটারটা হাতে নেই সেই ভাবনাকে সুরের মূর্ছনায় ছড়িয়ে দিতে। এভাবেই চলছে গান, ভাবনা আর বেচে থাকা। আমাদের দেশের প্রধান খেলা ক্রিকেট। আমরা স্বপ্ন দেখি ক্রিকেট নিয়েই।

একদিন বিশ্বকাপ জয় করে আনব। ক্রিকেট বিশ্ব আন্দোলিত হবে বাংলাদেশের নামে এমটাই স্বপ্ন আমাদের। কিন্তু ফুটবল? সেখানে আমরা অনেক পিছিয়ে। বিশ্বকাপ জয় করা দূরে থাক, আমরা কবে বিশ্বকাপে খেলতে পারবো তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে হ্যা, পারবো অবশ্যই।

আমাদের জেনারেশন না পারলেও পরের জেনারেশন অবশ্যই পারবে। এবার আসা যাক বাংলাদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বিষয়ে। সে যেন ম্লান করে দেয় ক্রিকেটকেও। যেদিন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে যায় সেদিন মনটা যেন কোন যুক্তিই আর মানতে চায় না, চার বছরের জমানো চাওয়াটা একটা খেলা দিয়ে মিথ্যে হয়ে যাবে - কিন্তু কেন? একটা খেলাই কি সব প্রমাণ করতে পারে? বারবার মনে হয় দোষটা বোধহয় রেফারীর, সে কার্ডটা না দিলেই পারতো কিংবা প্রতিপক্ষকে ভুল পেনাল্টিটা না দিলেও পারত। এই ফুটবলকে যুগে মহিমামন্ডিত করেছেন অনেক বড় বড় কিংবদন্তীরা।

এদের মধ্যে প্রথমেই বলতেও হয় ব্রাজিলের “পেলে” এর কথা, যিনি প্রথম আদিম ফুটবলকে শিল্পের রুপ দেন। এর পর আরো অনেক কিংবদন্তীরাই এতে নতুন করে তুলির আচড় দেন। এদের মধ্যে দু-একজনের নাম বলতে গেলে প্রথমেই যাদের নাম মনে পড়বে তারা হলেন ব্রাজিলিয়ান ড্রিবলিং মাষ্টার “গ্যারিঞ্চা, ফ্রি-কিক স্পেশালিষ্ট “রিভেলিনো” এবং সাম্রতিক সময়ের সবচেয়ে অপ্রতিরোধ্য ফিনিসার “ফেনোমেনন রোনালদো”, আর্জেন্টাইন যাদুকর “ডিয়েগো ম্যারাডোনা” এবং “ডি স্টেফানো” , ডাচ ট্রাইকার “ইয়োহান ক্রুয়েফ” , জার্মান ট্রাইকার “জার্ড মুলার” এবং “বেকেনবাওয়ার”,এবং ফরাসি ফুটবলের প্রানভোমরা “জিনেদিন জিদান” এবং “মিসেল প্লাতিনি” ইত্যাদি। ফুটবলকে এরা অনেক কিছু দিয়েছেন। বদলে দিয়েছেন ফুটবলের সংগা।

কিন্তু এখানেই কি শেষ? শিল্পী ফুটবলার কি আর তবে আসবেনা কোনদিন? আর কি কেউ নেই ফুটবলকে অমরত্ব দেয়ার মত? আছে অবশ্যই। এরা এ যুগের। এরা বিশ্বকাপ জেতেনি। এরা ইতিহাস গড়েনি। তবে ইতিহাস এদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

এরা পেলে কিংবা ম্যারাডোনা নয়, জিদান কিংবা প্লাতিনিও নয়। তবে এরা ওদেরই এক ছায়া। কারা এরা? আসুন জেনে নেই। ১. লিওনেল মেসি – আর্জেন্টিনা/বার্সেলোনা (Lionel Messi) : বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের একটি বড় অংশ আর্জেন্টিনার দখলে। এই আর্জেন্টিনায় ভালো খেলোয়াড় অনেক এলেও কিংবদন্তী হওয়ার মত খেলোয়াড় খুব কমই এসেছে।

ডি স্টেফানো আর ম্যারাডোনা ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন কেউ নেই। তবে এ খরা ঘোচানোর জন্যই যেন আবির্ভূত হন এক বিস্ময় বালক। যার গতি আর ক্ষিপ্রতার কাছে ঝড়-তুফানও হার মেনে যায়। যার পায়ের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেও ধরা মুশকিল যে তিনি ঠিক কোন পায়ে শটটি নেবেন। আধুনিক ফুটবলের মহাবিস্ময় এই লিওনেল মেসির ব্যক্তিগত অর্জন বিস্ময়কর।

তিনি ৩ বার ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন, জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও। অনেকে তাকে ম্যারাডোনার সাথে তুলনা করে থাকেন। স্বয়ং ফুটবল ইশ্বর ম্যারাডোনা বলেছেন “মেসিই হল আমার ম্যারাডোনা”। ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের স্বপ্নের কেন্দ্রে থাকবেন লিও মেসি। তার চিরচেনা ফুটবল তার দলকে হ্যাট্রিক শিরোপা এনে দিতে সক্ষম।

প্রধান শক্তিঃ লিওনেল মেসির ফুটবল তান্ডব যারা কদাচিত ফুটবল দেখেন তাদেরও জানা। বেশীরভাগ সময়ে তাকে মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে মাথা নিচু করে প্রানঘাতী আক্রমন করতে দেখা যায়, এই অবস্থায় তাকে থামানো প্রায় অসম্ভবই বলা চলে। তার দৌড়ের সাথে এমন ব্যালেন্স ম্যানটেইন করার ব্যাপারটা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাটা কঠিনই বটে। দুর্বলতাঃ মাঝে মাঝে তিনি তার দলের খেলায়াড়দের অবস্থান বিষয়ে নিশ্চিত না হয়েই তাড়াহুড়ো করে পাস দেয়ার চেষ্টা করেন। ২. নেইমার ডি সিলভা – ব্রাজিল/সান্তোস (Neymar De Silva Santos Junior) : ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মানেই যাদুকরী স্কিলের প্রদর্শনী।

বিগ ফিনিসার “ফেনোমেনন রোনালদো” এর বিদায়ের পর ব্রাজিলের আক্রমনভাগ কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। সাম্বার ছন্দ কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে যায় যেন। ফুটবল প্রতিভা যে দেশের রাস্তাঘাটে খুজলেও পাওয়া যায় সে দেশেই যেন শিল্পী ফুটবলারের হাহাকার দেখা দেয়। এমতাবস্থায় ব্রাজিল দলে আগমন ঘটে সান্তোসের হয়ে একের পর এক ঘটনাবহুল খেলা উপহার দেয়া ২১ বছর বয়সী এক বালকের। তিনিই নেইমার যাকে ফুটবল সম্রাট “পেলে” এর সাথে তুলনা করা হয়।

যদিও তার ড্রিবলিং স্টাইল “গ্যারিঞ্চা” এর সাথে বেশী মিলে। আধুনিক ফুটবলের মহানায়ক “লিওনেল মেসি” এর সাথে যে কয়জন খেলোয়াড়ের তুলনা করা হয় “নেইমার ডি সিলভা” তাদের একজন। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে ভালো কিছু করতে হলে নেইমারকে তার সর্বোচ্চ আলো ছড়াতে হবে। যদি অপ্রত্যাশিত কিছু না ঘটে তবে, ব্রাজিল ভক্তরা চেয়ে থাকবে তার দিকেই। তিনি তার ক্লাব সান্তোসকে জিতিয়েছেন “কোপা লিবারতোরেস” ট্রফি, ব্রাজিলকে জিতিয়েছেন অনুর্ধ্ব বিশ্বকাপ, পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ গোলের পুরষ্কার।

প্রধান শক্তিঃ বল পায়ে থাকা অবস্থায় নেইমার এক যাদুর নাম। তার গতি, সূক্ষতা, তাৎক্ষনিক সিন্ধান্ত নেবার ক্ষমতা এবং টেকনিকই বলে দেয় প্রতিপক্ষের জন্য সে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। এক কথায়, সে একজন দুর্দান্ত বিপজ্জনক ফরোয়ার্ড। দুর্বলতাঃ খেলার মাঠে তিনি কিছুটা উগ্র। ফুটবলের আদিম আচরনগুলো তাকে প্রায়ই প্রাকটিস করতে দেখা যায় মাঠে।

তাকে অনেকে স্বার্থপর ফরোয়ার্ডও বলে থাকেন। ৩. ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো - পর্তুগাল/রিয়েল মাদ্রিদ (Cristiano Ronaldo) : শ্রেষ্ঠত্বের পথে লিওনেল মেসিকে যিনি সবসময়ই পেছন থেকে টেনে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন তিনি পর্তুগীজ উইঙ্গার “ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো”। এমনকি বেশ কিছু প্রতিযোগীতায় মেসিকে হারিয়েও দিয়েছেন। বর্তমানে রিয়েল মাদ্রিদের লাইফ ব্লাড বলা যায় এই প্লেয়ারটিকে। স্কিল, গতি, সূক্ষতা সব মিলিয়ে তিনি যে আধুনিক ফুটবলের অনন্য এক কারিগর তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তিনি ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন একবার, জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, জিতেছেন পিচিটি ট্রফিও। প্রধান শক্তিঃ তিনি বিশ্বের যেকোন ডিফেন্ডারের ভয়ের কারণ হতে পারেন। তার সম্মোহনী ড্রিবলিং এবং চিতার ক্ষিপ্রতাই তাকে এক ভয়ংকর প্রতিপক্ষে রুপ দিয়েছে। সেই সাথে আছে তার “পাওয়ার ফ্রি কিক” যা নিমেষেই গোলে পরিণত হয়ে বদলে দিতে পারে খেলার ভাগ্য। দুর্বলতাঃ তিনি খুব সহজেই প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সামান্য ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান যেটা অনেক সমর্থকই দারুন অপছন্দ করে।

এছাড়া মাঝে মাঝে তিনি প্রয়োজন ছাড়াই ফুটবলের কঠিনতম কিছু ট্রিকস (ফ্লিপ-ফ্লাপ মুভ উল্লেখযোগ্য) দেখানোর চেষ্টা করেন, যেখানে সাধারণ একটি পাসেই কাজ হয়ে যেত। ৪. মেসুত ওজিল - জার্মানী/রিয়েল মাদ্রিদ (Mesut Ozil) : জার্মানীকে যারা দুচোখে দেখতে পারেন না তাদেরও অনেকের হিরো তু্র্কী বংশভূত মুসলিম খেলোয়াড় মেসুত ওজিল। জার্মানী এবং রিয়েল মাদ্রিদের খুব বড় একটি নির্ভরতার নাম এই মেসুত ওজিল। শান্ত, নম্র, ধর্মপ্রান মানসিকতা আর পরিচ্ছন্ন ফুটবল খেলে তিনি দর্শকদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন বিশ্বকাপে। মাইকেল বালাকের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হয়ে তিনি জার্মান মিডফিল্ডকে দারুনভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

সাম্প্রতিক “লা লিগা” তে রিয়েল মাদ্রিদের বিজয়ের পেছনে পর্দার আড়াল থেকে যে কজন শিল্পী অবদান রেখেছিলেন তাদের একজন এই মেসুত ওজিল। প্রধান শক্তিঃ বলকে দারুনভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারেন,দুরপাল্লার জোরালো শটে কাবু করতে পারেন প্রতিপক্ষের গোলকীপারকে। ফাউলবিহীন পরিচ্ছন্ন ফুটবলে আপন সৃষ্টিশীলতা দিয়েই ভাঙ্গতে পারেন যেকোন শক্তিশালী ডিফেন্স। তার ডিফেন্স চেরা পাস অনেক বিখ্যাত। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বেশীর ভাগ গোলে তার অ্যাসিসট্যান্স থাকে।

দুর্বলতাঃ তার পারফরমেন্স ধারাবাহিক নয়। মাঝে মাঝে খাম-খেয়ালীবশত সহজ গোল মিস করে ফেলেন। শারীরিকভাবে তিনি দূর্বল হওয়ায় পাওয়ার ফুটবল খেলতে পারেন না এবং তার ক্ষিপ্রতাও কম। ৫. আঞ্জেল ডি মারিয়া – আর্জেন্টিনা/রিয়েল মাদ্রিদ (Angel De Maria) : মেসির পর আর্জেন্টিনার মিড ফিল্ডের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম “ডি মারিয়া”। রিয়েল মাদ্রিদেও প্রায়ই এই ডি মারিয়াকে প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হতে দেখা যায়।

তিনি ট্রিকস খুব বেশী না জানলেও সাফল্যের দিক থেকে চিন্তা করলে তিনিও এ সময়ের একজন সেরা খেলোয়াড়। বিশ্বকাপেও তার পারফরমেন্স দুর্দান্ত ছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ভালো কিছু করতে হলে মেসির সাথে সাথে জেগে উঠতে হবে ডি মারিয়াকেও। প্রধান শক্তিঃ দারুন ড্রিবলিং করতে পারেন। বলের উপর যথেষ্ট কন্ট্রোল আছে।

গতি দিয়ে পরাজিত করতে পারেন ডিফেন্সকে। দুর্বলতাঃ মাঝে মাঝে অকারণেই অনেকক্ষন পায়ে বল আটকে রাখেন এবং শেষ পর্যন্ত আর সঠিক পাসটি দিতে পারেন না। পাওয়ার ফুটবল খেলতে পারেন না। ৬. পাওলো হেনরিকে গানসো – ব্রাজিল/সান্তোস (Paolo Henrique Ganso) : রোনালদিনহোর পর ব্রাজিল সৃষ্ট সবচেয়ে বড় মিডফিল্ড আতংকের নাম গানসো। নেইমার-গানসো জুটি অনেকটা রোনালদো-রিভালদো জুটির মতই।

গানসোকে নিয়ন্ত্রন করা না গেলে ব্রাজিল কিংবা সান্তোসকে সামলানো যেকোন দলের পক্ষেই অসম্ভব হয়ে ওঠে। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল ভক্তরা নান্দনিক ফুটবলের আশায় নেইমারের পরই তাকাবে গানসোর দিকে। প্রধান শক্তিঃ গানসো তার স্কিল দিয়ে এমনসব চোখ ধাধানো গোল করতে সক্ষম যেগুলোকে শুধু “সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ” বলা যেতে পারে। বলে তার দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রন, টেকনিক এবং দুরদর্শীতা দেখে অনেকেই তাকে কিংবদন্তী “জিনেদিন জিদান” এর ছায়া বলে থাকেন। দুর্বলতাঃ তিনি অনেক বেশী ইঞ্জুরি কাতর।

তিনি দক্ষিন আমেরিকার বাইরে এখনো খেলেননি তাই সেখানে তিনি কতটা কার্যকরী হবেন তা এখনো অজ্ঞাত। ৭. মারিও গোমেজ (Mario Gomez) - জার্মানী/বায়ার্ন মিউনিখ : মিরোস্লোভ ক্লোজার বিদায়ের পর জার্মান আক্রমনভাগের দায়িত্বটা কে নেবেন সেটাই ছিল জার্মান সমর্থকদের চিন্তার বিষয়। তখনি জার্মান ক্লাব “বায়ার্ন মিউনিখ” থেকে বের হল আরেক গোল মেশিন যার নাম “মারিও গোমেজ”। জার্মানীর পাশাপাশি ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়নস লীগেও তিনি ছিলেন দারুন উজ্জ্বল। এক খেলায় চার গোল করার কীর্তিও তার আছে।

প্রধান শক্তিঃ ফিনিসার হিসেবে তিনি দারুন দক্ষ। তার গতি-ক্ষিপ্রতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দুর্বলতাঃ ফুটবলের উল্লেখযোগ্য কোন ট্রিকসই তিনি নিতে পারেন না। ৮. মাইকন – ব্রাজিল/ইন্টার মিলান (Maicon) : ব্রাজিলের রবার্তো কার্লোস আর ইতালির পাওলো মালদিনি – ডিফেন্সে খেলেও যে একজন ফুটবলারের পক্ষে কতটা শৈল্পীক ফুটবল খেলা সম্ভব তার এক জলন্ত প্রমান রেখেছিলেন এ দুজন। আধুনিক ফুটবলে এদের অভাবটা যেন অনেকটাই পুষিয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন ইন্টার মিলানের ব্রাজিলিয়ান রাইট ব্যাক “মাইকন”।

তিনি বর্তমানে বিশ্বে্র এক নাম্বার রাইট ব্যাকও বটে। ২০১০ বিশ্বকাপে ব্রাজিল প্রথম গোলটি পেয়েছিল এই অপ্রতিরোধ্য মাইকনের পা থেকেই, যা ছিল বিস্ময়কর ০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল থেকে নেয়া। ইন্টার মিলানের ট্রেবল জয়েরও এক বড় নায়ক ছিলেন মাইকন। প্রধান শক্তিঃ অসম্ভব শক্তিশালী ড্রিবলার, ডিফেন্সকে ছিড়ে-খুড়ে ফেলার মত ক্ষমতা আছে। প্রায়ই চোখ ধাধানো গোল উপহার দিয়ে থাকেন।

ইন্টার মিলানের হার্টবিট তিনি। ডিফেন্স থেকে মিডফিল্ডে উঠে এসে ভয়ানক তান্ডব চালাতে সক্ষম। দুর্বলতাঃ তিনি অনেক উত্তেজিত মানসিকতার খেলোয়াড়। অনেক বেশী আক্রমনাত্নক খেলোয়াড় বলে প্রায়ই তিনি ডিফেন্স থেকে অনেক বেশী উপরে উঠে যান সেটা দলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। আরো যাদের নাম আসতে পারতোঃ ৯. আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (স্পেন) ১০. গঞ্জালো হিগুয়েন (আর্জেন্টিনা) ১১. রবিনহো (ব্রাজিল) ১২. দ্যামাদেল ফেলকাও (কলম্বিয়া) ১৩. হার্নান্দেজ (মেক্সিকো) ১৪. আলেক্সিস সানচেস (চিলি) ১৫. হেনরিকে (ব্রাজিল) ১৬. লুইজ সুয়ারেজ বিঃদ্রঃ এখানে খেলোয়াড়দের “শক্তি” আর “দুর্বলতা” বিষয়ক তথ্যগুলো আমি সকারনেট ডট কম থেকে নিয়ে নিজের মত করে অনুবাদ করেছি।

পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। যারা আমার মত ফুটবল পাগল তাদের কাছে আশা করছি ভালো লেগেছে পোষ্টটি। ব্যক্তিগতভাবে আমি ব্রাজিলের সমর্থক তবে ভালো খেলোয়াড় সবাইকেই ভালো লাগে। কে সেরা? নেইমার নাকি মেসি এসব ফালতু বিতর্ক দারুন ঘৃণা করি। যে সেরা সে নিজের মত করেই সেরা।

আরেকজনের সাথে তুলনা দিয়ে তাকে সেরা প্রমান করার কোন দরকার আছে বলে মনে করিনা। বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা রেখে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেয।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৩ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.