আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফুটবলের যাদুকর সামাদ



ফুটবলের যাদুকর আবদুস সামাদ এর কথা এ প্রজন্মের আমরা অনেকেই হয়ত জানি না। যারা জানি তাদেরও হয়ত অনেকের মনে নেই। তাই একটু মনে করিয়ে দেবার জন্যই আজকের লেখা। উপ-মহাদেশের যাদুকর খ্যাত এই ফুটবলারের জন্ম হয়েছিল পশ্চিম বঙ্গের পূর্নীয়া জেলায় ১৮৯৫ সালে। তার পুরা নাম সৈয়দ আবদুস সামাদ।

১৯১২ সালে কলিকাতা মেইন টাউন ক্লাবে এবং ১৯৩৩ সালে মোহামেডান এ যোগদান করেন। সেসময় মোহামেডান পর পর পাঁচবার আই এফ এ শীল্ড ও লীগ জয় করে। ১৯৪৭ সালের পর তিনি ততকালীন পূর্ব পাকিস্হানে চলে আসেন। ২রা ফেব্রুয়ারী ১৯৬৪ এই মহানায়কের মৃত্যু হয়। এই কিংবদন্তীকে নিয়ে অনেক গল্প গাথা আজও শোনা যায়, পুরোনো দিনের কোন ফুটবল প্রেমী পাওয়া গেলে।

এরকমই একটা গল্প হলো, একদিন সামাদ মাঠে নামলেন । খেলা শুরু হলো। সামাদে র পায়ে বল আসলো। মাঠে চরম উত্তেজনা। বিপক্ষ দলের ৪/৫ জন খেলোয়ারকে কাটিয়ে সামাদ প্রচন্ড জোরে শট নিলেন গোলবারে ।

গোল রক্ষক হতাশ হয়ে দাড়িয়ে আছেন। সবাই নিশ্চিত গোল। কিন্তু বলটা হঠাৎ ক্রসবারে লেগে ফিরে এলো। এবার দর্শকরা হতাশ। সামাদের কিকতো মিস হবার কথা নয়।

কিন্তু সামাদ কোন দ্বিধা না করে সোজা রেফারির কাছে যেয়ে বললেন ক্রসবার নীচু। মাঠে তুমুল হৈ চৈ শুরু হয়ে গেল। ক্রসবার মাপা হলো। দেখা গেল সতিই ক্রসবার মাপে ভুল আছে। এরকম অনেক গল্প সামাদ সম্পর্কে শোনা যায়।

সামাদ যে কত বড় মাপের ফুটবলার ছিলেন তা একটা ছোট্ট উদাহরন দিলেই বোঝা যাবে। বেশ কিছু দিন আগে আমার এক সিনিয়র বন্ধুকে তার বাবা ম্যারাডোনার খেলা নিয়ে খুব হৈ চৈ করতে দেখে বলেছিল, তোরা এই খেলা দেখেই এমন করিস, আর তোরা যদি আমাদের সামাদের খেলা দেখতিশ, তবে না যেন কি করতিশ। তিনি আরো বলেন, সামাদের পায়ে বল পাওয়া মানেই ধরে নেয়া যেত এবার গোল, মানে সামাদের পায়ে বল এলেই দর্শকরা রিলাক্স হয়ে বসতেন যে এখন গোল হবেই। তোদের সময়ে কি এমন খেলোয়ার আছে? এ থেকেই বোঝা যায় সামাদের খেলা কত উচু মানের ছিল। এই গুনী খেলোয়ার সম্পর্কে পত্র পত্রিকায়ও তেমন কোন লেখা পাই না।

যার কারনে বিস্তারিত কিছু জানাও যায় না। এখনও হয়ত অনেকে বেচে আছেন যারা ওনার খেলা সরাসরি দেখেছেন। নতুন প্রজন্মের কাছে এই খেলোয়ারের প্রতিভা সম্পর্কে বিশদভাবে তুলে ধরা দরকার। আশা করি সকলেই এগিয়ে আসবেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.