আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার পিতা

পঙ্খিরাজে চাদেঁর দেশে আমার পিতার মৃর্ত্যুর কথা কেমনে করি শুরু এমন বিদ্যা দেন নি শিক্ষা আমার কোন গুরু! অনেক কথা লেখলাম আমি ছন্দে আনন্দে এই কথাটি লেখতে কেন মনটা আমার কান্দে? শাহ মোঃ মবশ্বর আলী আমার পিতার নাম বিশ্বনাথের পশ্চিম দিকে ইলামের গাঁও গ্রাম। এই সাকিনে জন্ম নিলেন ফকির বাড়ি নীড় বাড়ির মাঝে চিরনিদ্রায় আদিল শাহ পীর। তিন পুরুষের আঙ্গিনাতে ছিলেন বসত করি সুখে দুখে এই মাটিকে মায়ের মতন ধরি। পিতা ছিলেন হাসান আলী ইংল্যান্ড প্রবাসি মায়ের স্নেহে বড় হন, তাকে পান নি বেশি! কৈশরে যান পিতা মারা ব্রাডফোর্ড হাসপাতাল লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে ধরেন সংসারে হাল। মায়ের সাথে মায়ার বাঁধন যান নি কভূ ছাড়ি সোনার হরিণ স্বপ্ন দেখে দেন নি কোথা পাড়ি! সবুজ গাঁয়ে দিন কেটেছে মন আনন্দে হেসে মাঠের চাষী চাঁদের হাসি দেশকে ভালোবেসে।

বাড়ির পাশে হাসন রাজার রঙ্গের রামপাশা মরমী সুর মনের মাঝে জাগায় ভালোবাসা। সেই সুরেতে পাগলপারা মন ছিল আনচান হৃদয় জুড়ায় তত্ত্বজ্ঞানের মালজুড়ার গান। বাষট্রি বছর বয়স ছিল দেহের আয়ুর ঘড়ি মন চলে না, পা চলেছে লাঠিতে ভর করি। বাইশ এপ্রিল রবিবার দু'হাজার বারো সাল ছিন্ন করেন এই সংসারের সকল মায়াজাল। মসজিদে এশার নামাজ সবার সাথে পড়ে প্রভূর ডাকে সাড়া দেন ঘন্টা খানিক পরে।

টেলিফোনে হঠাৎ যখন এই খবরটি পাই বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, আমার পিতা নাই! প্রতিগ্রামে মাইকে মাইকে প্রচার হয়ে যায় মরহুমের জানাজা হবে সকাল এগারোটায়। চিরজনমের বিদায় দেন পরিয়ে সাদা কাফন মসজিদের পাশে করেন সবাই মিলে দাফন। কোরআন পড়া শুনতে পাবেন প্রত্যহ গোরে ছেলে-মেয়ে মক্তবে এসে যখন পড়ে ভোরে। পাঁচ ওয়াক্ত আজান হয় মসজিদের মিনারে নামাজিদের আসা-যাওয়া গোরের কিনারে। সবাই যেন দোয়ায় বলেন, গাফুরুর রাহিম তুমি তাঁকে ক্ষমা করো, তোমার দয়া অসীম।

ভালোবাসতেন মাতৃভূমির সোনাফলা মাটি মাটির বুকে শুয়ে আছেন যেমন জিয়নকাঠি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।