বর্তমান সমাজে মিডিয়ার ভুমিকা যে কতটা গুরুত্তপুণ্য তা আমরা সবাই জানি. আমার গত পোস্ট এ আমি সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম, ব্লগিং করে আমরা সমাজের কতটুকু পরিবর্তন করতে পারব. গতকাল youtube এ আমির খান এর সত্যামেভা জায়াতে (satyameva jayate ) অনুষ্ঠানটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে এবং মনে হয়েছে, মিডিয়া এবং আমাদের তারকারা চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে এ দেশের জন্য. প্রথমে দুটো বলিউড সিনেমার কথা বলি. কিছু কারণে আমি এখন আমির খান এর মহা ভক্ত. তার প্রডাকশন এর "Taare Zameen Par " আমার বিদেশী বন্ধুরাও অনেক প্রশংসা করেছে. সিনেমাটি হিট করেছে, ভালো লাভ করেছে, কিন্তু তার থেকে বড় কথা, সিনেমাটি dyslexic এ আক্রান্ত শিশুদের জন্য কিছু করেছে. আর যেহেতু সাধারণ মানুষ পত্র পত্রিকা না পরলেও বা বোরিং শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান না দেখলেও সিনেমা দেখতে পছন্দ করে তাই আমি মনে করি সিনেমাটি আমার মত আরো অনেক মানুষ কে বুঝিয়েছে যে কিছু শিশু আছে যারা অন্য সবার মত পড়ালেখা করতে পারে না, তাদের আলাদা সেবা প্রয়োজন. 3 idiots নামে আমির খান অভিনীত ছবিটিও ভালো হিট. ছবিটি অনেক মানুষের মনের কথা বলেছে. সিনেমার সব ক্রেডিট Chetan Bhagat যিনি Five Point Someone নামে বইটি লিখেছেন. এখানে দেখানো হয়েছে কিভাবে আমরা পরীক্ষায় নাম্বার এর পেছনে দৌড়াই. কিভাবে বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজের ইচ্ছাকে বিসর্জন দেই. আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে অনেক কথা হয় কিন্তু এখনো মুখস্ত বিদ্যা, ভর্তি পরীক্ষা সহ কিছু বিষয় দেশের ছাত্রছাত্রী দের হয়রানি করে যাচ্ছে. যে শিক্ষাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো কোনো science এর সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে চায়, সে হয়ত SSC এবং HSC তে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে ৯৫% নাম্বার পেয়েও তার আকাঙ্খিত বিষয় পাবে না তার SSC এবং HSC তে বাংলা, ধর্ম বা ইংলিশ এ খারাপ করার জন্য. এটা উন্নত অনেক দেশেই পুরো আলাদা. অন্যান্য বলিউড হিরোদের মত আমির খানও শুরু করলো তার টিভি প্রোগ্রাম. কিন্তু মানুষ হাসানোর পরিবর্তে এই অনুস্ঠান দেখে অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি. youtube এর কল্যাণে সবাই অনুষ্ঠানটি দেখতে পারেন এই লিঙ্ক এ . অথবা সার্চ করুন : satyameva jayate দিয়ে. অনুষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য শুধু সমাজের অন্ধকার অংশ গুলো দেখানো নয়, সাথে সেগুলো পরিবর্তন এ অংশীদার হওয়া. আমাদের দেশেও অনেক ভালো অনুষ্ঠান হয় যেমন তৃতীয় মাত্রা. কিন্তু এর দর্শক কতজন এবং কারা? আমার বিশ্বাস তরুণ সমাজের কাছে এটি কোনো জনপ্রিয় অনুষ্ঠান নয়. আর আমাদের চলচিত্রের মাধ্যমে আমরা কতটুকুই বা ভালো কিছু করতে পারছি. পরিশেষে বলতে চাই, যদিও অনেকের কাছে এখন ভারতীয় চলচিত্র এবং টিভি চোখের বিষ, কিন্তু তারপরেও সব খারাপের থেকে আমাদের উচিত ভালো কিছু বের করে আনা আর সেগুলো থেকে কিছু শেখা. আমার এই লেখা ভারতের কোনো দালালি নয়, আমি বলতে চাইছি- পড়ালেখা বা শিক্ষামূলক কোনো কিছু বোরিং হবার দরকার নেই, ইস্কুল কলেজের পড়ালেখা থেকে শুরু করে আমাদের এই বদলে যাবার মিছিলও আমরা মিডিয়া এবং রুপালি পর্দায় আনন্দদায়ক ভাবে উপস্থাপন করতে পারি. আর এভাবেই সম্ভব পরিবির্তন এর আলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া. সবাইকে ধন্যবাদ . (লেখাটি বদলে যাও বদলে দাও ব্লগ এর জন্য লিখেছিলাম)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।