আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জোছনা

আমি যা বিশ্বাস করি না... তা বলতেও পারি না! সফিক এহসান (২২ জুন ২০০৫ইং) ভ্যাপসা গরমে মানুষ অতিষ্ট। এর মধ্যে আবার সন্ধ্যার পরই কারেন্ট চলে গেছে। সৈকত উঠানে একটা টুল নিয়ে বসে আছে। এই গরমের মধ্যে গাছের একটা পাতাও নড়ে না! সৈকতের ইচ্ছা করছে কোন পুকুরে ডুব দিয়ে থাকতে। কিন্তু তা সম্ভব না।

কারণ, ঢাকা শহরে কোন পুকুর নেই। পুকুরের মত দেখতে যেগুলো আছে সেগুলো হয় ‘মৎস খামার’ নয়তো নর্দমা! পুকুরের অভাবটা তাই ভেজা গামছা দিয়ে পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সৈকত। ভেজা গামছায় ডুব দিয়ে থাকা না গেলেও গায়ে জড়িয়ে রাখলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। যতক্ষণ কারেন্ট ছিলো ততক্ষণ বাইরে বাতাসও ছিলো। কারেন্ট যাওয়ার সাথে সাথেই বাতাসও বন্ধ হয়ে গেছে।

তার মধ্যে আবার মশার অত্যাচার তো আছেই। সৈকত যখন গরম এবং মশার সাথে রীতিমত যুদ্ধ করছে তখন সৈকতের বড় ভাই ইমতিয়াজ ঘর থেকে খালি গায়ে বের হয়ে আসলো। তারপর সৈকতের সামনে একটা টুল টেনে এনে বসতে বসতে বলল: গরম তাহলে পড়েই গেল না? সৈকত বা হাতের ওপড় বসা একটা মশাকে স্বশব্দ থাপ্পরে ভর্তা বানিয়ে দিয়ে জবাব দিলো: গরমের দিন গরম পড়বে নাতো কুয়াশা পড়বে নাকি! : না মানে আজ থেকে সরকারী ভাবে গরম পড়া শুরু হলো কিনা। : সরকারী ভাবে গরম পড়েছে মানে? গরম কি সরকার ফালায় নাকি? : আহা, তা বলছি না। দেখছিস না আজ থেকে লোড শেডিং শুরু হলো! লোড শেডিং শুরু হওয়া মানে সরকারী ভাবে গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়া।

এজন্যই শীতকালে কারেন্ট যায় না। কারেন্ট যায় গরমের দিনে। সৈকত ইচ্ছা করলে তর্ক করতে পারতো। কারণ, এখন গ্রীষ্মকাল না; মাত্র চৈত্র মাস। তবুও ভাইকে খুশি করার জন্য বলল: ও আচ্ছা, বুঝলাম।

ইমতিয়াজ তার টুলটা সৈকতের দিকে আরেকটু এগিয়ে এনে খুশি খুশি গলায় বলল: তুই বুঝতে পেরেছিস? ভেরি গুড! বলতো তুই এতো সহজেই বুঝতে পারলি কেন? বলতে বলতে ইমতিয়াজ আরও একটু এগিয়ে এলো। সৈকত বিরক্তির সাথে বলল: একটু সরে বসো না; কোলে উঠে যাচ্ছো দেখি! ইমতিয়াজ ওর কথায় কান দিলো না। সে বলতে লাগলো: তুই ব্যাপারটা এতো সহজে বুঝতে পারলি এর কারণ হলো, তুই পুরুষ মানুষ। অথচ ঠিক এই কথাটাই তোর ভাবিকে সন্ধ্যার পর থেকে এই পর্যন্ত একশ’ বার বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু সে বোঝেনি। লোকে বলে না- মহিলা মানুষের মোটা বুদ্ধি! কথাটা ঠিকই বলে।

তোর ভাবির মাথা এতো মোটা যে ঘুমানোর সময় এক বালিশে জায়গা হয় না, পাশাপাশি দুইটা লাগে। সৈকত তার কথার উত্তর দিলো না। কথাটা ভুল না হলেও সম্পূর্ণ ঠিকও না। এমন অনেক মহিলা আছেন যাদের মাথা ব্লেডের মত শার্প। তাছাড়া যেখানে দেশটাই চলছে...; যাক সেকথা।

ইমতিয়াজ একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল: বুঝলি, তোর ভাবি আমার জীবনটা ছাড়খার করে দিলোরে;সেদিন কি হয়েছে শোন.... সৈকতের বিরক্তি লাগতে শুরু করলো। এবং তা চরমে উঠলো যখন কারেন্ট চলে এলো। এই গরমের মধ্যে কারেন্ট চলে আসাটা খুব আনন্দের হবার কথা। কিন্তু সৈকতের হলো উল্টোটা। কারণ, ভোল্টেজের অবস্থা খুবই খারাপ।

লক্ষণ ভাল না। এর মানে হচ্ছে কারেন্ট আবারও যাবে এবং ভোর রাতের আগে আর আসবে না। তেমনটি হলে খবর আছে! বেশিক্ষণ লাগলো না। পাঁচ মিনিটের মাথায় পুরো শহর অন্ধকার করে কারেন্ট চলে গেল। এর প্রায় সাথে সাথেই ঘর থেকে সৈকতের ভাবি একটা পাটি হাতে বের হয়ে আসলো।

সেটা উঠানে বিছিয়ে বসতে বসতে ভাবি বললেন: কী কর সৈকত? সৈকত নিরস কণ্ঠে জবাব দিলো: মশা গুনি। : মশা গুনো? খুব ভাল, বাংলাদেশে কয়টা মশা আছে জানা দরকার। মানুষের আদম শুমারি থাকলে মশার থাকবে না কেন? পৃথিবীতে মানুষের যতটুকু অধিকার, প্রাণি হিসেবে মশারও ততটুকুই অধিকার, নাকি বলো? তা এই পর্যন্ত কয়টা গুনলা? : যোগ করি নাই, আপাতত খালি জমাচ্ছি। : যোগ কর নাই কেন? গুনতে কষ্ট হলে ঘর থেকে ক্যালকুলেটর এনে দেই! ইমতিয়াজ আর চুপ থাকতে পাড়লো না। মুখ বাকিয়ে বলল: ক্যালকুলেটর লাগবে কেন? তুমি না স্টার মার্কস পাওয়া ছাত্রি।

অঙ্কে সব সময় লেটার মার্কস পেতে। তুমিই যোগ করে দাও। ভাবি ঘাড় বাকিয়ে জবাব দিলেন: তুমি দেবর-ভাবির কথার মধ্যে বা হাত ঢুকাচ্ছো কেন? তুমি ঝিম ধরে বসে থাকো আর সরকারীভাবে গরমের সাথে আর কী কী পড়ে তা নিয়ে গবেষণা করো। ইমতিয়াজ আর কথা না বাড়িয়ে চুপ হয়ে গেল। ভাবি পাটির সাথে একটা হাত পাখাও এনেছিলেন।

সেও চুপচাপ বাতাস খেতে লাগলেন। বাইরের গেটে কে যেন কড়া নাড়ছে। সৈকতদের বাড়িটা একতলা হলেও জায়গাটা বেশ বড়। গাছ গাছালিতে উঠান ভর্তি থাকায় পাড়ার লোকেরা নাম দিয়েছে ‘বাগান বাড়ি’। বাইরের গেটটা একেবারে বাড়ির শেষ মাথায়।

সৈকত উঠে গেট খুলতে চলে গেল। কে? গেটের বাইরে থেকে একটা মিনমিনে গলা শোনা গেল: আমি, আমি সিয়াম। সৈকত গেট খুলে দিয়ে বলল: ভেতরে আয়। : না থাক, তুই-ই বাইরে আয়। সৈকত বাইরে এসে গেটটা ভিড়িয়ে রাখলো।

তারপর, কোথায় গিয়েছিলি? : মুদির দোকানে, এক হালি ডিম কিনতে। : তা জিজ্ঞেস করি নি; এই ক’দিন কোথায় ছিলি? দেখি নাই যে? সিয়াম লাজুক হাসলো। নানা বাড়ি গিয়েছিলাম। : হঠাৎ নানা বাড়ি কি মনে করে? : মামাতো ভাইয়ের বিয়ে হলো তো তাই। : এই গরমের মধ্যে বিয়ে করলো! : কেন গরমের মধ্যে বিয়ে করা যায়েজ না? কোন হাদিসে লেখা আছে নাকি! : না, তা না।

শীতেরদিনে বিয়ের অনুষ্ঠান করলে কিছু সুবিধা আছে। যেমন ধর, গরম লাগে না বলে এক ঘরেই অনেক লোকজন গাদাগাদি হয়ে থাকতে পারে; তারপর ধর খাবার-দাবারও সহজে নষ্ট হয় না। : বাহ্! বিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছিস দেখি! : এসব জানতে বিশেষজ্ঞ হওয়া লাগে না; কমন সেন্স থাকলেই হয়। সিয়াম চুপ হয়ে গেল। এটা সিয়ামের ছোট বেলার স্বভাব।

মাঝে মাঝে সে অল্পভাষি হয়ে যায়। তখন প্রশ্নের জবাব ‘হ্যাঁ’ ‘না’ দিয়ে দেয়। দেখে মনে হয় না জানি কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সে ভাবছে; ভেবে কোন কুল কিনারা পাচ্ছে না। আকাশে বিরাট একটা চাঁদ উঠেছে। অতো বিরাট না, তবে সৈকতের কাছে তাই মনে হচ্ছে।

শহরের মানুষ পূর্ণিমা-অমাবস্যার হিসাব রাখে না। অবশ্য তারা তেমন কোন কিছুরই হিসাব রাখার প্রয়োজন মনে করে না। কাওকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়- আজ বাংলা মাসের কত তারিখ? তাহলে সে ভীষণ বিপদে পড়ে যাবে। কারণ, এমন অনেকেই আছে যারা বাংলা তারিখ তো দূরের কথা মাসের নামই জানে না। শহরবাসিরা যে হিসাব খুব ভাল রাখে তা হচ্ছে টাকার হিসাব।

তারা যন্ত্রের সাথে বাস করতে করতে অনেকটাই যান্ত্রিক হয়ে গেছে। তাদের কাছে পূর্ণিমা-অমাবস্যার মত সামান্য জিনিষের হিসাব রাখা বিরাট একটা বট গাছের পাতা গোনার মতই অর্থহীন। এসব হিসাব রাখবে কবি সাহিত্যিকরা আর চোরেরা। কেননা অমাবস্যায় চুরি করতে সুবিধা! আর তাই আজ হঠাৎ করে চাঁদ দেখে সৈকতের মনে হচ্ছে চাঁদটা যেন আজ খানিকটা নিচে নেমে এসেছে। খানিকটা না, বেশ অনেকটা।

চব্বিশ তলার ছাদে উঠলে হয়তো ধরা যেত। : সিয়াম! চাঁদটা সুন্দর না! : হুঁ। : কত বড় লাগছে দেখেছিস? : হুঁ। : হুঁ, হুঁ করছিস কেন? : হুঁ। : ঐ ব্যাটা, তোকে না বলেছি আমার সাথে হুঁ হুঁ করবি না।

লাত্থি মেরে তোর হুঁ হুঁ ছুটিয়ে দেব। সিয়াম এবার সৈকতের দিকে তাকিয়ে লাজুক হাসলো। যেন এই মাত্র সে ঘুম থেকে উঠেছে; সৈকত এতোক্ষণ কি বলছিলো সে তার কিছুই শুনেনি। সৈকত তার কথাগুলো রিপ্লে করলো। চাঁদটা সুন্দর না! : চাঁদ সুন্দরই হয়।

: তা অবশ্য ঠিক; পূর্ণিমার চাঁদের মত সুন্দর জিনিষ আর নেই; তাই না? : তোকে কে বলেছে? পৃথিবীর কোন দৃশ্যের মত সুন্দর দৃশ্যই আর নেই। সৈকত ভ্র কুচকে বলল: এটা আবার কী বললি? : এর অর্থ হচ্ছে পৃথিবীর প্রত্যেকটা দৃশ্যই সুন্দর। কোনটার সাথে কোনটার মিল নেই। যখন আমরা সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দেখি তখন বলি- ইস্ কি সুন্দর! আবার যখন কোন বাচ্চার হাসি দেখি, তখন বলি- বাচ্চাদের হাসি কি পবিত্র! এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর নেই! সৈকত বলল: তাতে কী হলো? : তাতে এই হলো যে, পৃথিবীর প্রত্যেক অনুভূতিই আপেক্ষিক। একটা জিনিষের সাথে তুলনা করে আরেকটা জিনিষের ভাল মন্দ বিচার করা হয়।

যেমন ধর- কাক আর কোকিলের কথা। আমরা বলি কোকিল কাকের চেয়ে সুন্দর। কিন্তু তাই বলে কি কাকের কোন সৌন্দর্যই নেই? আসলে আছে। আমরা কখনও কাককে ভাল মত দেখি না। এর কারণ হলো- কাকের কণ্ঠ কর্কশ।

ঐযে কথায় আছে না- যে দেখতে ভাল না তার চলন বাঁকা! কাকের কণ্ঠ কর্কশ বলেই সে দেখতে কুৎসিত এমন ভাবা ঠিক না। এই অর্থে প্রকৃতির সবই সুন্দর। সৈকত সিয়ামের লম্বা বক্তিতা থামিয়ে বলল: তাহলে আমরা এখন কি করব? খাচায় কাক পোষা শুরু করব? তারপর কাক নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করব- হে কাক, তুমি কত সুন্দর- জানে না তো কেহ... সিয়াম স্বহাস্যে বলল: তোকে কবিতা লিখতে হবেনা। জীবনানন্দ দাশ তার কবিতায় কাক হতে চেয়েছিলেন। পড়িস নি- “আবার আসিব ফিরে ধান সিড়িটির তীরে এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয়- হয়তোবা শঙ্খচিল শালিকের বেশে; হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিক নবান্নের দেশে.....” :বাহ্! কবি হয়ে গেছিস দেখছি; মুখে মুখে কবিতা আওরাচ্ছিস! সিয়াম যথারীতি লাজুক হাসলো।

এখন ওরা দাঁড়িয়ে আছে রেল লাইনের পাশে। জোড়ে জোড়ে হুইসেল দিতে দিতে একটা আন্তঃনগর ট্রেন যাচ্ছে। কয়েকটা কুকুর এতোক্ষণ রেল লাইনে শুয়েছিলো। ট্রেনের আগমনে সেগুলো লাইন ছেড়ে ওদের পাশে এসে দাঁড়ালো। সিয়াম সেগুলোর দিকে তাকিয়ে বলল: আমার একটা কুকুর ছিলো জানিস? : হঠাৎ কুকুর কেন? কুকুর নিয়েও জীবনানন্দ দাস কোন কবিতা লিখেছে নাকি? : দেখ সব সময় ফাজলামি করবি না।

: আচ্ছা বল। : আমার একটা কালো কুকুর ছিলো; নাম ছিলো কালু। : কালু! কালো কুকুর বলে কালু? লাল হলে কি হতো- লালু? : মে বি, এটাই নিয়ম। : দারুণ নিয়ম তো! সাদা একটা কুকুরের নাম হবে তাহলে- সাদু! সারাদিন সেটাকে ডাকা হবে ‘সাধু, সাধু’ বলে। হা-হা-হা।

সিয়াম মহা বিরক্ত হয়ে বলল: তুই কী কুকুরের নাম নিয়ে গবেষণা করবি নাকি কাহিনীটা শুনবি? : আচ্ছা বল তোর সাধুর গল্প। থুক্কু কালুর গল্প। সিয়াম শুরু করলো: কুকুরটা আমার খুব প্রিয় ছিলো। স্কুল থেকে আসতে না আসতেই কুকুরটা আমার ওপড় ঝাপিয়ে পড়তো। কুকুরটা....।

: প্রত্যেক লাইনে এতো কুকুর কুকুর করছিস কেন? কুত্তা বল। কুত্তা না বললে দেশি দেশি লাগছে না। মনে হচ্ছে তুই কোন ‘ব্লাড হাউন্ডের’ কথা বলছিস। :তুই কি করে বুঝলি আমি দেশি কুকুরের কথা বলছি? বিদেশি হতেও তো পারে! : অসম্ভব! অবশ্যই ওটা দেশি কুকুর ছিলো। বিদেশি হলে তুই ওটার নাম কখনই কালু-ভুলু রাখতি না।

তখন নাম রাখতি ‘মার্টিন সিয়াম’। নিজের নামের সাথে মিলিয়ে সুন্দর একটা নাম রাখতি। : তোর এতো কথার দরকার কি? একটা গল্প বলছি, তুই গল্প শোন; কুকুর বলব না ডগ বলব সেটা আমার ব্যাপার। : আচ্ছা বল; তবে কুকুর বলতে পারবি না, কুত্তা বলতে হবে। সিয়াম একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাটির দিকে তাকিয়ে রইল।

মাটিতে চাঁদের আলোয় তাদের দু’জনের ছায়া পড়েছে। সিয়াম বিড়বিড় করে বলল: তোকে আমার একটা দুঃখের কাহিনি শোনাতে চেয়েছিলাম...। সৈকতের কানে সেকথা গেল না। সে মন্ত্রমুগ্ধের মত চাঁদ দেখছে। কি অপুর্ব চাঁদ।

চাঁদের বুকে আবার কালো দাগ। বৈজ্ঞানিক মতবাদ হলো- চাদের ঐ স্থানটা পাহাড়ি এলাকা। সেজন্য এমন কালো দেখায়। সৈকতের কাছে দু'টি কারণে মতবাদটা গ্রহনযোগ্য নয়। প্রথম কারণ, পাহাড় হলেই তা কালো দেখাতে হবে কেন? এবং দ্বিতীয় কারণ- পাহাড়ই যদি হবে তাহলে তো সেটা চাঁদের সাথে সাথেই ঘুরবে।

কিন্তু তা তো কখনো হয় না। আমরা সব সময়ই দাগটা চাঁদের একই জায়গায় একই রকম দেখি। তবে পাহাড়ই হোক আর কুয়াই হোক দাগটার জন্য চাঁদটা যেন আরও সুন্দর লাগছে। সিয়াম সৈকতের দেখা দেখি উপর দিকে তাকালো। চাঁদ দেখার জন্য না; সৈকত চাঁদের দিকে তাকিয়ে কী দেখছে তা দেখার জন্য।

চাঁদ থেকে ভিনগ্রহের কনো প্রাণি আসছে নাতো! : সৈকত! : হুঁ। : কী দেখিস? : হুঁ। : হুঁ, হুঁ করছিস কেন? : হুঁ। : আরে! এ দেখি আমার স্টাইল আমাকেই দেখায়! সৈকত চাঁদের দিক থেকে দৃষ্টি না ফিরিয়েই জবাব দিলো: হুঁ। জোছনা খুবই বিচিত্র একটা ব্যাপার! ----------০---------- ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।