আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটা উক্তি বা বক্তব্য অনেক সময় প্রশাসনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যায় , দয়া করে একটু সচেতন হবেন কি ?

বেশি পিছনে গেলাম না - শুরুটা করি গত ২০১১ সালের কথা দিয়ে (১)- গত ৪ আগস্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকালে মন্ত্রী বলেন, আমি বললে তো আপনারা রাগ করবেন। কম খান। (২) ৬ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে মন্দিরে চুরি হয়েছে। (৩)-৮ মার্চ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আপনারা নোবেল প্রাইজটাকে এত বড় করে দেখছেন কেন? বাংলাদেশে যদি শান্তির জন্য নোবেল প্রাইজ পেতে হয় তাহলে আমি বলব, দু’জনের পাওয়া উচিত ছিল— শেখ হাসিনা আর সন্তু লারমার। (৪ ) -গত ১৩ জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বের সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

এ সময় জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নিজের ধর্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমি মুসলমানও নই, হিন্দুও নই। ’ (৫ )- গত ৫ জুন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বক্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, সিপিডির বক্তব্য অত্যন্ত অন্যায়, দুষ্ট এবং ‘টোটালি রাবিশ, বোগাস’। (৬ )-১২ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার মাধ্যমে ফি আদায়ের প্রসঙ্গ এলে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বিনা ফি’তে ট্রানজিট দেয়ার কথা জানান। ট্রানজিটের বিনিময়ে ফি আদায় নাকি অসভ্যতা (!) বলে মন্তব্য করেন এই উপদেষ্টা। (৭ )- টিপাইমুখে ভারত বাঁধ ও জলবিদ্যুত্ প্রকল্প নির্মাণে চুক্তি করার খবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও ড. গওহর রিজভীকে দিল্লি পাঠান বাস্তব পরিস্থিতি জানতে।

সফর শেষে গত ৩ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন এই দুই উপদেষ্টা। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে সফরের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। প্রতিক্রিয়াকালে ড. গওহর রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘টিপাইমুখ বাঁধে আমাদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না; বরং ভালোই হবে। আমরা একেবারেই সেটিসফাইড হয়ে এসেছি। এ নিয়ে ভারত যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।

এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। ’ (৮ )-২৮ আগস্ট সচিবালয়ে নৌপরিহনমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে নৌপরিবহনমন্ত্রী ও পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খান বলেন - ‘বাস্তবতা হলো, দেশে চালকের সঙ্কট আছে। এজন্য অশিক্ষিত চালকদেরও লাইসেন্স দেয়া দরকার। আর চালকরা সিগন্যাল চেনে, গরু-ছাগল চেনে, ভেড়া-মহিষ-মানুষ চেনে। সুতরাং তাদের লাইসেন্স দেয়া যায়।

(৯ )- ৪ অক্টোবর এ ধরনের একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ওইদিন তার মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘কবে তিস্তা চুক্তি হবে’ সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বেশ ক্ষুব্ধ হন দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘আপনারা কেন হতাশ হচ্ছেন, আমি বুঝতে পারছি না। আমি গণক নই যে বলতে পারব, তিস্তা চুক্তি কবে হবে। ’ (১০) ১৬ সেপ্টেম্বর নিজ নির্বাচনী এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত চালকদের পক্ষ নিয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ড্রাইভারও ফাইভ পাস।

সে-ও ভালো গাড়ি চালায়। ’ একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই - আমি কাউকে হেয় পতিপন্ন করার জন্যে এই লিখা লিখলাম না তবে একজন মন্ত্রী বা সাবেক মন্ত্রীদের বক্তব্য যদি এমন হয় তাহলে জাতি শুধু হতাশ হবে না , জাতি তাদের কাজের বিষয় নিয়ে ও চিন্তিত হবে - মাত্র ১০ তা বক্তব্য লিখলাম আরো অনেক আছে তবে মূল কিছু সমস্যা ভিত্তিক কথা না বললে হয় না তাই ১০ তার মধ্যে সীমাবদ্ধ রইলাম - (স্বাম) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.