আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজপথে আলপনায় নতুনের আবাহন

হাজার হাজার তরুণ-তরুণী, শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সীদের হাতে হাতে রঙের ব্রাশ। সবাই মিলে রাজপথে আঁকছেন আলপনা। একটু একটু করে পিচঢালা কালো পথ দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে বহুবর্ণিল নকশায়। বাংলা নববর্ষের আগের রাতে গত শনিবার এমন দৃশ্য ছিল জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের দীর্ঘ-প্রশস্ত পথ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। ‘আলপনায় বৈশাখ’ নামের এ বিশাল অঙ্কন কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হয়েছে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারটেল ও প্রথম আলোর উদ্যোগে।


নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আলপনা আঁকার এ উদ্যোগ শুরু হয়েছিল গত বছর। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও আয়োজিত হলো সড়কটির মাঝের বিভক্তিরেখার উভয় পাশে প্রায় তিন লাখ বর্গফুটজুড়ে আলপনা আঁকার উৎসব।
এ আয়োজনে সহায়তা দিয়েছে বার্জার পেইন্টস, এশিয়াটিক ৩৬০ মার্কেটিং কমিউনিকেশন। আঁকাআঁকিতে সহযোগিতা করেছেন প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুরা।
দীর্ঘ এ আলপনা আঁকায় শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, রফিকুন নবী ও মনিরুজ্জামান নেতৃত্ব দেন।

সড়কের বিভিন্ন অংশে মোট ১৬টি দলে আঁকার কাজ চলেছে। প্রতিটি দলে ছিলেন ২০ জন তরুণ শিল্পী। তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ও ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা শিক্ষার্থী।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ দিকের সড়কের পাশে বিশাল আকারের ডিজিটাল পর্দার সামনে ছোট্ট একটি মঞ্চে এ অঙ্কন কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক।

আলপনা আঁকা কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাতীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত স্পিকার শওকত আলী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, এয়ারটেলের বিপণনপ্রধান মীর নওবত আলী, বার্জার পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী ও শিল্পী মনিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।
আলপনা আঁকার কাজ উন্মুক্ত ছিল সবার জন্য। সারা রাত তাই শিল্পীদের পাশাপাশি এতে হাত লাগিয়েছেন সব বয়সের মানুষ।


রাতের প্রথম প্রহরে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি বেশি থাকলেও মধ্যরাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দল বেঁধে এসেছে পরিবারগুলো। বাবা-মায়েরা ছোট ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বাঙালি সংস্কৃতির এই অন্যতম অনুষঙ্গ আলপনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে। রীতিমতো আনন্দঘন উৎসবমুখর পরিবেশ। আর মধ্যবয়সীরা এসেছিলেন পুরোনো বন্ধুদের নিয়ে। আলপনা আঁকার পাশাপাশি করেছেন স্মৃতির রোমন্থন।


সারা রাত ধরে চলা এ আলপনার কাজ শেষ হয় ভোরে। ভোরে এ সড়ক দিয়ে হাঁটতে আসা মানুষ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলেন। বাস থেকে যাত্রীরা বিরাট এ আলপনা দেখে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন তাঁরাও। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে ২০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।