আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালো বিড়াল গুম খুন এবং আইনের ঘরে সুবিধার দরোজা

এই ব্লগটি নোমান বিন আরমান'র দায়িত্বে প্রবর্তিত। এখানে মাঝেমধ্যে তিনি আসেন। numanbinarmanbd@gmail.com নোমান বিন আরমান : রাষ্ট্রের কাছে জনগণের প্রত্যাশা কী? এক শব্দে বলতে বললে, উত্তর হবেÑ নিরাপত্তা। জীবনের নিরাপত্তা, খাদ্যের নিরাপত্তা, চিকিৎসার নিরাপত্তা, শিার নিরাপত্তা, নিশ্চিন্তে বলার, ভাববার নিরাপত্তা এবং আরও আরও নিরাপত্তা। View this link] বিস্তারিত একজন নাগরিকের স্বাভাবিক জন্ম, জীবন ও মৃত্যুর নিশ্চয়তা দেওয়াই রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য।

রাষ্ট্রের কাছে জনগণের প্রত্যাশা এই নিরাপত্তাই। যেখানে এই নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়, সেখানে রাষ্ট্রের কার্যকারিতা ও যৌক্তিকতা প্রশ্নের মুখে পড়ে। পড়তে বাধ্য। এইসব নিরাপত্তার মানদণ্ডটা কী হবে। কীভাবে বুঝা যাবে রাষ্ট্র জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

এর উত্তর- আইনের শাসন। যেখানে আইনের শাসন আছে, সেখানে জনগণের প্রত্যাশা ঠিক ঠিকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে_ এমনটা বলাই যায়। রাষ্ট্র পরিচালিত হয় আইনের মাধ্যমে। প্রত্যেক নাগরিকই সে আইনগুলো ‘মেনে নিয়ে’ রাষ্ট্রের আনুগত্য করেন। রাষ্ট্রকে তার কর্তৃত্ব ও প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার দেন।

তাই একজন যে রাষ্ট্রের সদস্য (নাগরিক) হবেন, তিনি ওই রাষ্ট্রের আইন-ই তার সকল নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে যেনেই নাগরিক হন। নাগরিক থাকেন। এই আইন কারো কাছে গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র বা হতে পারে ইসলাম। এতে কোনো সমস্যা নেই। আমরা দেখবো, যে আইন একজন নাগরিক মেনে নিয়েছেন বা যে আইনের অধীনে আছেন, সেখানে আইন তার পথেই চলছে_ না, ‘সুবিধার’ দরোজা খোলা রাখছে।

যেখানে আইন ‘বক-অন্ধ’ সাজে সেখানে সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা ব্যহত হয়। হবে। এ আর নতুন কী। ০ দুই ০ আইনের ঘরে সুবিধার দরোজা খোলা রাখার এমন চিত্রই এখন বেশি চোখে পড়ছে। সুবিধাবাধীদের সুযোগ দেওয়ার ঘটনা আইনের নিয়তিতে পরিণত হয়েছে।

বলার কেউ নেই। বদলানোর কেউ নেই। আইনকে হাত ধরে আইনে নিয়ে আসার লোক নেই। কারণও আছে, যারা আইনকে পরিচালনা করছেন, তারাই এখন আইনকে ‘হাইকোর্ট-সুপ্রীমকোর্ট’ দৌড়াচ্ছেন। ফলে আইন আর আইনে থাকতে পারছে না।

থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। ‘দুর্ভাগা জনগণকে’ পড়তে হচ্ছে, ‘আইন প্রণেতারাই আইন মানেন না’। প্রত্যেক জিনিসই তার উপযুক্ত স্থানে থেকে সঠিক কাজটি করতে পারে। যখনই স্থানচ্যুতি ঘটে, বিপদ তখন অনিবার্য হয়ে ওঠে। স্থানচ্যুতির বিপদ ও বিপর্যয় এড়ানো যায় না।

একটি ছেলে স্টেশনে ঘুরে ঘুরে আওয়াজ করে চা ফেরি করছে- ‘চা গরম। চা গরমমমম। ’ তার পরের প্রশ্নটি আপনারা জানেন। একজন লেখক (নামটি মনে পড়ছে না) বলেছিলেন, চা তো গরমই হবে। এর জন্য আর অ্যাড দেওয়ার দরকার কি? আইনের ব্যাপারটিও এমন _আইন তো, আইনের পথেই চলবে।

কারো জন্য সুবিধার দরোজা সে খোলে রাখবে না। এরপরও যখন শোনতে হয়, ‘আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে’ তখন সামান্য হলেও খটকা লাগে। তবে কি ‘শীতের জন্য দরোজা খোলা রেখে ‘ঠাণ্ডা’ করা চা গরম বলে গিলাতে চাইছে! অপরাধীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার কথা যখন আসছে, তখন কর্তাবাবুরা আমাদের ‘চা গরমমমম’র গল্পই শোনাচ্ছেন। কেনো, আইন তো তার ‘নিজস্ব পথেই’ চলবে। চলার কথা।

এর জন্য অ্যাড দেওয়ার দরকার পড়ে কেনো? সুবিধার দরোজা খোলা থাকার চিত্র ঢাকতেই কি! সুবিধার হাওয়া খাওয়ার জন্য যখন আইনের ঘরে দরোজা খোলে দেওয়া হবে, তখন তার সাথে বাইরের বর্জ আসবে। নোংরা করবে আইনের ‘পবিত্র’ দৃষ্টিকে। জং পড়বে তার ‘চেতনায়’। ভুলবে নিজেকে। আর যে নিজেকে ভুলে যায়, অপবিত্র হয় দৃষ্টি এবং জং পড়ে চেতনায়_ সে তো ভুল বলবে আর ভুল দেখবেই।

সাদা পোশাক পরা দাগি অপরাধীকে তার কাছে ‘দরবেশ’ বলে মনে হবে। দৃষ্টি যাকে দরবেশ বলে স্বীকার করে নেয়। তার খুঁত চোখে পড়বে না। তার অপরাধ গণ্য হবে না। উপরন্তু তাকে ‘বেকসুর’ প্রমাণ করাই অপবিত্র হয়ে যাওয়া আইনের সেই দৃষ্টির প্রধান কর্তব্য হয়ে দেখা দেবে।

দরবেশ বলে কথা! ০ তিন ০ ‘আইনের’ চোখের এই দরবেশদের সংখ্যা এখন বাড়ছে। শুধু বাড়ছেই না, প্লাবনের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। অনিবার্য করে তুলছে ‘নুহের প্লাবন’কে। আমরা বড় বেঁচে যেতাম, একটি কিশতি তৈরির প্রেতি দেখিয়ে সেই প্লাবন এখনই নাযিল হলে। কিন্তু তা এখনই হচ্ছে কই? গেলো মাস কয়েক কয়েকটি শিরোনাম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে গেছে।

ভাবিয়েছে। কাঁপিয়েছে। এই লেখা তৈরি পর্যন্ত সর্বশেষ শিরোনামটি করেছে আতঙ্কিতও। সাধারণ মানুষ থেকে নিয়ে রাজনীতিক ও বিশ্বনেতারা পর্যন্ত কথা বলেছেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য ও সিলেটের রাজনীতির ‘মহীরুহু’ এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ সংবাদে।

তার আগে শুরুতে আলোচনায় ছিলো, ঢাকায় নিজ ফ্যাটে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড, কূটনৈতিক পাড়ায় সৌদি আরবের বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত কার্যলয়ের দ্বিতীয় কর্মকতা খালফ বিন মোহাম্মদ সালে আল আলী খুন। এরপরই শিরোনামে এলো ‘কালো বিড়ালের মুখ’। ‘ডিভাইট এন্ড রুল’ এই পলিসিতে এসব ঘটনাকে এক সূত্রে মিলাতে চান অনেকে। তাদের ধারণা আলোচিত-সমালোচিত সাংবাদিক দম্পতি খুনের ঘটনা থেকে মিডিয়া ও সমাজের দৃষ্টিকে সরিয়ে দিতে সৌদি কূটনৈতিককে হত্যা করা হয়েছে। তবে আমার তা মনে হয় না, কারণ ১১ ফ্রেব্র“য়ারি (২০১২) সাগর-রুনি হত্যার প্রায় এক মাস পর ৬ মার্চ খুন হন খালাফ।

এর আগেই কিন্তু মিডিয়ার দৃষ্টি সাগর থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলো। কোনো কিছুতেই আমাদের ‘ধৈর্য’ না থাকার ঐতিহ্য রয়েছে। স্বজন-পরিজন আর প্রয়োজন বাদ দিতে পারি_ ঐতিহ্যকে ছাড়তে পারি না। তাই কোনো কিছুই বেশি দিন মনে রাখতে চাই না। খুব দ্রুত ভুলে যাই।

ভুলতে ভালোবাসি। শোকসভা থেকে উঠে পার্টিতে মজে যেতে ব্রেক নেওয়ার দরকার পড়ে না। এমনটাই বরাবর ঘটে। ঘটছে। সাগর-রুনির ‘নির্মম’ ঘটনাটি ভুলাতে, ‘দৃষ্টি সরাতে’ একমাস অপো করে খালাফকে হত্যা করার দরকার ছিলো না।

শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে নতুন করে খেলতে নামা একটি চ্যানেল এর নিউজ এডিটর সাগর সরওয়ার ও প্রতিষ্ঠিত অপর একটি চ্যানেলের সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনির হত্যার বিষয়টি; অন্তত মিডিয়া সহজে ভুলে যাবে না বলে_ প্রায় বিশ্বাস সমান ধারণা ছিলো আমার মতো সাধারণদের। কিন্তু হলো কী, খালাফ হত্যার আগেই ভুলতে শুরুর সংস্কৃতিকে এগিয়ে আসতে দেখলাম। এনিয়ে নেটপাড়ায় বিস্তার কথা চালু আছে। একটি ব্লগের শ্লোগান পড়ার মতো, ‘সাগর-রুনি হত্যার বিচার/ প্রশাসন কেন নির্বিকার। তারপরই বড় করে লেখা ‘চা খাওয়ালেও চুপ হবে না ব্লগার।

’ এই কথাটিতে অনেক কথাই বলা হয়ে গেছে। তারপরও কে আর মনে রাখে কাকে। কেউ ভুলে না কেউ ভোলে। জয় ভুলন বাবু! তার মানে এই নয়, ‘ডিভাইট এন্ড রুল’ এর পলিসি এখানে কোনো কাজ করেনি। কাজ অবশ্য করেছে।

তবে ‘কর্তাবাবু’রা ঠিক এভাবেই খেলেছেন কি-না বলা মুশকিল। ইলিয়াস নিখোঁজের কাহিনীকে কিন্তু ‘দৃষ্টি ফেরানো’র কায়দা থেকে আলাদা করা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষও এইভাবেই বিচার করছেন। বিশ্বাসও। এই বিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিয়েছে, ইলিয়াসের মুক্তির ব্যাপারে মিডিয়ায় প্রকাশিত শর্তগুলো।

শর্তের প্রথমভাগেই রয়েছে, ৭০ লাখ টাকাসহ ধরা খাওয়া পদত্যাগী রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুকের ঘটনাটি ইলিয়াসের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে স্বীকার। এই স্বীকারোক্তির পর ‘নিখোঁজের’ দায়ভারও ইলিয়াসকে বহনের শর্ত দিয়ে বলা হয়েছে, নিজে ‘আত্মগোপনে’ ছিলেন এমন স্বীকারোক্তি এবং এরপর ‘দণ্ড’ _ রাজনীতি থেকে নির্বাসন। সুরঞ্জিতের এপিএসের এই টাকার বস্তাগুলো সম্পর্কে এখনও (২৩.০৪.১২) কোনো সুরাহা হয়নি। তবে ফারুক দাবি করছেন টাকাগুলো তার নিজের। এই দাবি পিলখানায় ধরা পড়ার সময়ই তিনি বিজিবির কাছে করেছেন।

আর মন্ত্রী সুরঞ্জিতও তার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। সংবাদ সম্মেলন করে ‘বড় গলায়’ বলেছেন, এটা ‘দুর্নীতি’ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত এপিএসের কিছুই হবে না। তাকে চাকরি থেকেও সরানো হবে না। কিন্তু তার এই ‘পলিটিক্স’ ধোপে ঠিকেনি। দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে এপিএসকে তিনি বরখাস্ত করেন।

এরপরও রেহাই না পাওয়ায় ওইরাতে গাড়িতে থাকা রেলের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান ইউসুফ আলী মৃধা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা এনামুল হককে তিনি সাময়িক বরখাস্ত করেন। এতেও কুল রা না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও পরামর্শে (দু’ভাবেই বর্ণিত) সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এই পদত্যাগের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতারা দাবি করেছিলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই সুরঞ্জিত পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এতে তদন্তে কোনো প্রভাব পড়বে না। এখন ঘটনার একটি ‘সুষ্ঠু’ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।

নেতাদের এই দাবি মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পরই মাত্র ৩০ ঘণ্টার ব্যবধানে তাকে আবার মন্ত্রীত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন গেজেট প্রকাশিত হয়, সুরঞ্জিত দফতরবিহীনমন্ত্রী। প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ বা নির্দেশে পদত্যাগ করার পর ‘এমন কার’ পরামর্শ বা নির্দেশ হাসিনার কাছে এলো, তিনি তাকে মন্ত্রীত্ব ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হলেন? এরা কি এই রাষ্ট্র, সংবিধানের চেয়েও বড়। একটি পত্রিকা দাবি করেছে, পার্শ্ববর্তী এক রাষ্ট্রের ‘অনুরোধে’ সুরঞ্জিতকে মন্ত্রীসভায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনা যাই হোক, মন্ত্রীত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার কারণে অর্থ কেলেঙ্কারির তদন্দকারীরা কি নির্দেশনা পাবেন, তা বলাই বাহুল্য।

রেলমন্ত্রী এপিএসের এই ঘটনায় তোলপাড় হয় সারাদেশ। ‘কাপড়ে-চোপড়ে বেইজ্জত’ বলতে যায় বুঝায় এর পুরোটাই হয় সরকার। আওয়ামীগের নেতারাই বলতে শুরু করেন, সভ্যসমাজে তারা মুখ দেখাতে পারছেন না। পুরো ঘটনায় সরকার মারাত্মক ইমেজ সঙ্কটে পড়ে। যে সঙ্কট তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।

মানুষের মুখে মুখে যখন ‘কালো বিড়ালের’ কথা, তখনই পদত্যাগে ‘বাধ্য’ হন সুরঞ্জিত। আর তার পদত্যাগের একদিনের মাথায় নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী। ১৬ এপ্রিল সোমবার বেলা সোয়া ১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সুরঞ্জিত। মঙ্গলবার রাতে নিখোঁজ ইলিয়াস। এই নিখোঁজকে ‘দৃষ্টি সরানোর’ থিওরিতে বিচার করতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়।

আর ইতোমধ্যে তো মিডিয়ায়ও সে কথাই আলোচিত হচ্ছে। বিএনপির দাবি, সরকারই ইলিয়াসকে অপহরণ করিয়েছে। তবে ঘটনার শুরু থেকেই র‌্যাব-পুলিশ তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়ী করছেন, খালেদাকে। তার নির্দেশেই ইলিয়াস ‘আত্মগোপন’ করে আছেন বলে তিনি বলেছেন।

আমরা বিশ্বাস করতে চাই, প্রধানমন্ত্রী নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়েই এমন দাবি করেছেন। আমাদের শুধু জিজ্ঞাসা, তাহলে ইলিয়াসকে বের করে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিতে দেরি কেন! সরকার তার ‘স্বচ্ছতা’ ও সাংবিধানিক কমিটমেন্ট রার জন্য এর তো কোনো বিকল্প নেই। নাকি ‘বেডরুম পাহারা’ পর হাসিনা এবার ‘গুম’ হলে উদ্ধার করে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জাতিকে অমৃত বচন উপহার দেবেন! এরমধ্যে ফেসবুকে একটি ‘তথ্য’ খুব চাউড় হয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’ নাকি আওয়ামীলীগের ১০০ সদস্যের একটি ক্যাডার বাহিনীকে ‘সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের ট্রেনিং’ এর নামে গুম, গুপ্তহত্যার স্পেশাল ট্রেনিং দিয়েছে। এদের কার্যক্রম সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে কোনো তথ্য নেই বলেও দাবি করা হয়েছে।

এই বাহিনীকে একটি হিট লিস্ট দেয়া হয়েছে। এই লিস্টের প্রত্যেককে ২০১৩’র মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। Click This Link লিঙ্কের খবরটি যদি সত্য হয়, তাহলে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। দেশে গুম, খুনের অজানা কাহিনী আরও ঘটবে। কীভাবে ঘটেছে এর কিছুই হয় তো জানা যাবে না।

ফিরে যাই আমাদের শুরু আলোচনায়। আমরা নাগরিক নিরাপত্তার প্রসঙ্গে বলছিলাম। আইনের সুবিধার দরোজার কথা শুনছিলাম। এখানেও একই প্রশ্ন। সাংবাদিক দম্পতি, খালাফ, সুরঞ্জিতের কালো বিড়াল আর ইলিয়াস নিখোঁজ_ এইসব ইস্যুতে আইন কি সুবিধার দরোজা খোলা রাখবে! নাকি নাগরিক তার অধিকার প্রতিষ্ঠত দেখবে।

মনে রাখতে হবে, নাগরিক নিরাপত্তাই রাষ্ট্রের যৌক্তিকতার প্রধানতম দাবি। যেখানে এই নিরাপত্তা বিঘিœত হয়, সেখানে রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব করার অধিকার থাকে না। নোমান বিন আরমান : ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.