আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জান্নাতের ৭০ হুর সম্পর্কে বাইবেল কি বলে?

পথ্য তো রোগীরও লাগে না ভালো! যদিও এটা তার রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে,তথাপিও! অনেকেই প্রশ্ন তুলেন যে জান্নাতে হুর বা হুরি দেওয়া হবে কেন? তবে কি জান্নাতেও মানুষের দৈহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে, বিবাহ প্রথা বলবৎ থাকবে? এমটি যদি থাকে তাতে আশ্চযনিত হবার কিছুই নেই। আচ্ছা, যে পুরুষ তার নফসের তৃপ্তি প্রাপ্তির উদ্দেশ্য অন্যায়ভাবে সমাজের প্রচলিত প্রথার উপেক্ষা করে ব্যভিচার করল আর সেটা করতেই থাকল যতটা তার পক্ষে করা সম্ভব ছিল অপরপক্ষে যে নারী তার নফসের চরিতার্থের খাতিরে ব্যভিচারিণী হয়ে গেল আর আমৃত্যু সে কাজের উপরই নিজেকে বহাল রাখল; পরিবার, সমাজ, আপামর জাতির মধ্যে পাপাচারের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার দরুন আপনি কি কেবলমাত্র তাকে দূশ্চরিত্রের সার্টিফিকেট প্রদান করেই ক্ষ্যান্ত থাকবেন? আর যদি কেউ এমন কাজ করা থেকে নিজের নফসকে বিরত রেখে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে প্রচলিত নিয়মের আনুগত্য করে জীবন কাটিয়ে দেয়; তাকেও কি উত্তম চরিত্রের সার্টিফিকেট হাতে ধরিয়ে দিবেন? এটাই কি তাদের উত্তম প্রাপ্য? কেউ যদি তাদের (উক্ত নারী/পুরুষের) উত্তম প্রাপ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে তাতে আপনার সমস্যা কোথায়? আর যদি গ্রহণ করতে না চান তবে সেটা ব্যতিক্রম। আপনাকে জোড় পূর্বক গ্রহণ করাতে বাধ্য করা হবে না। আপন সঙ্গী-সঙ্গিণীর প্রতি এমন মায়ার কারণে তা গ্রহণ করেত আপনার মন চায় না। তবে তাই করুন, যাতে ঐ মায়ার খাতিরে পরস্পর পরস্পরকে সেখানে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।

ভেবে বুলুন তো, যে পার্থিব জীবনে তার সঙ্গী পাবার পূর্বেই এখান থেকে বিদায় হয়ে গেল কিন্তু যৌবনের এই নিয়মের অপব্যবহার করল না; সেকি এমন কঠিন আমানত রক্ষার ফলশ্রুতিতে কিছুই পাবে না, সেকি সেই পরম তৃপ্তি কখনোই পাবে না? পরবর্তী জবীনে তাকে কি সেই কাজের ফলাফল স্বরুপ ক্যারেকটার সার্টিফিকেটে ভূষিত করাটাই আপনার দৃষ্টিকোন থেকে যথার্থ বলে মনে করবেন? আচ্ছা, এটা তো বলা হয়ে থাকে যে তোমরা যা কিছু সেখানে প্রত্যাশা করবে তাই পাবে এবং তাই তোমাদেরকে দেওয়া হবে। তবে উক্ত জান্নাতে যদি কেউ বিবাহ করতে চায় বা স্ত্রীগ্রহণ করতে চায় অথবা সন্তান-সন্ততী পাবার আকাংখা করে তবে কি তার সেই ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যাবে? নিশ্চয় তোমাদের প্রবিত্রাস্ত্রীগণ তোমাদের সাথেই থাকবে কিন্তু তারা যদি জান্নাতী না হয় তবে সে ক্ষেত্রে তোমাদের জন্য রয়েছে পবিত্রাগণ। আর যদি বলেন সনাতনের স্বর্গের কথা তবে সংক্ষেপে এতটুকুই বলবো- সেখানে তো স্বর্গবেশ্যা ঘৃতাচীর নৃত্য দেখার সুযোগও রয়েছে স্বর্গবাসীদের জন্য (ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণে দেখুন)। এবার দেখি জান্নাতে বিবাহ প্রথা ছিল কি ছিল না? আদিপুস্তকে এর তৃতীয় অ্যধায়ে বলা হয়েছে, তুমি তোমার স্ত্রীর কথা শুনেছ এবং যে বৃক্ষের ফল খেতে আমি নিষেধ করেছিলাম; তুমি তোমার স্ত্রীর কথায় তা খেয়ে ফেলেছ আর এই কারণেই আদম এবং তার স্ত্রীকে জান্নাত থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় পৃথিবীতে। একই অধ্যায়ের ২০ নং গদে বলা হয়েছে- আদম তার স্ত্রীর নাম রাখল হবা কেননা তিনিই সকল জীবিতের জননী।

সুতরাং এ থেকে নিশ্চিতই বলা চল যে জান্নাতে আদম এবং হাওয়ার মধ্যে যে সম্পর্ক -তা হল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। আর একজন স্বামী-স্ত্রীর মধ্য দৈহিকতৃপ্তবোধ ঘটাটা অবাস্তব কিছু নয়-তা না হলে স্বামী-স্ত্রী বলা হবে কেন? তাছাড়া, হবা/হাওয়াকে জননী বলেও সম্বোধন করা হয়েছে। অতএব. জান্নাতে দৈহিক অবকাঠামো বলবৎ থাকাসহ স্ত্রীগ্রহণ অবান্তর কোন কথা নয়; আদিপিতা-মাতার 'স্বামী-স্ত্রী' সম্পর্ক জান্নাতেই ছিল। Genesis 3:17To Adam he said, "Because you listened to your wife and ate from the tree about which I commanded you, 'You must not eat of it,' "Cursed is the ground because of you; through painful toil you will eat of it all the days of your life. আদিপুস্তক ৩:১৭ আদমকে তিনি বললেন, 'যে গাছের ফল সম্বন্ধে আমি তোমাকে বলেছিলাম, তুমি তা খাবে না, তোমার স্ত্রীর কথা শুনে তুমি তার ফল খেয়েছ বিধায় তামার কারণে ভুমি অভিশপ্ত হোক! তোমার জীবনের সমস্ত দিন ধরে তুমি ক্লেশেই তা ভোগ করবে। Genesis 3:20 Adam named his wife Eve, because she would become the mother of all the living. আদিপুস্তক ৩:২০ সেই মানুষ নিজের স্ত্রীর নাম হবা রাখল, কেননা সে সকল জীবিতের জননী হল।

এবার দেখি জান্নাতে হুর বা স্ত্রী গ্রহণ সম্পর্কে বাইবেল কি বলে? কোরআনে বর্ণিত পবিত্র হরু/হুরি প্রদান সম্পর্কে বাইবেলর বক্তব্য কি? আদৌও কি বাইলে কোরআনের এই কথাকে সমর্থন করে? পবিত্র কোরআনের যে পাঁচ জায়গায় হুর/হুরি সম্পর্কে বলা হয়েছে তার কোনটিতেই নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। তবে একথা স্বীকার্য্য যে হাদীসে এর সংখ্যা মিলে। তবে, কিছু কিছু হাদিস সম্পর্কে মতভেদও রয়েছে। হাদীসে ৭০ বা ৭২ সংখ্যা মিললেও বাইবলের এই সংখ্যা কিন্তু ৭০ এর চেয়ে বেশী। বাইবেলে বলা হয়েছে ১০০ গুণ।

একজন স্ত্রীর পরিবর্তে দেওয়া হবে ১০০টি। মথি রচিত সুসমাচারের ১৯ নম্বর অধ্যায়ের ২৭,২৮,২৯ নং গদে সদাপ্রভু ঈশ্বরের বার্তা বাহক সত্যের আত্মা মোশীহ তার অনুচারীদের প্রশ্নের উত্তরে বললনে: পৃথিবীতে আমার অনুসরণ করতে গিয়ে একজন স্ত্রী ত্যাগ করলে জান্নাতে তোমরা ১০০ গুণ বেশী পাবে। Mathew 19[27] Then answered Peter and said unto him, Behold, we have forsaken all, and followed thee; what shall we have therefore? ১৯:২৭ তখন পিতা তাঁকে উদ্দেশ্য করে বললেন, 'দেখুন, আমরা সবকিছুই ত্যাগ করে আপনার অনুসরণ করেছি; তবে আমরা কী পাব?' 28 And Jesus said unto them, Verily I say unto you, That ye which have followed me, in the regeneration when the Son of man shall sit in the throne of his glory, ye also shall sit upon twelve thrones, judging the twelve tribes of Israel. ২৮ যীশু তাঁদের বললনে, 'আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা সকলে যারা আমার অনুগামী হয়েছ, নবসৃষ্টি-কালে যখন মানবপুত্র নিজের গৌরবের সিংহাসে আসীন হবেন, তখন তোমরাও ইস্রায়েলের বারোটা গোষ্ঠির বিচার করার জন্য বারোটা সিংহাসনে আসন নেবে। 29 And every one that hath forsaken houses, or brethren, or sisters, or father, or mother, or wife, or children, or lands, for my name's sake, shall receive an hundredfold, and shall inherit everlasting life. ২৯ আর যে কেউ আমার নামের জন্য বাড়ি, কি ভাই, কি বোন, কি পতি, কি মাতা, কি স্ত্রী, কি জমিজমা ত্যাগ করেছে, সে তার শতগুণ পাবে, ও উত্তরাধিকাররুপে অনন্ত জীবন পাবে। (অসমাপ্ত.....) সূত্র: "অবিশ্বাসীরা কোথায়?" লেখক: মো: মোস্তাফিজুর রহমান http://www.oneallah.org/ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.