আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুকুর এর সামনে কিছু হাড্ডি দিলে কুকুর ও ঘেউ ঘেউ বন্ধ করে দেয়।

ডেস্টিনি নিয়া সরকার অনেক লাফালাফি করছে আর এখন শুনি অন্য কথা। পত্রিকায় দেখলাম ডেসটিনির অনিয়ম খুঁজতে কমিশন হচ্ছে না এর অনেক কারন তারা দেখাচ্ছে। আর আইনি ঝামেলা ও নাকি আছে। এত কিছু থাকলে তাইলে সরকার এতদিন যুগান্তরের কিছু সাংবাদিক আর আওয়ামীলিগের কয়েক নেতাকে টাকা না দেয়াতে ডেস্টিনির পিছনে উইঠা পইড়া লাগছিল। এখন মনে হয় ডেস্টিনি কয়েকটা হাড্ডি তাদেরকে দিছে তাই তারা এখন আইন ঝামেলার কথা বলে এখন ডেস্টিনির পক্ষে গুনগান গাইতেছে।

আহারে আর কত নাটক দেখমু এই দেশে। ডেস্টিনি যদি অবৈধ হত তাহলে তারা এই দেশে ১১ বছর ব্যাবসা করে কিভাবে ? সরকার তখন কি করেছিল আঙ্গুল চুষছিল নাকি কেলা চিবাইতেছিল? কয়েকদিন আগে দেখলাম বিপি এল এ স্পনসর ছিল ডেস্টিনি তখন ডেস্টিনি ডাকঢোল পিঠাইয়া বিপিএল উদ্ধোধন করেছিল সরকার তখন ও কি মাতাল ছিল নাকি? আর দুইদিন আগে দেখলাম ডেস্টিনি এই করেছে সেই করেছে কত অভিযোগ। এত অভিযোগ থাকলে ডেস্টিনির সব কিছু বন্ধ করে তাদের যা আছে সব কিছু বিক্রি করে মানুষের টাকা ফিরত দিয়ে দিত তাহলে সরকারকে সাধুবাদ জানাতাম। আর এখন আবার বলে তারা ডেসটিনির অনিয়ম খুঁজতে কমিশন হচ্ছে না বিভিন্ন আইন প্রতিবন্ধকতা আছে তাই। পত্রিকার নিউজটা পড়েনঃ ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত কমিশন গঠন করছে না অর্থ মন্ত্রণালয়।

ওই গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক লেনদেন ও কার্যক্রম সরকারিভাবে নিরীক্ষণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তাও সম্ভব হচ্ছে না। আইনি বাধার কথা উল্লেখ করে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষণের এখতিয়ার তাঁদের নেই। কমিশন গঠন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল বলেছেন, 'ডেসটিনির অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন যৌথ মূলধন কম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। ব্যাপক তদন্তের জন্য সময়ের প্রয়োজন_এ কথা উল্লেখ করে ওই কমিটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছে। যেহেতু একটি তদন্ত কমিটি আছে, তাই তারাই সব কিছু অনুসন্ধান করুক।

বাড়তি কমিশনের কোনো প্রয়োজন নেই। ' বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, ডেসটিনি গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক কর্মকাণ্ড সরকারিভাবে নিরীক্ষণের অনুরোধ জানিয়ে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলকে চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আর যৌথ মূলধন কম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রার আহমেদুর রহিমকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছিল অডিট ভবনে ডেসটিনি সম্পর্কিত তথ্যাদি সরবরাহ করতে। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে ফিরতি চিঠিতে জানানো হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সরকারের না হলে আইন অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা চালানোর এখতিয়ার তাদের নেই। সরকারের কোনো অংশ না থাকায় ডেসটিনির প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারিভাবে নিরীক্ষণ করা সম্ভব নয়।

ওই কর্মকর্তা জানান, কমিশন গঠনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনীহা ও সরকারিভাবে নিরীক্ষণ করতে না পারার পরিপ্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রারকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির ওপরই পুরোপুরি নির্ভর করতে হবে তাদের। তাই কমিটি যাতে ডেসটিনির প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করে সে নির্দেশনা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে নির্দেশনার একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি কোন কোন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে, তদন্তের অগ্রগতি কী জানাতে বলা হবে তাদের। দু-এক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানো হবে।

তদন্ত কমিটি সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাতে কমিটি বলেছে, কম্পানি আইন অনুযায়ী প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানের রিটার্ন দাখিলের বিধান থাকলেও ডেসটিনি তাদের ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র তিনটির রিটার্ন দাখিল করেছে। ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে নিবন্ধিত ৯টি প্রতিষ্ঠান পরিদপ্তরে এখন পর্যন্ত কোনো রিটার্ন দাখিল করেনি। তিনটি প্রতিষ্ঠান ২০০৯ সালের পর ও ১৩টি প্রতিষ্ঠান ২০১০ সালের পর কোনো রিটার্ন দেয়নি। একটি প্রতিষ্ঠান ২০০৭ সালের পর কোনো রিটার্ন দাখিল করেনি।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড ও ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের উদ্দেশ্যাবলিতে এমএলএম সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এমএলএম ব্যবসার মাধ্যমে গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তবে অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য মাঠ পর্যায়ে নিরীক্ষণ প্রয়োজন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পানি আইনে নিবন্ধিত ডেসটিনি গ্রুপের ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৪টির সংঘস্মারকেই এমএলএমের কথা নেই। ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের সংঘস্মারকের ৯ নং অনুচ্ছেদে এমএলএম ব্যবসার উল্লেখ রয়েছে।

ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন নিবন্ধনের সময় এমএলএম ব্যবসার কথা উল্লেখ না করলেও পরে হাইকোর্টের আদেশে সংঘস্মারকে এমএলএম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তথ্যসুত্র ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.