অ আ ক খ "বিঃ দ্রঃ মডুদের অবশ্যই আমাকে দেখিয়ে দিতে হবে কোন জায়গায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে" স্বামীঃ মি "-" এর সাথে তোমার মেলামেশা আমার একদম পছন্দ না, এর সাথে তোমার এত সখ্যতা কিসের । স্ত্রীঃ কি বললে তুমি! আবার বল ......। আমি কার সাথে মেলামেশা করবো, কাকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করবো এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার । আচ্ছা তুমি কি ধার্মিক হয়ে যাচ্ছ , গত শুক্রবারে দেখলাম তোমাকে নামাজের সময় ঘর থেকে বের হয়ে যেতে ! স্বামীঃ আরে না না । কি বল ...... ।

আমি নামাজে যাব কোন দুঃখে । স্ত্রীঃ তাহলে তোমার মনে এত ছোট লোকী মুহাম্মদীয স্বভাব ভর করতেছে কেন । (নাউজুবিল্লাহ) স্বামীঃ কোন কথা নেই স্ত্রীঃ দেখ আমি তোমাকে একজন সাচ্চা ঈমানদার নাস্তিক জেনে বিয়ে করেছি, এখন তুমি যদি এই রকম কর তাহলে তোমার সাথে আমার সংসার করা সম্ভব না । তোমার ফেইসবুক নোট আর্কাইভ গুলো চেক করলে এখনো নারীর অধিকারের পক্ষে, নারীর যৌনতার স্বাধীনতার পক্ষে অনেক নোট পাওয়া যাবে, যে গুলো পড়ে আমি তোমার প্রেমে পড়ে ছিলাম, আর সেই তুমি এখন এসব কি বলতেছো । আমি কী কোন মেয়ে কে নিয়ে তোমার কাছে কোন প্রশ্ন করেছি ।

এই তো গত সপ্তাহে তুমি আমার ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট বোনকে নিয়ে লং ড্রাইভে কক্সবাজার গিয়েছো এর আগে আমার বান্ধবি “+” এর সাথে তুমি থাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছো, আমি তো কিছু বলি নি । স্বামীঃ তোমার সাথে না, কোন কথাই বলা যায় না, তুমি কি জানো মি "-" ড্রাগ এডিক্টটেড, তাই আমি মানা করেছিলাম । স্ত্রীঃ বোকার মত মিথ্যা বললে ,ঠিক আছে কালই মি "-" এর ব্লাড টেস্ট হবে সঙ্গে তোমারও । কয়েক বছর পর স্বামীঃ দেখ অনেক দিন তো হল এবার একটা বাচ্চা নিলে কেমন হয় । মা-বাবা সহ সবাই চাচ্ছে ঘরে নতুন কেউ আসুক ।

স্ত্রীঃ আমি তোমাকে কি মানা করেছি, এতিম খানাতে কত সুইট সুইট ফুটফোটে শিশু আছে এদের মধ্য থেকে একটা দত্তক নিলেই তো হয়ে যায় । আমিও বিষয়টা ভাবছি একটা কিউট বাচ্চা দত্তক নেবে । “জ” তোমাকে কিছু বলে নি, ওহ তো গত মাসে একটা শিশু দত্তক নিয়েছে, (আল্লাহ!) বাচ্চাটা না খুবই কিউট । স্বামীঃ তোমার কি মাথা ঠিক আছে । স্ত্রীঃ কি বললে ! ওহ! তুমি দিন দিন কি রকম হয়ে যাচ্ছ, আচ্ছা জান বাচ্চা নেওয়া কি আমাদের স্ট্যাটাসের সাথে যায়।

দেখ এতিম খানায় অনেক এতিম চেলে-মেয়ে আছে তাদের বাবা-মা নেই । তোমার বুদ্ধিবৃত্তি কি এত নীচে নেমে গেছে । গত পরশু আমি টিভিতে একটা নিউজে দেখলাম তুমি একটা এতিমখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলতেছো “ প্রকৃতি সব কিছু খুবই সুন্দর নিয়মে আবর্তিত করে, এটা ঠিক প্রকৃতির উপর আমাদের কোন হাত নেই, কিন্তু আমরা একটু আমাদের মুক্ত বিবেক কে কাজে লাগালে আমাদের এই রকম এতিম খানার দরকার হয় না,আমারা অযথা সন্তান নিতেছি , আমারা যারা বাবা হব তাদের এই বিষয়ে একবার চিন্তা করা উচিত । যারা মা হন তারা অনেক কষ্ট করেন, এতে তাদের জীবনের রিস্ক ও থাকে । আর এতিম খানায় এতিম শিশু রেখে স্বার্থপরের মত নিজের স্ত্রীর উপর সন্তান জন্মদানের কঠিন বোঝা চাপিয়ে দেওয়া কখনো মুক্তমনা দের কাজ নয়” স্বামীঃ দেখ তুমি কি চায় না, তোমার সন্তান তোমার ডিএনএ ধারণ করুক ।

স্ত্রীঃ হ্যা চাই তাতেও তো কোন সমস্যা নেই আমারা গর্ভ বাড়া করবো । স্বামীঃ টেস্ট টিউব বেবি! । যে তুমি নিজে গর্ভ ধারণ করতে চাচ্ছ না, অথচ অন্যের গর্ভ বাড়া করতে চাইতেছো, এটা কি স্ব-বিরোধীতা হয়ে গেল না । স্ত্রীঃ আশ্চুর্য্য গর্ভ ভাড়া দেওয়া কত বড় মহান শিল্প, তুমি জানো জিডিপিতে এবং এম্পেয়মেন্টে এর অবদান কত পার্সেন্ট? । তাছাড়া এখানে তো কাউকে জোর করা হচ্ছে না , তারা সেচ্ছায় গর্ভ ধারণ করতেছে ।

স্বামীঃ আচ্ছা ঠিক আছে তাই হবে!!! । এক বছর পর স্বামীঃ এটা তুমি কি করলে প্রথম দিনই বাচ্চা টিকে বেবি কেয়ার সেন্টারে দিয়ে দিলে । স্ত্রীঃ কি হয়েছে! আমি থাকবো অফিসে , তুমিও থাকবে অফিসে বাচ্চাকে কে দেখবে । স্বামীঃ ছুটি নিতে তো পার । স্ত্রীঃ কত দিন নেবো, এক মাস দুই মাস ...... ।

কি এখন চাকরি ছেড়ে দিতে বলবে । স্বামীঃ খোঁচা মারা ছাড়া কথা বলতে পারো না না । পেইড মাম রা তো নিজের মায়ের মত যত্ন করবে না! এই কথা ভেবে আমি কথাটা বলে ছিলাম । স্ত্রীঃ এত চিন্তা করতেছো কেন ? পেইড মাম রা অনেক প্রফেশনাল !!!!!! স্বামীঃ মি ক এর সাথে তোমার মেলামেশা আমার একদম পছন্দ না, এর সাথে তোমার এত সখ্যতা কিসের । স্ত্রীঃ কি বললে তুমি! আবার বল ......।

আমি কার সাথে মেলামেশা করবো, কাকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করবো এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার । আচ্ছা তুমি কি ধার্মিক হয়ে যাচ্ছ , গত শুক্রবারে দেখলাম তোমাকে নামাজের সময় ঘর থেকে বের হয়ে যেতে ! স্বামীঃ আরে না না । কি বল ...... । আমি নামাজে যাব কোন দুঃখে । স্ত্রীঃ তাহলে তোমার মনে এত ছোট লোকী মুহাম্মদীয স্বভাব ভর করতেছে কেন ।

(নাউজুবিল্লাহ) স্বামীঃ কোন কথা নেই স্ত্রীঃ দেখ আমি তোমাকে একজন সাচ্চা ঈমানদার নাস্তিক জেনে বিয়ে করেছি, এখন তুমি যদি এই রকম কর তাহলে তোমার সাথে আমার সংসার করা সম্ভব না । তোমার ফেইসবুক নোট আর্কাইভ গুলো চেক করলে এখনো নারীর অধিকারের পক্ষে, নারীর যৌনতার স্বাধীনতার পক্ষে অনেক নোট পাওয়া যাবে, যে গুলো পড়ে আমি তোমার প্রেমে পড়ে ছিলাম, আর সেই তুমি এখন এসব কি বলতেছো । আমি কী কোন মেয়ে কে নিয়ে তোমার কাছে কোন প্রশ্ন করেছি । এই তো গত সপ্তাহে তুমি আমার ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট বোনকে নিয়ে লং ড্রাইভে কক্সবাজার গিয়েছো এর আগে আমার বান্ধবি “জ” এর সাথে তুমি থাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছো, আমি তো কিছু বলি নি । স্বামীঃ তোমার সাথে না, কোন কথাই বলা যায় না, তুমি কি জানো মি ক ড্রাগ এডিক্টটেড, তাই আমি মানা করেছিলাম ।

স্ত্রীঃ বোকার মত মিথ্যা বললে ,ঠিক আছে কালই মি ক এর ব্লাড টেস্ট হবে সঙ্গে তোমারও । কয়েক বছর পর স্বামীঃ দেখ অনেক দিন তো হল এবার একটা বাচ্চা নিলে কেমন হয় । মা-বাবা সহ সবাই চাচ্ছে ঘরে নতুন কেউ আসুক । স্ত্রীঃ আমি তোমাকে কি মানা করেছি, এতিম খানাতে কত সুইট সুইট ফুটফোটে শিশু আছে এদের মধ্য থেকে একটা দত্তক নিলেই তো হয়ে যায় । আমিও বিষয়টা ভাবছি একটা কিউট বাচ্চা দত্তক নেবে ।

“জ” তোমাকে কিছু বলে নি, ওহ তো গত মাসে একটা শিশু দত্তক নিয়েছে, (আল্লাহ!) বাচ্চাটা না খুবই কিউট । স্বামীঃ তোমার কি মাথা ঠিক আছে । স্ত্রীঃ কি বললে ! ওহ! তুমি দিন দিন কি রকম হয়ে যাচ্ছ, আচ্ছা জান বাচ্চা নেওয়া কি আমাদের স্ট্যাটাসের সাথে যায়। দেখ এতিম খানায় অনেক এতিম চেলে-মেয়ে আছে তাদের বাবা-মা নেই । তোমার বুদ্ধিবৃত্তি কি এত নীচে নেমে গেছে ।

গত পরশু আমি টিভিতে একটা নিউজে দেখলাম তুমি একটা এতিমখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলতেছো “ প্রকৃতি সব কিছু খুবই সুন্দর নিয়মে আবর্তিত করে, এটা ঠিক প্রকৃতির উপর আমাদের কোন হাত নেই, কিন্তু আমরা একটু আমাদের মুক্ত বিবেক কে কাজে লাগালে আমাদের এই রকম এতিম খানার দরকার হয় না,আমারা অযথা সন্তান নিতেছি , আমারা যারা বাবা হব তাদের এই বিষয়ে একবার চিন্তা করা উচিত । যারা মা হন তারা অনেক কষ্ট করেন, এতে তাদের জীবনের রিস্ক ও থাকে । আর এতিম খানায় এতিম শিশু রেখে স্বার্থপরের মত নিজের স্ত্রীর উপর সন্তান জন্মদানের কঠিন বোঝা চাপিয়ে দেওয়া কখনো মুক্তমনা দের কাজ নয়” স্বামীঃ দেখ তুমি কি চায় না, তোমার সন্তান তোমার ডিএনএ ধারণ করুক । স্ত্রীঃ হ্যা চাই তাতেও তো কোন সমস্যা নেই আমারা গর্ভ বাড়া করবো । স্বামীঃ টেস্ট টিউব বেবি! ।

যে তুমি নিজে গর্ভ ধারণ করতে চাচ্ছ না, অথচ অন্যের গর্ভ বাড়া করতে চাইতেছো, এটা কি স্ব-বিরোধীতা হয়ে গেল না । স্ত্রীঃ আশ্চুর্য্য গর্ভ ভাড়া দেওয়া কত বড় মহান শিল্প, তুমি জানো জিডিপিতে এবং এম্পেয়মেন্টে এর অবদান কত পার্সেন্ট? । তাছাড়া এখানে তো কাউকে জোর করা হচ্ছে না , তারা সেচ্ছায় গর্ভ ধারণ করতেছে । স্বামীঃ আচ্ছা ঠিক আছে তাই হবে!!! । এক বছর পর স্বামীঃ এটা তুমি কি করলে প্রথম দিনই বাচ্চা টিকে বেবি কেয়ার সেন্টারে দিয়ে দিলে ।

স্ত্রীঃ কি হয়েছে! আমি থাকবো অফিসে , তুমিও থাকবে অফিসে বাচ্চাকে কে দেখবে । স্বামীঃ ছুটি নিতে তো পার । স্ত্রীঃ কত দিন নেবো, এক মাস দুই মাস ...... । কি এখন চাকরি ছেড়ে দিতে বলবে । স্বামীঃ খোঁচা মারা ছাড়া কথা বলতে পারো না না ।

পেইড মাম রা তো নিজের মায়ের মত যত্ন করবে না! এই কথা ভেবে আমি কথাটা বলে ছিলাম । স্ত্রীঃ এত চিন্তা করতেছো কেন ? পেইড মাম রা অনেক প্রফেশনাল !!!!!! ।