আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তিক কেন নাস্তিক নয়? [প্রমানসহ]

বিজ্ঞানী শিমুল ধর্ম আর ধার্মিকতা বিশ্লষন করলে আমরা দুই শ্রেনীর মানুষকে পাই। আর তা হল আস্তিক ও নাস্তিক। যারা ধর্ম ও সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে বা পালন করে তাদের আস্তিক বলা হয়। আর যারা ধর্ম ও সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে না তারাই নাস্তিক। আজকে আমি আস্তিকদের সম্পর্কে কিছুই বলব না।

শুধুমাত্র নাস্তিকদের সম্পর্কে কয়েকটা কথা বলতে চাই। নিজেকে নাস্তিক ঘোষনা দেওয়া খুবই সহজ ব্যাপার। কিন্তু পুরোপুরিভাবে নাস্তিকতা মেনে চলা কখনই সম্ভব নয় এবং তারা পারেও না। মূল কথা হল এই পৃথিবীতে একজনও খাটি(!)নাস্তিক খুঁজে পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ কোন মানুষই ধর্মের নিয়ম থেকে বের হয়ে নাস্তিক হতে পারে না।

নিচে নাস্তিক কেন নাস্তিক নয় তার সম্পর্কে কয়েকটা পয়েন্ট তুলে ধরা হলঃ ১..নাস্তিকরা কখনই শুভ সকাল,শভেচ্ছা, শুভকামনা করতে পারবে না। কারন শুভ কামনা করা মানেই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা। যেমন কোন নাস্তিক কাউকে বলল, ভাল থেকো। এখানে ভাল থাকার কামনা করা স্পষ্টতই সৃষ্টিকর্তার কাছে করা হচ্ছে। অথচ এই কাজটাই নাস্তিকরা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে।

ব্লগসাইটগুলোতে একটু ঢু মারলেই এর প্রমাণ পাবেন। ২.এটা ১নং এর অনুরুপ। কোন নাস্তিক কখনই আপনাকে বলতে পারবে না যে তুমি ধ্বংস হও। কিংবা তোমার খারাপ হোক। কেননা এখানে সে সরাসরি আপনার ক্ষতি করছে না।

এটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তার কাছে কামনা করা ছাড়া কিছুই নয়। অথচ এই কাজটাও তারা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর প্রমানও পাবেন ব্লগ সাইটগুলোতেই। ৩.নাস্তিক কখনই ধর্মীয় কার্যকলাপের সংস্পর্শে আসতে পারবে না। অথচ এই কাজটাই তারা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

যেমন অধিকাংশ নাস্তিকই খ্রিস্টানদের অনুসরন করে। এমনকি তাদের কিছু কিছু নিয়মনীতিও মেনে চলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মুসলীম পরিবার থেকে যেসব নাস্তিকদের জন্ম হয় (বিশেষ করে মেয়ে নাস্তিক) তারা হিন্দু ধর্মের অনেক নিয়ম মেনে চলে। যেমন তারা সিদুর দেয়, দুর্গাকে মেনে চলে ইত্যাদি ইত্যাদি। এর প্রমান পাবেন তাসলিমা নাসরিন ও সাদিয়া সুমি উজ্জা এর লেখায়।

৪. নাস্তিক নামধারীদের ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশি চুলকানি। তারা যেকোন মূল্যে চায় ইসলাম ধর্মকে হেয় করতে। তাই তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাপোর্ট দেয়। এমনকি অন্য ধর্মের রীতিনিতিও পালন করে থাকে। এর মানে কি? নাস্তিকতার মানেই তো ধর্মকে বিশ্বাস না করা ও পালন না করা।

কিন্তু এদের কার্যকলাপ তো সে কথা বলে না। এক ধর্মকে অমান্য করে অন্য ধর্মকে বা ধর্মের কিয়দংশ মানা নিশ্চয়ই নাস্তিকতা নয়? আর তারাও নিশ্চয়ই নাস্তিক নয়? আসলে একটা কথা কি মহান রাব্বুল আলামীনের অনুগ্রহ ছাড়া একদম চলাও সম্ভব নয়। আর সে কারনেই নাস্তিকতা আর নাস্তিক বলে কিছু থাকতে পারে না বা নেই। তারা বিভ্রান্ত,জ্ঞানের অভাব তাদের। খাঁটি(!) নাস্তিক বলে একজনও নেই এই পৃথিবীতে।

লেখকের মন্তব্যঃ লেখাটা সবাইকে শেয়ার করার অনুরোধ করা হল। দেখি কয়টা নাস্তিক এখানে এসে আমার ধ্বংস কামনা করে এই নাস্তিকতা ভিত্তিহীন প্রমান করে। ভয় নেই আপনারা শেয়ার করুন। লেখাটা ডিলেট করে ফেললেও সমস্যা নেই,কপি করা আছে। N.B. (এটি রাঙ্গা রিয়েল ভাইয়ের একটি পোস্ট।

কিছুটা পরিমার্জিত করে দেয়া হল। ) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৭৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.