আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুইদিন যাবৎ উলঙ্গ অবস্থায় যমূনার চরে (গল্প! হতে পারে)

দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাপার হে, লঘি্নতে হবে রাত্রি নিশিতে যাত্রীরা হুশিয়ার প্রায় দুই বছর আগের কথা। একটা পোষ্টে কমেন্ট করার পর ঘটনাটা মনে পড়ে গেল। এটাকে গল্প বলে কিনা জানিনা। জীবনের একটা স্বরণীয় ঘটনা বটে। ২০১১ সাল ফেব্রুয়ারী মাস।

কয়েকদিন পর ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তজার্তিক মাতৃভাষা পালন করবে সারা বিশ্বের মানুষ। আমি তো বরাবরের মতোই উদ্ভট চিন্তার মানুষ। ইতোমধ্যে আমার বাড়িতে একটা বিষয় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্কের টানা পড়েন। ভাল লাগছিল না বাড়িতে থাকতে। সকালে খেয়ে বেরোবার পর সিদ্ধান্ত নিলাম চলে যাব দুচোখ যেদিকে যায়।

সিরাজগঞ্জ রোড বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে কিন্তু বিধি বাম কড্ডা আসার পরই বাস গেল চাকা পাংচার হয়ে। কি আর করা হেলপারকে বললাম কত দেরি হবে। উনি গম্ভির মুখ নিয়ে মাথা ঝাকিয়ে এক প্রকার ভঙ্গি করলেন যাকে হ্যা বা না কোনটাই বোঝা গেল না। একমনে চাকার নাট খোলায় ব্যস্ত হয়ে রইল। অগত্যা রাস্তার এপার এসে দাড়ালাম।

হঠাৎ দেখি একটা চার চাকার সিএনজি বাস উদ্দেশ্য ছাড়া রওয়ানা। বাসওয়ালার উপর প্রতিশোধ নিলাম টাকা না দিয়ে। সিএনজি এমন একটা ঘাটে এসে বলল যে আর যাবে না সেখানে অনেক শ্যালোচালিত নৌকা বাধা ছিল। একটাতে আবার অর্ধেক মানুষ বোঝাই সেখানে লোক তুলছে। বললাম যাবbr /> -কৈ যাইবেন? - নৌকা যেখানে যায়।

-নৌকা যেখানে যায় মানে। কোন গ্রাম কার বাড়ী বলেন আমি এই এলাকার সব বাড়ি চিনি। -আমি কোন বাড়ীতে যাব না। -তাহলে? -আমি বলছি নৌকা যেখানে যায় সেখানে যাব (একটু কড়া ভাষায় বলায় আর কোন কথা বলল না মাঝি। একটু অবাক চোখে তাকিয়ে দেখতে লাগল আমাকে হয়ত ভাবছে সন্যাসি অথবা অন্য কিছু)।

ভট ভট শব্দে নৌকা ছাড়ল। নৌকার এক সাইডে যাকে আনাড় বলা হয় সেখানে বসে রইলাম। এক সময় পূর্ণ গতিতে নৌকা ছাড়ল। পেছনের যেখান থেকে নৌকা ছেড়ে এসেছে সেখানে ধূসর দেখতে লাগলাম। এবং সময় সেগুলো নাই হয়ে গেল।

যমূনা নদীতেও যে সাগরের আচ সেটা সিরাজগঞ্জ চৌহালী উপজেলায় না আসলে বোঝা যাবে না। -ভাড়া দেন -কত টাকা? -কোথায় যাবেন তার উপর ভাড়া নির্ধারিত। -আমি আর যাব না। -কনকি? (অবাক হয়ে মনে হয় ভয়ও পাইসে) -আমি এখানেই নামব। -নির্ঘাৎ মারা যাবেন।

-মরলে মরব। - আপনার কোন সমস্যা আছে আপনি আমাদের সাথে চলেন। - আমি তা যাব না। -হঠাৎ বামে চোখ ঘোরাতেই দেখি একটা চর বল্লাম ঐ চর এ নামব। -কি বলেন আপনার মাথা পুরাই নস্ট হয়ে গেছে।

আপনাকে ছাড়া যাবে না। আপনাকে কবিরাজ দেখাতে হবে। -আমার কিছুই হয় নাই আমি ঐ চর এ নামব আমাকে নামিয়ে দেন। -শোনেন ঐ চরটারে আমরা মেইছা চর বলে জানি। ঐ চরে কেউ গেলে সহজে ফিরে আসে না।

অনেক জেলে মাছ ধরতে গিয়া নিখোজ হয়ে গেছে। (তার কথায় আমার আরও কৌতুহল জাগল চর বিষয়ে আমি ঐ চরে যাবার জন্য মন স্থির করে ফেললাম। আর ইতো মধ্যে আমি সবার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে গেছি। ) -আমি ঐ চরেই নামব। এবং আমাকে নামিয়ে দিয়ে আসতে হবে।

অনেক পীড়াপীড়ীর পর মাঝি আমাকে ১০০ টাকা বকশিষ এর বিনিময়ে মরতে সাহায্য (তাদের চর বিষয়ে অভিজ্ঞতায়) করল। চরের আয়তন খুব বেশী না। একমাথা থেকে আরেক মাথা হেটে যেতে মাত্র ১০/১২ মিনিট সময় লাগে। পানি থেকে উচ্চতাও বেশী নয়। সম্ভববত বর্ষার শরুতে সবার আগে এই চরটি পানিতে ডুব দেয়।

ভেজা বালি তীর থেকে কিছুদুর পর্যন্ত বিস্তৃত। প্যান্ট গুটিয়ে জুতা হাতে নিয়ে নৌকার মাঝিকে বিদায় জানিয়ে নেমে পড়লাম চরে। নৌকা আবার ভটভট শব্দে চর ছেড়ে চলে গেল। মাঝি কিছুদুর যাবার পর উচ্চগলায় বলল আপনাকে কি বিকালে নিতে আসব? আমি না বলে দিলাম। এক প্রকার মনো ব্যাথা নিয়েই মাঝি চলে গেল।

কোন নতুন জায়গা দেখলে মানুষ প্রথমেই সেটা ঘুরে দেখার চেষ্টা করে আমিও তাই করলাম। এক পাশে সাদা কাশবন আর এক পাশে শুকনো মড়া কিছু ডালপালা। আর সাদা বালি এছাড়া আর কিছু নেই চরে। অনেক খোজাখুজি করেও কোন মানুষের পায়ের ছাপ পেলাম না। যা আছে কাকড়ার পায়ের ছাপ, শামুকের ঝিনুকের ছাপ ইত্যাদি।

আর কিছু মড়া শামুকের খোলশ। প্রায় দুই বছর আগের কথা। একটা পোষ্টে কমেন্ট করার পর ঘটনাটা মনে পড়ে গেল। এটাকে গল্প বলে কিনা জানিনা। জীবনের একটা স্বরণীয় ঘটনা বটে।

২০১১ সাল ফেব্রুয়ারী মাস। কয়েকদিন পর ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তজার্তিক মাতৃভাষা পালন করবে সারা বিশ্বের মানুষ। আমি তো বরাবরের মতোই উদ্ভট চিন্তার মানুষ। ইতোমধ্যে আমার বাড়িতে একটা বিষয় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্কের টানা পড়েন। ভাল লাগছিল না বাড়িতে থাকতে।

সকালে খেয়ে বেরোবার পর সিদ্ধান্ত নিলাম চলে যাব দুচোখ যেদিকে যায়। সিরাজগঞ্জ রোড বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে কিন্তু বিধি বাম কড্ডা আসার পরই বাস গেল চাকা পাংচার হয়ে। কি আর করা হেলপারকে বললাম কত দেরি হবে। উনি গম্ভির মুখ নিয়ে মাথা ঝাকিয়ে এক প্রকার ভঙ্গি করলেন যাকে হ্যা বা না কোনটাই বোঝা গেল না। একমনে চাকার নাট খোলায় ব্যস্ত হয়ে রইল।

অগত্যা রাস্তার এপার এসে দাড়ালাম। হঠাৎ দেখি একটা চার চাকার সিএনজি বাস উদ্দেশ্য ছাড়া রওয়ানা। বাসওয়ালার উপর প্রতিশোধ নিলাম টাকা না দিয়ে। সিএনজি এমন একটা ঘাটে এসে বলল যে আর যাবে না সেখানে অনেক শ্যালোচালিত নৌকা বাধা ছিল। একটাতে আবার অর্ধেক মানুষ বোঝাই সেখানে লোক তুলছে।

বললাম যাবbr /> -কৈ যাইবেন? - নৌকা যেখানে যায়। -নৌকা যেখানে যায় মানে। কোন গ্রাম কার বাড়ী বলেন আমি এই এলাকার সব বাড়ি চিনি। -আমি কোন বাড়ীতে যাব না। -তাহলে? -আমি বলছি নৌকা যেখানে যায় সেখানে যাব (একটু কড়া ভাষায় বলায় আর কোন কথা বলল না মাঝি।

একটু অবাক চোখে তাকিয়ে দেখতে লাগল আমাকে হয়ত ভাবছে সন্যাসি অথবা অন্য কিছু)। ভট ভট শব্দে নৌকা ছাড়ল। নৌকার এক সাইডে যাকে আনাড় বলা হয় সেখানে বসে রইলাম। এক সময় পূর্ণ গতিতে নৌকা ছাড়ল। পেছনের যেখান থেকে নৌকা ছেড়ে এসেছে সেখানে ধূসর দেখতে লাগলাম।

এবং সময় সেগুলো নাই হয়ে গেল। যমূনা নদীতেও যে সাগরের আচ সেটা সিরাজগঞ্জ চৌহালী উপজেলায় না আসলে বোঝা যাবে না। -ভাড়া দেন -কত টাকা? -কোথায় যাবেন তার উপর ভাড়া নির্ধারিত। -আমি আর যাব না। -কনকি? (অবাক হয়ে মনে হয় ভয়ও পাইসে) -আমি এখানেই নামব।

-নির্ঘাৎ মারা যাবেন। -মরলে মরব। - আপনার কোন সমস্যা আছে আপনি আমাদের সাথে চলেন। - আমি তা যাব না। -হঠাৎ বামে চোখ ঘোরাতেই দেখি একটা চর বল্লাম ঐ চর এ নামব।

-কি বলেন আপনার মাথা পুরাই নস্ট হয়ে গেছে। আপনাকে ছাড়া যাবে না। আপনাকে কবিরাজ দেখাতে হবে। -আমার কিছুই হয় নাই আমি ঐ চর এ নামব আমাকে নামিয়ে দেন। -শোনেন ঐ চরটারে আমরা মেইছা চর বলে জানি।

ঐ চরে কেউ গেলে সহজে ফিরে আসে না। অনেক জেলে মাছ ধরতে গিয়া নিখোজ হয়ে গেছে। (তার কথায় আমার আরও কৌতুহল জাগল চর বিষয়ে আমি ঐ চরে যাবার জন্য মন স্থির করে ফেললাম। আর ইতো মধ্যে আমি সবার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে গেছি। ) -আমি ঐ চরেই নামব।

এবং আমাকে নামিয়ে দিয়ে আসতে হবে। অনেক পীড়াপীড়ীর পর মাঝি আমাকে ১০০ টাকা বকশিষ এর বিনিময়ে মরতে সাহায্য (তাদের চর বিষয়ে অভিজ্ঞতায়) করল। চরের আয়তন খুব বেশী না। একমাথা থেকে আরেক মাথা হেটে যেতে মাত্র ১০/১২ মিনিট সময় লাগে। পানি থেকে উচ্চতাও বেশী নয়।

সম্ভববত বর্ষার শরুতে সবার আগে এই চরটি পানিতে ডুব দেয়। ভেজা বালি তীর থেকে কিছুদুর পর্যন্ত বিস্তৃত। প্যান্ট গুটিয়ে জুতা হাতে নিয়ে নৌকার মাঝিকে বিদায় জানিয়ে নেমে পড়লাম চরে। নৌকা আবার ভটভট শব্দে চর ছেড়ে চলে গেল। মাঝি কিছুদুর যাবার পর উচ্চগলায় বলল আপনাকে কি বিকালে নিতে আসব? আমি না বলে দিলাম।

এক প্রকার মনো ব্যাথা নিয়েই মাঝি চলে গেল। কোন নতুন জায়গা দেখলে মানুষ প্রথমেই সেটা ঘুরে দেখার চেষ্টা করে আমিও তাই করলাম। এক পাশে সাদা কাশবন আর এক পাশে শুকনো মড়া কিছু ডালপালা। আর সাদা বালি এছাড়া আর কিছু নেই চরে। অনেক খোজাখুজি করেও কোন মানুষের পায়ের ছাপ পেলাম না।

যা আছে কাকড়ার পায়ের ছাপ, শামুকের ঝিনুকের ছাপ ইত্যাদি। আর কিছু মড়া শামুকের খোলশ। চড়া রোদ ছায়া দরকার। যে কাশবন গুলো আছে তা দিয়ে ছায়া হবে তবে সেটা বিকালে। সূর্য হেলে পড়ার পর।

শরীরে ক্লান্তি অনেক। একপর্যায়ে গায়ের গেঞ্জি খুলে মাথায় দিলাম কিছু হলেও রোদের তেজ গেঞ্জির উপর দিয়ে যাচ্ছে। আসার সময় একটা ২২টাকা দামের বেকারী রুটি ও দুটো কলা কিনেছিলাম কথা একটা সেখানেই খেয়ে ফেলেছি। এখন আবার ক্ষিদে লেগেছে ক্ষেতে হবে। তার আগে গোছল করা দরকার।

রুটি কলা ছনের আড়ালে রেখে গোছল করা যায় চিন্তা করলাম। গেঞ্জি রাখলাম সেগুলোর উপরে এবার পানিতে নামা। কিন্তু প্যান্ট তো ভেজানো যাবে না যে প্যান্ড একবার ভেজালে দেড়দিনের কম শুকোয় না। অগত্যা প্যান্টও আসতে আসতে খুলতে লাগলাম। ভেতরে জাঙ্গিয়া খুলতে একটু ইতস্তত বোধ হতে লাগল।

কিন্তু পরক্ষনে মনে হল দেখার কেউ নেই। চারদিকে একবার তাকালাম নাহ সত্যি কেউ নেই। শুধু কিছু ঝিনুক শামুক আর মাথার উপরে কিছু শকুন বা চিল জাতীয় কিছু ওরা দেখলেও আমার কিছু যায় আসে না। এমনিতে বয়স ১৮। যৌবন পরিপূর্ণ কখনো হইনি বস্ত্রহীন।

তারপর খোলা নির্জন জায়গা অনুভূতি বলে বোঝাতে পারবো না। লুলেরা বুঝে নিবেন। ঝাপ দিলাম চির যৌবনা যমূনার বুকে। পানির নিচে আরেক অনুভূতি। গোছল শেষে উঠে গেলাম তীরে কিছু পড়ার দরকার আছে কি? নাহ নেই কারন দেখার কেউ নেই।

একটা আস্ত কলা ও হাফ পাউরুটি খেয়ে বসে থাকলাম কিছুক্ষণ। ৫টা টা বাজ মোবাইল ফোনটাতে উচ্চ স্বরে গান বাজাতে লাগলাম এবং সেইসাথে নৃত্য। অশ্লীল নৃত্য এটা অশ্লীল বলা ঠিক হবে না কারন যে নৃত্য কেউ দেখেই না তাকে অশ্লীল বলার মানে হয় না। সূর্য ডুবু ডুবু ভাব কাশবনের পাচ ছয়হাত জায়গাই এখন আমার বাড়ি আমি এই চড়ের রাজা। বস্ত্রহীন রাজা।

চরের চতুর্দিকটা ঘুরে দেখা হয়নি তাই একদম কিনারা দিয়ে ঘুরতে লাগলাম। একি? সামনে দেখি লাল কাপড় পড়া কেউ শুয়ে আছে। চোখ ভালো করে ডলা দিলাম আসন্ন বিপদের কথা চিন্তা করতে করতে। সাথে মাঝির উক্তিগুলোও। ভালো করে দেখে নিশ্চিত হলাম নিশ্চয় কোন মেয়ে।

লাল কাপড় পড়িহিত। মেইছা দেও নাকি যে কোন রূপ ধরতে পারে সে হয়তো আমাকে বস্ত্রহীন দেখে মেয়ে মানুষের রূপ নিয়ে আমাকে গ্রাস করতে চাইছে। উল্টোদিকে দৌড় দিব ভাবতে গিয়েই ভাবলাম হেলুলেশন নাতো? আবার তাকালাম নাহ হেলুলেশন না ঠিকই দেখতে পাচ্ছি। সমস্ত বৈজ্ঞানিক শক্তি এক করে চললাম মেয়েটির দিকে। পরে যা হাসি পেল তা আর বলব না।

মেয়ে ঠিকই তবে দশহাত ওয়ালা মায়ের সমতুল্য শরীরে লাল কাপড় পেচানো। এবার কিন্তু আমার আর ঐ নির্জন জায়গা থাকতে মন চাইছিল না। কিন্তু কি আর করা। শামুক ঝিনুক ছাড়া আর কেউ নেই। পাখিরা চলে গেছে তাদের নীড়ে।

যাই হোক কাশ বন এর একপাশ হেলিয়ে বালির উপর এক প্রকার বিছানা রাখলাম খাবার অর্ধেক রুটি আর যমুনার জল। প্যান্ট গেঞ্জি বিছানার চাদর হিসাবে ব্যবহার করা গেল। আমি সেই নগ্নই থেকে গেলাম। ঘুম ভাঙল সূর্য উঠার পর। বিকালে যেখানে ছায়া ভেবে শুয়েছিলাম সকালে সেখানেই রোদের কড়া ঝাঝ।

আমার সমস্ত দেহটি শুকিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে যে অঙ্গটি রোদের সংস্পর্ষ ছাড়া বেচে থাকে সেটি রোদের স্বাদ পেয়ে কেমন তিতিয়ে উঠেছে। খাবার কিছু নেই। বালি দ্বারা দাঁত মেজে আবার গোছল সেই সাথে কয়েক ঢোক পানি। আপন মনে গাইতে লাগলাম:- আমার যমূনার জল দেখতে কালো............. বাস্তবে জল কালো ছিল না।

মানুষের কষ্টের হাতে গড়া বাড়ীঘরের ধ্বংস্বাবশেষ বুকে নিয়ে যৌবনা যমূনা খেলা করতে করতে তাকে সাদা বানিয়ে ফেলেছে। কাপড় পড়িনি এখনও এদিক সেদিক হাটছি। আমার পা দুটো অবশ হয়ে আসছে ক্ষিদের জালায়। কিন্তু তিন নম্বর পা টি এখনও তার বীরত্ব দেখিয়ে চলছে। তার যেন আজ কত আনন্দ মুক্ত বাতাশে মুক্ত হতে পেরে।

যেমন খাঁচায় বন্দি পাখি ছাড়া হলে আনন্দ করে। দূরে একটি সুতোর মতো কি যেন দেখা যায়। আরেকটু স্পষ্ট হতেই দেখি একটা নৌকা। তাড়াতারী প্যান্ট গেঞ্জি পড়ে রেডি। কালকের সেই মাঝি।

আজকের বলার ভঙ্গিটা অনেকটা তাচ্ছিল্যপূর্ণ। -কি মিয়া সাব যাবেন, নাকি এখানেই থেকে যাবেন। -যাব না মানে অবশ্যই যাব। -না আমি ভাব্লাম আপনি হয়তো বল্বেন না যাব না। -তোমার ভাবায় আমার কি? -নেন দুইটা রুটি আনছি আর এক বোতল পানি।

উপরে উপরে রাগ দেখালেও ভেতরে যে খুশি হয়েছি তা বুঝতে বাকি রইল না কারও। নৌকা ছাড়ার আগে বল্লাম গুড বাই মেইছা চর। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.