আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'নাস্তিকদের' উদ্দেশ্যে.......

যা দেখি,শুনি,অনুভব করি, আমি স্বপ্নি। তাই গল্পে রুপ দিতে চাই............... আত্মা, মানুষের মন এবং প্রকৃতি এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার মাথায় হাজারো চিন্তা কিলবিল করে। আচ্ছা আত্মা কিভাবে দেহে আসে? আত্মা দেহে আসার আগের রুপ কি? কোথা থেকে আসে? আবার মানুষের মৃত্যু হলে কি হয়? কিভাবে প্রকৃতি পরিচালিত হয়ে আসছে তার সঠিক নিয়মে? এ সকল কিছুর পেছনে কি কেউ আছে? আরো অনেক অনেক প্রশ্ন। জানি আমার এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই জানা। বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে এর উত্তর দিবেন।

কেউ বলবেন ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে আবার কেউ অস্বীকার করবেন, কেউ বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দ্বাড় করানোর বৃথা চেষ্ঠা করবেন। বৃথা চেষ্ঠা আমি এই কারনে বলব যে আজ পর্যন্ত বিজ্ঞান কি এই সকল প্রশ্নের উত্তরের ধারে কাছে যেতে পেরেছে? না পারে নাই। বিজ্ঞান এখানে ব্যার্থ । ধর্ম আসলে কি? ধর্ম আসলে এক ধরনের বিশ্বাস। আদিম মানুষ যখন অতি প্রাকৃত কিংবা অস্বাভাবিক কিছু দেখেছে এবং তার কোন ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারেনি, সে ভয় পেয়েছে তখন সে সেই শক্তির অথবা অন্য কোন শক্তির দ্বারস্থ হয়েছে।

পুজা অর্চনা শুরু করেছে। আর নিজেকে নিয়ে খোজের মধ্যে তো সবসময় ছিলই। এই ভয়, খোজ এবং বিশ্বাসের উপর ভর করে সমাজে ধর্মের আগমন এবং ধীরে ধীরে সেখানে যুক্ত হয়েছে নানা ধরনের রীতি-রেওয়াজ, বিধি নিষেধ। এবং আজ পর্যন্ত চলছে তার চর্চা। এই চর্চা ব্যাক্তি, সমাজ, গোত্র, রাষ্ট্র ভেদে পেয়েছে ভিন্নতা।

কিন্তু প্রায় সকল ধর্মের মধ্যে মিলের জায়গা হল সব গুলোতেই ঈশ্বরের উপস্থিতি রয়েছে এবং তাকেই সকল কিছুর ত্রানকর্তা, প্রতিপালক ভাবা হয়। এখন যদি আমরা ধরেই নেই যে বিশ্বব্রহ্মান্ডে কোথাও কোন ঈশ্বর কিংবা এমন কেউ নেই যে সকল কিছুর পরিচালক, স্রস্টা। সকল ধর্মই অনর্থক তাহলে আমার উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর কে দিবে? কেন আজকে পর্যন্ত বিজ্ঞান সেখানে সীমাবদ্ধ। (জন্ম –মৃত্যু,প্রকৃতি কিন্তু এখন ও সচল রয়েছে কিন্তু কিভাবে তার উত্তর নেই) কেউ লুট করে হাসে আবার কেউ লুন্ঠিত হয়ে করে আহাজারী। সত্যের আসলে একক কোন রুপ নাই।

আপনার কাছে যা সত্য তা অন্যের কাছে নাও হতে পারে। ব্লগে নানা ধর্মের নানা বিশ্বাসের অনেক ব্লগার রয়েছেন। কেউ মুসলমান কেউ হিন্দু অথবা অন্য কিছু। এদের মধ্যে কখনই ইশ্বর কিংবা ধর্ম নিয়ে কোন ক্যাচাল দেখা যায় না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে ব্লগে কিছু ব্লগার রয়েছেন যারা অনেক বিচক্ষন।

তাদের জ্ঞান গরিমা দেখলে অবাক হয়ে যেতে হয়। অনেক জানেন তারা স্বীকার করি। এবং নিজেকে নাস্তিক হিসেবে জাহির ও করেন। খুবই ভাল কথা। কোন কিছুতে আপনার বিশ্বাস নাও থাকতে পারে।

এই বিশ্বাস না থাকাটাও কিন্তু একটা বিশ্বাস। যাক সে কথায় যাব না। কিন্তু সব থেকে খারাপ লাগে যখন তারা অন্য কারো বিশ্বাস নিয়ে খারাপ খারাপ কথা বলে। ধর্মের এই বিশ্বাস মানুষের যুগ যুগান্তরের। সেখানে, যাকে তারা সবকিছু মনে করে, যাকে তারা আদর্শ পুরুষ বলে মনে করে তাকে নিয়ে খুব খারাপ কথা বলেন এই সব সুশিলেরা।

আসলে আপনারা কিন্তু একভাবে একটা বিশ্বাসকে ছোট করছেন এবং একজনের বিশ্বাসকে এভাবে ছোট করে দেখার কোন কারন নেই। ঠিক আছে আপনারা আমার উপরের মোটা দাগের প্রশ্ন গুলোকে অস্বীকার করুন অথবা এগুলোর উত্তর দিয়ে যান এরপর একজনের বিশ্বাস নিয়ে কটুক্তি করুন। নিশ্চই আমার কোন সমস্যা থাকবে না। অন্যথায় নাস্তিকতা হবে শুধু বিখ্যাত হওয়ার কৌশল মাত্র। আসিফ মহিউদ্দিনকে বলছিঃ আপনার অনেক লেখাই আমি পড়েছি।

অসাধারন সব লেখা। আমার খুব ভাল লাগে। কিন্তু আমাকে থমকে যেতে হয় যখন আপনার মত মানুষ ও এরকম মুর্খের মত কাজ করেন। রাখেন না ভাই নিজের বিশ্বাস নিজের কাছে। অন্যের বিশ্বাসে এভাবে আঘাত করার কি দরকার? আরো আমি অবাক হয়ে যাই যখন দেখি আপনি বেশিরভাগ সময় ইসলামের পেছনে লেগে থাকেন অথচ অন্য ধর্মের গলদ গুলো আপনি সুচতুর ভাবে এড়িয়ে যান।

ধর্মের গলদ দেখার দায়িত্ব আপনার নয় জানি কিন্তু এরপর ও এরকম উলঙ্গ নৃত্য আপনাকে মানায় না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.