আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তিকদের উৎসবের সুযোগ

মানুষ হবার প্রচেষ্টায় কোরআনের ১৫ নম্বর সুরার (সূরা হিজর)এর নবম আয়াতে বলা আছে- "নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমি তা সংরক্ষণ করবো। " এই আয়াতের ভিত্তিতে মুসলিমরা বিশ্বাস করে, আল্লাহ্‌ নিজেই কোরআন রক্ষা করবেন যে কোন বিপদ থেকে। মাঝে মদ্ধেই আমরা দেখি বিভিন্ন জায়গায় কোরআন অক্ষত থাকার গাল গল্প। এর মধ্যে আগুনে কোরআন না পড়ার গল্প প্রাইই ফেসবুকে দেখতে পাই। বেশ অলৌকিক ভাবে দাবি করা হয়ে থাকে সব কিছু পুড়ে গেছে কিন্তু কুরআন পুড়ে নি।

আল্লাহ্‌ কোরআন রক্ষা করছে। যাইহোক আমরা এখন যুক্তিবাদী মন নিয়ে এটি দেখব- প্রথমত, ঘরে আগুন লাগলে একজন খাটি মুসলিম যেটিকে বাচাতে প্রথম চেষ্টা করবে তা হচ্ছে কোরআন। তাই দেখা যায় কুরআন আগুনে পড়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। দ্বিতীয়ত, শুধু কোরআন না যেকোনো মোটা বইয়ের ভিতরের অংশ পুড়তে সময় লাগে অনেক বেশী। এর কারণ হচ্ছে বইটা বুঝানো থাকলে তার পাতা গুলোর ঘনত্ব এতো বেশী থাকে যেখানে অক্সিজেন প্রবেশ করতে কষ্ট হয়।

এই কারনে বইয়ের ভিতরের পাতা গুলো পুড়তে অনেক দেরি হয়, সেটা আল্লাহার কোরআন হোক আর রুশদির স্যাটানিক ভার্সেস হোক। তৃতীয়ত, কোরআনের পৃষ্ঠা গুলো অন্যান্য সাধারণ বইয়ের থেকে একটু ভাল মানের হয়, যা অপেক্ষাকৃত পুড়তে একটু দেরি লাগে। চতুর্থত, কোরআনের উপরের মলাট অন্যান্য বইয়ের থেকে ভাল মানের এবং অনেক পুরু হয়। তাই আগুনের ধাপটা প্রাথমিকভাবে মলাটের উপরে যায়। অনেক সময় দেখা যায়, মলাটের উপর পুড়ছে কিন্তু ভিতর পুড়ে না।

পঞ্চমত, কুরআন সাধারণত কাপড় দিয়ে পেঁচানো এবং অনেক সময় কাঠ দিয়ে আবৃত থাকে যা পুড়তে সময় লাগে। এছাড়া, কুরআনটা সাধারণত একটা নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়, যাতে কুরআন রক্ষা পেতে পারে। অনেক সময় কাকতালীয় ভাবেই এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও ঘটতে পারে। মাঝের মধ্যে ঘটনার যে বর্ণনা দেয়া হয় তা একেবারেই বানোয়াটও থাকে। উপরের কারণ গুলো আগুনে কোরআন না পড়ার জন্য যথেষ্ট।

শুধু কোরআন নয় বেদ, গীতা, বাইবেল এর ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। তবে সাধারণত মুসলিমরা এর মধ্যে বেশী মোজেজা খুজেন। একজন বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ হিসেবে এদেরকে আমি পরীক্ষণকে গুরুত্ব দিতে বলবো। নাস্তিক দের কোরআন পড়ানোর পরীক্ষণ দিয়ে আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এই জিনিশ আসলেই পুড়ে কিনা। যারা পুড়াচ্ছে তারা সাপ হয়ে যাচ্ছে কিনা।

কুরআন নিয়ে পরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণের জন্য পাশ্চাত্যরা বারনিং কুরআন ডে পালন করে। এই দিনে কোরআন পুড়িয়ে উৎসব করা হয়। বাঙালি নাস্তিকরা এমনিতেই ধর্মীয় উৎসব থেকে বঞ্চিত। তাদেরকে আমরা উৎসব পালন করতে দেই এবং একই সাথে পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞান মনস্ক হই। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.