আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডক্টর ইউনুসের ইচ্ছা শুধু গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান হওয়া নয়, তার মূখ্য উদ্দেশ্য দেশের প্রধান হওয়া।

(لا اله الا الله محمد رسول الله) মানুষ মাত্রই লোভী, মানুষের লোভ কখনো শেষ হয়না, মানুষ এমন একটি প্রাণী, তারা যত পাই তত বেশী চায়, যে দিন শুনলাম আমাদের দেশের একজন ব্যাক্তি বিশ্ব বিখ্যাত সর্বোচ্চ সম্মানী নোবেল পুরুষ্কার পেতে যাচ্ছেন, গর্বে আর খুশিতে মনটা ভরে যায়, কিন্তু কেন, কি জন্য তিনি নোবেল প্রাইজ পেতে যাচ্ছেন তার সর্ম্পকে গভীর ভাবে জানতামনা, জানতাম না তার প্রতিষ্টান ও তার ব্যাক্তিগত সর্ম্পকে বিস্তারিত। ২০০৭ সাল খালেদা, হাসিনা, তারেক, আরফাত সহ প্রচুর রাজনৈতিক নেতা যখন জেলের ভিতর, বিশেষ করে বি,এন,পির বেশীর ভাগ নেতা জেলে বন্ধী হন, তখন সবার রাজনৈতিক কর্যক্রম চালানো সম্পূর্ণ নিসিদ্ধ ছিল , তখন হুট করে নোবেল সাহেব রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যেগ নেন, নোবেল সাহেব তখন তার রাজনৈতিক দলের নাম পর্যন্ত ঘোষণা করেন, প্রাথমিক কমিঠি করেন, তার ব্যাংকের তৃণমুল গ্রাহক ও সমর্তকদের গ্রাম পর্যায় হতে কমিঠি গঠনের জন্য নির্দেশ দেন, কি ভাবে আর কত জন নিয়ে গ্রাম পর্যায়ে তার রাজনৈতিক দলের কমিঠি গঠন করতে হবে তারও একটি র্ফমুলা তিনি দিয়ে দেন। যারা দেশের জন্য এত কিছু করলো, কত সংগ্রাম, কত কষ্ট আর ত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র প্রতিষ্টা করলো তাদের জন্য তখন রাজনীতি নিসিদ্ধ ছিল কিন্তু সেই সুযোগে নোবেল বাবুর ক্ষমতার খায়েশ মনে জাগে উঠলো, তখন আর এখন বি,এন,পি সেই ব্যাপারে একটি টু শব্দও উচ্চারণ করেনি বা এখনো করছেন না। পরে চিন্তা করলাম তিনি ২০০৬ সালের আগে নোবেল প্রাইজ পাবার আগে কোথায় ছিলেন? তিনি কেন আগে থেকেই রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যেগ নেন নি? তাহলে কি তিনি অপেক্ষায় ছিলেন কখন নোবেল প্রাইজ পাবেন আর নোবেল প্রাইজের জনপ্রিয়তার পুজি করে তিনি রাজনৈতিক দল গঠন করবেন আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবেন, সত্তি তখন অবাক হলাম, তার নোবেল প্রাইজের আসল উদ্দেশ্য কি? গ্রামীণ গরীব অসহায়দের সহায্য আরো বৃদ্ধি করা? নাকি নোবেল প্রাইজের চুতো দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়া? এবার দেখা যাক নোবেল বাবুর গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে র্দুনীতি ও অনিয়মের চিত্র। সর্বপ্রথম এই নোবেল বাবুর র্দুনীতি আর অনিয়মের খবর প্রকাশ করেন নরওয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেল, তাতে বলা হয় বিদেশ হতে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের কল্যাণের জন্য পাওয়া টাকা তিনি গ্রামীণ গরীব মহিলাদের না দিয়ে তিনি সেই অর্থ গ্রামীণ ব্যাংক ফান্ড হতে অন্য একাউন্টে সরিয়ে নেন।

গ্রামীণ ফোন সহ অনেক ব্যাবসা প্রতিষ্টান গড়ে তুলেন এই নোবেল বাবু, এই সমস্ত ব্যাবসার জন্য লোন বা ঋণের নিশ্চয়তা দেওয়া হয় এই গ্রামীণ ব্যাংক হতে, কিন্তু সেই সব প্রতিষ্টান হতে প্রাপ্য লাভ গ্রামীন ব্যাংকের গরীব মহিলাদের জন্য একটি পয়সা দেওয়া হয়নি, কিন্তু এই গ্রামীণ ব্যাংকের শতকরা ৭৫% শেয়ার হলো গ্রামের গরীব মহীলাদের , নিয়ম অনুসারে গ্রামীণ ফোন কোম্পানীর লাভ গ্রামের মহীলারাও পাবার কথা। গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়ম ও আইন অনুসারে ৬০ বছরের উর্দ্দে কেউ এই প্রতিষ্টানের সাথে সরাসরি জড়ীত থাকতে পারবেনা, কিন্তু নোবেল বাবুর বর্তমান বয়ষ ৭২, নিয়ম অনুসারে ২০০২ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান থাকার মেয়াদ শেষ হয়। বয়ষ সীমা শেষ হবার পরও তিনি তার স্ব ইচ্ছায় আইন লঙ্ঘন করে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান পদটি আকড়ে থাকেন। গ্রামীণ ব্যাংকের পেচনে আওয়ামীলীগের আবদান। ১) ১৯৯৮ সালের বন্যায় এই গ্রামীণ ব্যাংক মারাত্বক ভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তখন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল, ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তখন ৪০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় এই গ্রামীণ ব্যাংকে।

২) জাতিসংঘের মাইক্রোকেডিট রেজুলেশন গ্রহণের জন্য সহায়তা করে তখন সরকার। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ও নোবেল বাবুর সাথে সর্ম্পক অবণতির কারণ। ১) গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী ব্যাবসা প্রতিষ্টান, যেমন - গ্রামীণ ফোন সহ যাবতীয় ব্যবসা প্রতিষ্টান হতে প্রাপ্ত লাভ গ্রামের গরীব নারী শেয়ার হোল্ডারদের বন্টন করার জন্য চাপদেন সরকার নোবেল বাবুকে চাপদেন কিন্তু তিনি তা গ্রামের নারী শেয়ার হোল্ডাদের বন্টনের রাজী হয়নি। ২) নিয়ম ও আইন অনুসারে বয়ষ সীমা পার হওয়ায় সরকার নোবেল বাবুকে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান পদ হতে পদত্যাগ করতে অনুরোধ করেন , কিন্তু তিনি তা করেনি বরং উল্টো সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি আদালতে যান, শেষ পর্যন্ত তিনি আইনী লড়াই হেরে যান। নোবেল বাবু গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান হতে পদত্যাগ করার পর অবস্থা।

সর্বশেষ যখন পর্যন্ত ডাক্টর ইউনুস গ্রামীন ব্যাংকের প্রধান পদে ছিল তখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গ্রামের নারীদের ঋণ বিতরণের মাত্র ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা, কিন্তু ডক্টর ইউনুস সরে যাবার পর গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ঋণ মাত্র ১৬ হাজার কোটি টাকা হতে ৩৩ হাজার কোটি টাকায় পৌছায়। গ্রামীণ ব্যাংক হতে বি,এন,পি রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের চেষ্টা। গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে সরকার অন্যায় বা আইন বর্হিভুত কোন কিছু করেনি এখনো, কিন্তু ডক্টর ইউনুস তিনি নিজে নিজে অর্ন্তজ্বলায় ভুগতেছেন, কারণ তিনি মনে করতেছেন এই ব্যাংকের প্রতিষ্টতা তিনি তায় আজীবণ তিনিই এই ব্যাংকের প্রধান হয়ে থাকবেন, সরকার তাকে গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান পদ হতে সরে যেতে চাপ দেওয়ায় ও আদালতের মামলায় হেরে যাওয়ায় ও গ্রামীণ ফোন প্রতিষ্টন হতে প্রাপ্য লাভ গরীব নারীদের বন্টনের চায় দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন সরকারের উপর, দুরত্ব ও মতনৈক্য সৃষ্টি হয় সরকারের সাথে, আর এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চায় বি,এন,পি, কারণ গ্রামীন ব্যাংকের প্রায় ৮৪ লক্ষ গ্রামের নারী শেয়ার হোল্ডার রয়েছে এই গ্রামীণ ব্যাংকে , যারা আগামী নির্বাচনে ভোট যুদ্ধের হিসাবে যোগ হতে পারে, যদি ডক্টর ইউনুসকে বি,এন,পি কব্জায় রাখতে পারে সেই ৮৪ লক্ষ ভোট ধানের শীয়ে পড়বে তা ১০০% পরিষ্কার। ডক্টর ইউনুস যদি বি,এন,পির ফাদে পা দেন ভবিষ্যতে যা হবে। ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্টা হবার পর আজ ২০১৩ সালে পর্যন্ত এসছে, প্রতিটি পদক্ষেপে গ্রামীণ ব্যাংকের রয়েছে প্রচুর সাফল্য আর উন্নতি, সম্মান , সক্ষম হয়েছে গ্রামের গরীব নারীদের দারিদ্রতা দুরীকরণে আবদার রাখতে, যদি ইউনুস বি,এন,পির পাদে পা দেন প্রতিষ্টানটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নোংরামির শিকার হতে পারে, গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্টার পর আজ এই সাফল্যর শীর্ষ্য আসতে প্রায় ৩৮ বছর সময় লেগেছে, আর যদি ডক্টর ইউনুস যদি বি,এন,পির ফাঁদে পা দেন ৩৮ বছরের সাধনা আর পরিশ্রম খুব সহজে দ্রুত ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হতে পারে গ্রামীণ ব্যাংকের সুনাম, প্রতিষ্টানের ভিতর ঢুকে যেতে পারে রাজনীতি।

ডক্টর ইউনুসের যা করা দরকার। ডক্টর ইউনুসের উচিত দেশের আইনের ও সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান আর শ্রদ্ধা জানানো, সরকারের বিরুদ্ধে সাংঘষিক সর্ম্পক ত্যাগ করা উচিত, তাছাড়া তিনি তো একদিন চলে যাবেন তখন কে হবে এই ব্যাংকের প্রধান, তার এই কথা বিবেচনা করা উচিত, সরকারের সাথে আলোচনা করে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা হিসাবে থাকতে পারেন, তার মনে রাখা উচিত দেশের সবাই বি,এন,পি জামাত নয়, গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৪ লক্ষ গ্রামের গরীব নারী সবাই বি,এন,পি জামাত বা ডক্টর ইউনুসের গোলাম নয়। গ্রামীণ ব্যাংক যদি কোন কারণে ধ্বংস হয় তার জন্য দায়ী হবেন ডক্টর ইউনুস, আর এই গ্রামীণ ব্যাংক ও ডক্টর ইউনুসকে পুজি করে পুরোপুরি ফায়দা লুটবে বি,এন,পি ও তার মিত্র জামাত রাজাকার। আর সরকারের ও সরকারের মন্ত্রী সহ আওয়ামীলীগের নেতা নেত্রী সহ সবার উচিত ডক্টর ইউনুসের সর্ম্পকে নেতিবাচক ও আওলা ঝাওলা বক্তব্য পরিহার করা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।