আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাহাবীদের আল্লাহ এবং আল্লাহের বানীর উপর বিশ্বাসের ধরন

সিরাতুল মুস্তাকিম চাই, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আল্লাহের গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে **** দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়েগেছে সাহাবীদের আল্লাহর উপর এবং আল্লাহের প্রেরিত কুরান এর বানীর উপর কি রকম বিশ্বাস ছিল সেই সম্পর্কে আমাদের ধারনা থাকা উচিত মনে করলাম। আশা করি তাতে আমাদের ইমান মজবুদ হবে এবং আমরা আমাদের বিশ্বাস এর মধ্যে ছেদ গুল খুজতে পারব ইনশাল্লাহ। নিম্নে উল্লেখিত আয়াত টি সুরা হুদ এর ৬ নং আয়াত। দয়া করে আয়াত টি কুরান থেকে একটু দেখেনিবেন বা View this link আমি শুধু বাংলা অর্থ তা দিলাম, বাংলা অর্থঃ (১১:৬) "আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়।

সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে। " ইমাম কুরতুবী (রাঃ) উপরিউক্ত আয়াতের তফসীর এ হযরত আবু মুসা (রাঃ) ও হযরত আবু মালেক (রাঃ) প্রমুখ আশআরী গোত্রের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। ঘটনা টি নিম্ন রূপঃ একবার আশআরী গোত্রের কিছু লোক ইয়েমেন হতে হিজরত করে মদীনা শরীফ পৌছালেন। তাদের সাথে পথের জন্য নিয়ে আসা খাবার ও পানিয় যা ছিল তা শেষ হয়ে গেল । ঐ সাহাবী গন নিজেদের মধ্যে থেকে এক জন মুখপাত্র ঠিক করলেন এবং তাকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নিকট প্রেরন করলেন, যেন নবীজী তাদের জন্য কিছু খাবার ও পানির সুব্যবস্থা করেন।

উক্ত প্রতিনিধি যখন নবীজীর বাড়ীর দরজাতে পৌছালেন তখন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ঘরের ভিতর কুরান তেলোয়াত করছিলেন “………………..কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন…………..” প্রতিনিধি হিসাবে প্রেরিত সাহাবী ঐ আয়াত শ্রবন করে মনে করলেন যে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা যখন সমস্ত প্রানি কুলের রিযিক এর দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আমরা আশআরী গত্রের লোকেরা আল্লাহ তাআলার নিকট নিশ্চয় অন্যান্য জন্তু জানয়ারের চেয়ে নিকৃষ্ট নই। অতএব তিনি অবশ্যই আমাদের জন্য রিযিক এর ব্যবস্থা করবেন। এই ধারনা করে তিনি রাসুল(সাঃ) কে নিজেদের অসুবিধার কথা কিছু না বলেই সেখান থেকে প্রত্তাবর্তন করলেন এবং ফিরে গিয়ে স্বীয় সাথীদের বললেন - “শুভ সংবাদ তোমাদের জন্য আল্লাহের সাহায্য আসছে। ” অন্যান সাহাবীরা তাদের সাথির কথা শুনে মনে করলেন যে নবীজী তাদের অনুরধ রেখেছেন এবং খাবার ও পানির ব্যাবস্থা করার আশ্বাস দান করেছেন। তারা নিশ্চিন্ত মনে বসে রইলেন।

তারা বসাই ছিলেন, এমন সময় দুই বাক্তি গোশত ও রুটি পুর্ন একটি বড় খাঞ্জা বহন করে উপস্তিত হলেন। আশআরী গোত্রের লোকেরা আহার করলেন। অতঃপর দেখা গেল যে আহার করার পরও প্রচুর গোশত ও রুটি রয়ে গেল। তখন তারা নিজেরা পরামর্শ ক্রমে রয়ে যাওয়া অবশিষ্টো গোশত ও রুটি মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) এর নিকট প্রেরন করা বাঞ্ছনীও মনে করলেন, যেন তিনি প্রয়োজন অনুসারে সেগুলো ব্যায় করতে পারেন। সিদ্ধান্ত অনুসারে তারা তাদের মধ্যে থেকে দুই ব্যাক্তির মাধ্যমে বাকি খাবার রাসুল(সাঃ) এর খেদমতে পাঠিয়া দিলেন।

ঐ দুই সাহাবী নবীজীর কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন – “ ইয়া রাসুলাল্লাহ(সাঃ) আপনার প্রেরিত খাবার অত্যন্ত সুস্বাদু ও উপাদেয় এবং প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়েছে। ” উত্তরে রাসুলাল্লাহ(সাঃ) বললেন যে – “ আমি তো কোনো খাদ্য প্রেরন করিনি। ” তখন তারা পূর্ন ঘটনা বর্ণনা করলেন “…তাদের খাদ্যাভাব……প্রতিনিধি প্রেরন……ফিরেগিয়ে ঐ প্রতিনিধির বলা প্রতিস্রুতি…………খাদ্য পাওয়া এবং খাদ্য বেচে যাওয়া……………………” তদুত্তরে রাসুলাল্লাহ(সাঃ) বললেন “ আমি নই বরং ঐ পবিত্র সত্তা প্রেরন করেছেন যিনি সকল প্রানির রিযিকের দায়িত্ব নিয়েছেন। ” সকল মুমিন ভাইকে আমার প্রশ্ন “ আজ কাল আমরা কি আল্লাহর উপর আল্লাহের প্রেরিত কুরান এর বানীর উপর এই রুপ নির্ভর করি?” যাদের উত্তর,“হা করি। ”, তাদের উদ্দেশে বললাম, “আলহামদুলিলাহ! মাশাল্লাহ!” যাদের উত্তর,“না করিনা”, তাদের কে আবার প্রশ্ন “কেন করিনা?” ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।