আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজেবাজে কথা -১ +২০

আমি ফ্রা ঙ্কে স্টা ই ন......... সেই মানুষটা আসছেন যার অপেক্ষায় সবাই দাঁড়িয়ে আছে। সৈনিকরা রাইফেল উচু করে আছে তাকে অবিভাদন জানাবে বলে। কেউ কেউ বলছে তিনি ককেসাসের পার্বত্য অঞ্চল পার করেছেন আবার কেউ বলছে তিনি তাজাকিস্তানের পাহাড়ে যুদ্ধ করছেন। কিছুদিন আগে আমাদের এখানে খবর এসেছিলো তিনি ক্রিমিয়ায় মারা গেছেন। প্লেগাক্রান্ত হয়ে।

মানুষ মন্তে পারে নি তিনি মরতে পারেন। তাই সংবাদ পত্রে ভুল সংবাদ প্রকাশের জন্য দুক্ষ প্রকাশ করা হলো। তিনি মারা যান নি। তিনি মরতে পারেন না। আমাদের এই পূর্বের শহরের মানুষের কাছে প্রতিদিন চিঠি আসে না ফৌজিদের।

যোগাযোগ ব্যবস্থা এতো ভালো নয়, এর উপরে দক্ষিনে সমুদ্র বন্দরে প্রতিদিন ই জার্মান বিমান বোমা ফালাচ্ছে। এখন এ দিকে সাধারণ জাহাজ ভিড়ভে তার কোন সাধ্যি? যে যাই হোক একটা চিঠি এলে আমাদের সবাই মিলে সেই চিঠিটা পড়ি। ইউরোপিয়ান ফন্টে যে ভয়াল যুদ্ধ হচ্ছে তার কথা তার সংবাদ এই চিঠি গুলো তে থাকে। এই তো কদিন আগে আমাদের মনসুর চোখ টা হাড়িয়ে ফিরে এলো আফগানিস্থান থেকে। এসে দেখে তার ছেলে চলে গেছে ভলকান অঞ্চলে যুদ্ধ করতে।

এতো টেকনলজির উন্নতি হলো তবুও যুদ্ধ দুই দিনে শেষ হচ্ছে না। জার্মান বোম্বার গুলো বোমা মেরেই যাচ্ছে আর মার্কিনী সুপার সনিক গুলো রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। এর উপরে শয়তান গুলো আকাট্টা হয়ে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে এক মত হয়েছে। তাতে লাভের লাভ হয়েছে আমাদের ছোট্ট শহরের ছেলে গুলো মরছে দূর দেশে যুদ্ধ করতে গিয়ে। আর আমারা তাদের ম্যডেল গুনছি।

পেনশন পাচ্ছি। যত্ত সব। তিনি এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এবার আমার পরিচয় টা দেয়া যাক, আমি এক সাবেক আমলের ইঞ্জিনিয়ার, এখন পুরো অচল, চোখে ছানি পরেছে কিছু দেখি না, বিয়ে থা করি নি তাই কাজ নেই তাই বসে বসে কিছু এলোমেলো কথা লিখছি। শহরে শান্তি নেই।

মাঝে মাঝেই চৈনিক বিমান গুলো বোম ফেলে যায় আমাদের যুদ্ধ সীমান্ত গুলো তে। শহরটা কেঁপে উঠে তখন। তিনি এলেই সব শ্তহিক হয়ে যাবে। সত্যি বলতে কি আমি নিজেও এই তিনি কে চিনি না। শুনেছি তিনি নাকি একজন আইরিশ কমান্ডার।

রোনাল্ড র্যেমসন বা এ জাতীয় কোন নাম। তিনি না কি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই শান্তি ফিরে আসছে। কিন্তু তিনি কি আসবেন আমাদের এই বৃদ্ধাশ্রমে? আমাদের ছেলেরা সব কাবাব হচ্ছে যুদ্ধে। মেয়ে গুলো নার্সিং আর সৈনিকদের আমোফ ফুর্তিতে ব্যবহার হচ্ছে। এই সব মৃত শহর গুলো তে পড়ে আছি আমরা।

এই বুড়ো মানুষগুলো আমাদের ছেলেদের পিন্ডি চটকানো লাশ দেখবো বলে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।