আজ সকালে ফেসবুক খুলেই মনটা খারাপ হয়ে গেল স্কুলের এক ছোট ভাইয়ের স্ট্যাটাস দেখে !
"বেলগাছী আলিমুজ্জামান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এক্স প্রধান শিক্ষক বাবু পিযুষ কান্তি সাহা, আমাদের স্যার আর নেই"
এটা কি করে বিশ্বাস করি আমাদের সেই স্যার এখন আর এই পৃথিবিতে নেই। সত্যই কষ্ট হচছে এই
ণির্মম সত্যকে মেনে নিতে। সাথে সাথে চোখের সামনে ভেসে উঠলো মাত্র কদিন আগের সেই মানুষটাকে। গত ১৬ ই মার্চ ঢাবির এনেক্স ভবনে আমাদের ঢাকাস্থ বেলগাছি কল্যান পরিষদের এক মিলন মেলায়। আমাকে দেখেই স্যার এক ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন , আর বললেন অনেক দিন দেখি না, আবার সাথে সাথে বললেন অবশ্য তোমরা যার যার যায়গায় সে সে ব্যস্ত থাকো দেখা হবেই বা কি করে।
অনুষঠান শেষে স্যার একটা বল হাতে নিয়ে বললেন এই বল টা কাকে দেই (অনুষ্ঠানের র্যাফেল ড্র এর গিফট বিতরণ শেষে) ? আমি সাথে সাথে বললাম স্যার আমি কিছু পাইনি ওটা আমাক্বে দিন । স্যার আমাকে ইশারা করলেন কাছে যাওয়ার জন্য , আমি গেলাম পাশ থেকে কেউ একজন আপত্তি করলো তারও পর স্যার বললেন না ওকেই দেই। আমি সেটা স্যার এর কাছ থেকে খুশি মনে নিলাম আর ভাবলাম যাক বাসায় গিয়ে আমার মেয়েকে দেওয়া যাবে।
কিন্তু কে জানতো কিছু দিন পরই স্যার আমাদের ছেরে চলে যাবেন !!
স্যার ছিলেন একজন আলোর দিশারি, যিনি আমাদের বেলগাছি এজেড হাই স্কুল & কলেজের জন্য অনেক কিছু করেছেন , যার কাছে এলাকার মানুষ চির ঋনি। স্যার শেষ দিকে স্কুল গ্রাম ছেরে ঢাকায় থাকতেন।
হয়তো বা কোন অজানা কষ্টে তিনি স্কুল গ্রাম ছেড়েছিলেন , কারন হয়তো আমরা তাকে কিছু দিতে পারি নি শুধু নিয়েছি এবং আরও নিতে চেয়েছি।
স্যার আপনি আমাদের কে ক্ষমা করুন।
স্যার গত কাল আনুমানিক বেলা ১২ টায় রাজধানির বারডেম হাসপাতালে হৃদ রোগে মারা যান।
তিনি বিশিষ্ট অভিনেতা চন্ঞচল চৌধুরির ভগ্নিপতি।
সময়ের আগেই তিনি চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে।
তাই মনকে বুঝ দিতে পারছি না।
পরে তার মরদেহ তার নিজ বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বেলগাছি তে নেওয়া হয় এবং সেখানেই শেষকৃত্ত
সম্পন্ন করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।