আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বশান্তির জন্য বড় হুমকি আমেরিকা !

ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...। (১) ২০০১ সালে আমেরিকাতে ভার্জিনিয়ার পেন্টাগন ও নিওইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসী আক্রমনে প্রায় ২,৯৯৬ জন নিহত হন এবং ৬,০০০ এর বেশি মানুষ আহত হন। অপরদিকে আমেরিকা এই হামলার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আল-কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আফগানিস্তান ও ইরাক আক্রমণ করে প্রায় ৮,৭৩,৩৪৪ জন নিরিহ মানুষ হত্যা করে এবং ১৫,৭২,০৯১ জন নিরিহ মানুষ আহত হয়। (২) আমেরিকাতে প্রতি বছর প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে অপরাধে জড়ানোর এরকম মাত্রা নজিরবিহীন।

একটি ওয়েবসাইটে (http://www.mostdangerouscities.org/ ) দেখলাম বিশ্বের সেরা ১০ টি বিপদজনক শহরের মধ্যে আমেরিকার একটি শহর ৫ নাম্বারে এবং ইরাকের বাগদাদ ৯ নাম্বারে। আমেরিকার শহরগুলোতে প্রচুর অপরাধ সংঘটিত হয়। (৩) ইতিহাস থেকে জানা যায় একদল ইয়াহুদী ফিলিস্তিনে আশ্রয় নেয় যখন ফিলিস্তিন ব্রিটিশদের অধীনে ছিল। ব্রিটেনের সহযোগিতায় তারা ১৯১৮ হাগানাহ নামে একটি বাহিনী গঠন করে যার কাজ ছিল ফিলিস্তিনী জনতার বিপরীতে ইয়াহুদীদের সাহায্য করা। পরে এই হাগানাহ বাহিনী একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে পরিনত হয় এবং এরা ফিলিস্তিনএর সাধারন মানুষদের হত্যা করে, তাদের ঘরবাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়, রাস্তাঘাটে ও বাজারে বোমাবাজি করে ফিলিস্তিনীদের তাড়িয়ে দেয়ার জন্য।

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ ফিলিস্তিনের মোট ভূমির ৪৫% ফিলিস্তিনীদের এবং বাকি ৫৫% ইয়াহুদীদের হাতে ছেড়ে দেয়। এভাবে ইসরাইল স্বাধীনতা লাভ করে। বিশ্বের ৫০টি মুসলিম দেশের মধ্যে ৩০টি ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়না। ইতিহাস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় প্রকৃত সন্ত্রাসী ইসরাইল এবং তারা অবৈধভাবে ফিলিস্তিন দখল করে ইসরাইল গঠন করে। তারা প্রতিদিন ফিলিস্তিনের সাধারন মানুষ ও শিশু হত্যা করছে আর আমেরিকা এদের শুধু সমর্থনই দেয়না, হাতিয়ারও সরবরাহ করে।

তাহলে বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি কে ??? (৪) ১৯৮০ সালের পর থেকে আমেরিকা ১৬টি দেশ আক্রমণ করে। (৫) হিরোশিমা ও নাগাসিকার কথা আর নতুন করে কি বলব? যেখানে আমেরিকারা পারমানবিক বোমার আঘাতে হিরোশিমায় ৯০,০০০-১৬৬,০০০ ও নাগাসিকায় ৬০,০০০-৮০,০০০ মানুষ হত্যা করে। সুতরাং আমেরিকার হাতে পারমানবিক অস্র থাকা অনেক বড় একটি হুমকি, কারন একবার তারা এর প্রয়োগ করেছে, ভবিষ্যতে যে করবেনা তার নিশ্চয়তা কি ?????  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।