আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বশান্তির মডেল বনাম বাংলাদেশর বাস্তব শান্তি

সমপ্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থাপিত ‘বিশ্বশান্তির মডেল’ জাতিসংঘে গৃহিত হয়েছে। যা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের একজন নগন্য নাগরিক হিসেবে আমাদেরকে বিশ্বের দরবারে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। গত কয়েক বছর থেকে শেখ হাসিনাকে ডটার অব পিস হিসেবে যুবলীগ অবহিত করে থাকেন এবং যুবলীগের একটি প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের সাথে সাক্ষাৎ করে শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির মডেল নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করে। জাতিসংঘে বিশ্বশান্তির মডেল গৃহিত হওয়া যুবলীগের দীর্ঘ প্রচেষ্টারই সফলতা। বিশ্বশান্তির মডেল এর ধারনা, এর উপর গবেষনা এবং প্রয়োজনীয় লবিং এ যুবলীগ এর ভূমিকা ঐতিহাসিক।

বিশ্বশান্তির মডেল এমন একটি সময়ে জাতিসংঘে গৃহিত হয়েছে, যে সময় বিশ্বব্যাপী হত্যা, ধর্ষন, লুণ্ঠন, রক্তারক্তি, হানাহানি, বোমাবাজি, উদ্ভাস্তুর ভিড় লেগেই আছে। পুরো আফ্রিকা জুড়ে যে চরম হিংস্রতা তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। দুই কোরিয়ার স্নায়ু যুদ্ধ চলছে অবিরাম। পাকিস্তান জুড়ে প্রতিদিনই বোমা হামলা কেউ না কেউ হতাহত হচ্ছেই। আফগানতো এক উত্তপ্ত উনুন।

ইরাকের ধ্বংসাবশেষই প্রমান করে এখানে একদা ছিল বিশাল অট্টালিকা। লিবিয়া মিশর হানাহানি করতে করতে আজ যেন ক্লান্ত শ্রান্ত। ফিলিস্তিনি অভাগাদের নিয়ে আর কিইবা বলবো এ যেন মানব সভ্যতার ইতিহাসে কষ্টের এক বহতা নদী। ৬০বছরের যুদ্ধবিদ্ধস্ত ভূস্বর্গ কাশ্মীর আজ যেন বড্ড ফেকাশে আর যুবুথুবু। বাকী ছিল মিয়ানমান, তাতেও চলছে রক্তের হলি খেলা।

বিশ্ব মড়ল মার্কিনী আর তাদেরই গুরুজী ইসরায়েল এর নতুন নতুন দাবার চালে পুরো বিশ্ব আজ হাঁফিয়ে উঠেছে। সবাই যখন খুজে বেড়াচ্ছে এক চিলতে মুচকি হাঁসি, সামান্য স্বস্তির নি:শাস আর দুস্বপ্ন মুক্ত একটু ঘুম এমনই এক সময় বিশ্বশান্তির মডেল জাতিসংঘে গৃহিত হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্ব নেতারা এখন নিজ দেশে শান্তির জন্য এই মডেলকে একটি গাইড লাইন হিসেবে বেছে নিবে। বিশ্ববাসী নিশ্চয় দেখবে যিনি শান্তির মডেল উপস্থাপন করেছেন তার দেশ তথা বাংলাদেশের কি অবস্থা। হয়ত কেউ কেউ বাংলাদেশ সম্পর্কে ইন্টারনেটে কিংবা পত্রপত্রিকায় খোঁজ খবর নিবে।

কেউ হয়ত সরাসরি বাংলাদেশেই চলে আসবে দেখার জন্য বাংলাদেশকে তিনি তার শাসন আমলে কিভাবে পরিচালনা করেছেন। শান্তির খোঁজে মানুষগুলো বিগত ৪বছরের পত্রিকার পাতা হাতড়িয়ে যা পাবে তার কিছু শিরোনাম: জাতীয় ও রাজনীতি: ঘরে ঘরে চাকুরি, দশ টাকায় চাল, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন আর দিন বদলের অঙ্গীকারে বিপুল সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় মহাজোট সরকার। অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে অনুগতদের নিয়ে মন্ত্রী পরিষদ গঠন। বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পীকার দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি। প্রথম বারের মত প্রথম অধিবেশনে যোগদিল বিরোধী দল।

দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে পিলখানায় অর্ধশতাধিক দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার খুন, ধ্বংস বিডিআর তছনছ সেনাবাহিনী। পুরান ঢাকায় বিয়ে বাড়ীতে আগুনে পুড়ে বহু প্রানহানি, প্রায় ৫০জনকে নিয়ে তুরাগ নদীতে পড়লো বৈশাখী বাস, উদ্দার মাত্র কয়েকজন। সীমান্তে ঝুলে আছে ফেলানীর লাশ, দেশব্যাপী ক্ষোভ, টিপাইমুখে বাঁধ নির্মান করার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে জাতি। সকল দলের সমর্থনের ভিত্তিতে গৃহিত নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি হটাৎ বাতিল করল আওয়ামীলীগ, এই দাবীর জন্য আওয়ামীলীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল, আদালতের এমিকাস কিউরি ৯জনের কেউই তত্ত্বাবধায়ক এর বিলুপ্তি চায় নি, আরও দুবার তত্ত্বাবধায়কের অধিনে নির্বাচনের অভিমত ছিল বিচারপতির, খায়রুল হক প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ১০লক্ষ টাকা গ্রহন করায় বিতর্ক। ৩৯ বছরের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ী থেকে খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ, কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন খালেদা, বিএনপির মহাসমাবেশ ঠেকানোর জন্য ৩দিন ধরে প্রথমবারের মত সরকারী হরতাল দেখেছে জাতি, বাস, লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ, থাকার হোটেল, খাওয়ার হোটেল সব বন্ধ, সমাবেশের দিনও লাঠি চাপাতি হকিষ্টিক নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় বাধা।

কাদের সিদ্দিকীকে রাজাকার বলায় তীব্র ক্ষোভ মুক্তিযোদ্ধাদের। স্বরাষ্টমন্ত্রী সাহারার নিকট আত্মীয়ের হোটেল থেকে ১৯জন পতিতা গ্রেফতার। সচিবালয়ে ককটেল বিষ্ফোরনের অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব সহ ৩৫জনের বিরুদ্ধে মামলা, নেতৃবৃন্দকে আইনি সহায়তা নিতে বাধা। গ্রেফতার মির্জা ফখরুলসহ নেতৃবৃন্দ, সরকারের হীনমন্যতার পরিচয়। স্পীকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ বিচারপতি মানিকের, সংসদে হইচই মানিকের অপসারন চাইলেন আওয়ামীলীগ নেতারা।

বিচারপতি মানিকের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে স্পীকারের দাবী, বিচারপতি মানিকের অপসারনের দাবীতে রাষ্ট্রপতির নিকট ৪০টি অভিযোগ দায়ের করেছেন মাহমুদুর রহমান, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত মর্মে পত্র। ড. ইউনুসকে গ্রামীন ব্যাংক থেকে অপসারন। চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হবার আশংকায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি নিজ বেড রুমে খুন, ৪৮ ঘন্টায় খুনি গ্রেফতারের আশ্বাস দিলেও বছর গড়িয়ে যাচ্ছে। সৌদি কুটনৈতিক খালাফ খুন, কোন আসামীই ধরা পড়েনি। মিয়ানমারের সাথে বঙ্গপসাগর সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি, নিকট সমুদ্রের তৈল গ্যাস সামুদ্রিক সম্পদ এলাকা হারিয়ে দুর সমুদ্রের বিশাল পানি এলাকা অর্জন।

বার্মা থেকে আগত মুসলিম শরনার্থীদের মাঝ সমুদ্রে ফেরত পাঠাচ্ছে বিজিবি ও কোষ্টগার্ড, মানবিক আবেদন উপেক্ষিত। দুর্নীতির ৭০লক্ষ টাকা নিয়ে সুরঞ্জিত এর এপিএস ওমর ফারুক ধৃত, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুরঞ্জিতের পদত্যাগ, দপ্তর বিহীন মন্ত্রী হিসেবে পুন:রায় নিয়োগ ফেলেন কালো বিড়াল খ্যাত সুরঞ্জিত সেন। রামু বৌদ্ধ বিহারে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, মিছিলের নেতেৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতারা, তদন্তের আগেই স্বরাষ্টমন্ত্রী বললেন এটা বিরোধী দলের কাজ, তাজরীন গার্মেন্টসে ইন্সুরেন্স এর টাকার জন্য লাগানো আগুনে ১২৪জন পুড়ে ছাই, আওয়ামীলীগ নেতা হওয়ায় গ্রেফতার হয়নি মালিক, স্বরাষ্টমন্ত্রী বললেন নাশকতা। চট্টগ্রামে নবনির্মিত ফ্লাইওবার ভেঙ্গে ১৪জনের প্রানহানি, দেশ জুড়ে শোক। শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ জেল থেকে মুক্ত, দেশব্যাপী তোলপাড়, স্বরাষ্টমন্ত্রী বললেন আইন মেনে ছাড়া হয়েছে, ৫কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশী নির্যাতন: পিরোজপুরে তিন জন বোরকা পরা ছাত্রীকে অযথা গ্রেফতার করে জেলে প্রেরন, জি¹াসাবাদের নামে ব্যাপক হয়রানি, জনমতে ক্ষোভ। ঘুম থেকে জাগিয়ে মাত্র দুহাত দুর থেকে পুলিশের গুলিতে নিহত শিবির নেতা শাহীন। সংসদ এলাকায় বিরোধী দলীয় চিফ হুইপের উপর পুলিশের নির্মম নির্যাতন, কিল ঘুষি লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত জখম, হামলাকারী পুলিশ অফিসার হারুন ও বিপ্লব এর কিছুই হয়নি বরং পদোন্নতি পেয়েছে (সেই হারুন বিশ্বজিত হত্যার সময় ১০হাত দুরে ফোর্স নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, রক্ষাও করেননি, হাসপাতালেও পাঠায়নি)। মতিঝিলে পুলিশের বুটের নিচে পিষ্ঠ যুবক, মানবাধিকার কর্মীদের ক্ষোভ। গলা টিপে এক পিকেটারকে হত্যা চেষ্টা পুলিশের।

ঢাবি ছাত্র আব্দুল কাদেরকে কুপিয়ে জখম করেছে থানার ওসি, হাইকোর্টে তলব। জয়পুরহাটে পুলিশের গুলিতে আহত শিবির নেতা বদিউজ্জামান আর নেই। রাবির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হত্যার আসামী এবং ছাত্রলীগ থেকে বহি®কৃত আহত তাকিমকে দেখতে হাসপাতালে স্বরাষ্টমন্ত্রী মখা আলমগীর। দিনাজপুরে পিকেটিং কালে পুলিশের গুলিতে নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোর মুজাহিদ। ছাত্রীসংস্থার ২০নারীকে ৫৪ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ২দিনের রিমান্ড, চরম নির্যাতন, অন্তসত্তানারীসহ সবাইকে মামলা ছাড়াই জেলে প্রেরন, দেশব্যাপী চরম ক্ষোভ।

যুদ্ধাপরাধ মামলা: যুদ্ধাপরাধ মামলার ভয় দেখিয়ে প্রসিকিউটর মালুম কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে, যার অন্তত দশটি ঘটনার হাতে নাতে প্রমান আমার কাছে আছে- বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। রাজনৈতিক কারনে ব্যবহৃত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ মামলা, নিজ দলের লোকদের বাদ দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে নিরপরাধ নেতাদের আটকের ফন্দি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় মাওলানা নিজামী, সাঈদী, মুজাহিদ গ্রেফতার। পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার। যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামাত নেতা কামারুজ্জামান, মীরকাসেম আলী, আযহার গ্রেফতার, ৭১সালে তারা ছিল কলেজ লেবেলের ছাত্র।

সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শুরু, বাদী ,সাক্ষীদের বেশিরভাগই টিন চোর, কলাচোর, মুরগী চোর, মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। নজিরবিহীনভাবে ১৫জনের নামে লেখা পুলিশের প্রতিবেদনকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহন। এডভোকেটকে নিষিদ্ধ করন, সরকার পক্ষের সাক্ষী গনেশ সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য, অপর সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এলে আদালতের গেট থেকে অপহরন হলেও ট্রাইবুনাল কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ট্রাইবুনাল চেয়ারম্যান নিজামুল হক বিদেশে অবস্থানরত আহমদ জিয়া উদ্দিনের সাথে অনৈতিকভাবে স্কাইপিতে যোগাযোগ করার বিষয়ে কোনও সংবাদ না প্রকাশের উপর লন্ডন ভিত্তিক দি ইকোনোমিষ্ট এর প্রতি ট্রাইবুনালের রুল জারি। স্কাইপি সংলাপের হুবহু প্রকাশ, (সাঈদীর মামলায় কোন লিগ্যাল গ্রাইন্ড নেই, এটা একটা গ্রাম্য শালিশের মত, তার রায় আগে দিলে অন্যগুলাতে ইফেক্ট হবে, কামরুল দেখা করে বলেছে দ্রুত রায় দেওয়ার জন্য, সরকার গেছে পাগল হইয়া তারা একটা রায় চায়, চার্জ এবং রায় লিখে পাঠানো হলো বিদেশ থেকে, সিনহা বাবু বলেছেন ৩টা রায় দিলেই আপনাকে আপীল বিভাগে নিয়ে আসবো, মালুম পরে দেখা করছে বললো আমি দাড়ায়া যামু আপনি বসায়া দিবেন লোকেরা মনে করবে আমাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক নাই)।

বিশ্বব্যাপী তোলপাড়, দায় স্বীকার করে ট্রাইবুনাল চেয়ারম্যানের পদত্যাগ। চেয়ারম্যান পদত্যাগ করলে পুরো ট্রাইবুনাল আপনাআপনিতেই ভেঙ্গে যায়- কাদের সিদ্দিকী, ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচার পুন: শুরু করতে হবে- ব্যারিষ্টার রফিকুল হক, ড. আকবর আলী খান, ড. আসিফ নজরুল, ড. পিয়াস করিম, ব্যারিষ্টার মওদুদ, রফিকুল, মাহবুব হোসেন, জয়নুল। যুদ্ধাপরাধ বিচারের নামে মানবাধিকার লংগন করা হচেছ-আ স ম রব। কোন ষড়যন্ত্র ফাঁস করা অপরাধ নয়- ড. শাহদীন মালিক। গুম খুন: বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী গুম, উদ্ধার না করে তার অতীত নিয়ে উপহাস।

জনপ্রিয় কমিশনার চেীধুরী আলমকে ধরে নিয়ে গেছে নিখোঁজ। গুম হওয়ার পর খুন হন শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম। ইবি ছাত্র মোকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্যাহকে গাড়ী থেকে নিয়েগেছে র‌্যাব, আজও হদিস মেলেনি। সিলেটের ছাত্রদল নেতা দিনারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা দীর্ঘদিন। নাটোর উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ নুরকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা।

নরসিংদীর জনপ্রিয় মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা লোকমান হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত। স্বরাষ্টমন্ত্রীর উসকানীতে বিরোধী দলের অবরোধের দিন ছাত্রলীগ কর্মীদের চাপাতির কোপে নিহত হয় বিশ্বজিত নামে এক কর্মজীবি যুবক, খুনিদের ছবিসহ পরিচয় পত্রিকায় আসার পরও পুলিশ মামলা করেছে অজ্ঞাতদের নামে। এছাড়া মহাখালীতে চিকিৎসক নিতাই খুন, ধানমন্ডিতে আইনজীবি খুন, গুলশানে ব্যবসায়ী খুন, হাতিরপুলে তরনীর আট টুকরো লাশ, দক্ষিনখানে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ও স্ত্রী মাহমুদা খাতুন খুন, পীরেরবাগে স্ত্রী সন্তানের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী জিয়া হায়দার খুন। ক্যাম্পাস: ঢাকা মেডিকেলে ছাত্রলীগের হামলায় ডা: রাজিব নিহত। ঢাবিতে মহসিন হলে ১৮ঘন্টা বন্দুক যুদ্ধ।

ছাত্রলীগের হামলায় মেধাবী ছাত্র আবুবকর খুন, স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেছেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা। জাবিতে ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া, ছাদ থেকে প্রতিপক্ষের ১২জনকে ফেলে আহত, ছাত্রলীগের রামদার আঘাতে মেধাবী ছাত্র জোবায়ের খুন। রাবিতে ছাত্রলীগের চাপাতির কোপে শিবির নেতা নোমানী নিহত, সন্ত্রাসী হামলায় মেধাবী ছাত্র ফারুক খুন, অন্যগ্র“পের সন্ত্রাসীরা ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতা নাসিম কে, রাবি রণক্ষেত্র প্রকাশ্যে বন্দুক উঁচিয়ে গুলি বর্ষন, শিক্ষামন্ত্রী ভিসিকে বললেন গরিবের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গুন্ডা পান্ডা সন্ত্রাসী তৈরির জন্য নয়, যে দলেরই হোক গ্রেফতার করুন। পদ্ধাসেতুর চাঁদাবাজির টাকা নিয়ে ছাত্রলীগের হাতে সোহেল খুন। চবিতে শাটল ট্রেন থেকে নামিয়ে খুন করা হয় শিবির নেতা মহিউদ্দিন ও কায়সারকে, নির্যাতনে বাধা দেওয়ায় ভিসি লাঞ্চিত, ছাত্রলীগের ধারালো চাপাতির কোপে খুন মাসউদ এবং মুজাহিদ।

এমসি কলেজের ঐতিহ্যবাহী হোস্টেল আগুনে পুড়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ, কাঁদলেন শিক্ষামন্ত্রী। কবি নজরুল কলেজে ছাত্রলীগের আগুনে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি। দুর্নীতি: শেয়ার বাজার থেকে ৯৫হাজার কোটি টাকা ডাকাতি, ৩৩লক্ষ বিনিয়োগকারী পথের ফকির, ফারুক লোটাস এফরহমানের দিকে তদন্ত কমিটির ইঙ্গিত। কুইক রেন্ট্রাল এর নামে বিদ্যুৎ খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি, মামলা ঠেকাতে সাংবিধানিক সুরক্ষা। দুর্নীতির কারনে পদ্ধাসেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, মন্ত্রীর পদত্যাগ, শেখ হাসিনা বললেন আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক।

সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্ক গ্র“পের আটাশ হাজার কোটি টাকার ঋন জালিয়াতি, উপদেষ্টা মোদাচ্ছেরের দিকে অঙ্গলি, অর্থমন্ত্রী বললেন এই টাকা কিছুই না। হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার ডেসটিনি গ্র“পের চেয়ারম্যান সাবেক সেনা প্রধান ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সদস্য সচিব লে. জে. হারুন ও এমডি রফিকুল আমিন। ইউনিপেটুইউর চল্লিশ হাজার কোটি টাকার হদিস নেই। বিবিধ বচন: শেখহাসিনা: বেডরুম পাহারা দেওয়া সম্ভব নয় (সাগর-রুনি হত্যার পর)। আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক।

আগে জানতাম মধ্যরাতে সিঁদ কাটে এখন দেখি গলা কাটে (টকশোকে নিয়ে মন্তব্য)। সর্প হইয়া দংশন করো ওজা হইয়া ঝাড়ো, এই খেলা বন্ধ করুন (খালেদাকে)। বিশ্বজিত হত্যা, বিশ্বব্যাংকের চাপ, তাজরীনের আগুন, চট্টগ্রামের ফ্লাইওবার দস সবকিছুই একই সুত্রে গাঁথা এবং এসবই হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য। দিল্লি গিয়ে তিনি তেল মেরে এসেছেন (খালেদা জিয়াকে)। তার কারনে পদ্ধা সেতু অর্থায়ন বন্ধ করেছে বিশ্বব্যাংক (ড. ইউনুসকে)।

মুই কার খালুরে (ব্যারিষ্টার রফিক কে)। খালেদা জিয়া: সাপকে বিশ্বাস করা যায় আওয়ামীলীগকে নয়। সাজেদা চৌ: শেখ হাসিনার বেয়াই রাজাকার ছিলেন কিন্তু যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না, দুই একটাকে ঝুলিয়ে দিলেই তাদের কপচানি বন্ধ হবে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম: আমি হিন্দুও নই মুসলিমও নই, সীমান্ত হত্যা অতীতেও হয়েছে ভবিষ্যতেও হবে, সড়ক দূর্ঘটনাতো দূর্ঘটনাই এটা নিয়ে এতো মাতামাতি ঠিকনা, তিনি কোন যুদ্ধে শান্তি এনে শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছেন। আবুল মাল: শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরা ফটকাবাজ, এটা একটা দুষ্টবাজার।

চার হাজার কোটি টাকা তেমন কিছুই না। এই মুহুর্তে আমি মনেহয় সবছে ঘৃনিত ব্যক্তি । অনেকবার মন্ত্রীত্ব থেকে পালিয়ে বেড়াতে চাইলাম হয়নি, আগামীতে মন্ত্রী হবো না। দেশের একমাত্র সমস্যা ড. ইউনুস। এবিএম মুসা: আওয়ামীলীগদের দেখলেই বলতে হবে তুই চোর তুই চোর।

রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু: আগামী প্রজন্মকে আধুনিক ভাবে গড়ে তুলতে বোরকা বন্ধ করে নাচ শিখাতে হবে। ডেপুটি স্পীকার: কুৎসিত চেহারা ঢাকতেই মহিলারা বোরকা পরে, শাজাহান খান: গরু ছাগল চিনলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া যায়, হারামজাদা তোর চোখ তুলে ফেলবো (লাইভ টিভি টকশোতে ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলামকে)। স্বাধীনতা বিরোধীরা জুতা মারলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অপমানের কিছুই নেই (বায়তুল মোকাররমে এক অনুষ্ঠানে জুতা মারার পর)। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম: আমি রাজাকার হলে বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজাকারের কমান্ডার, বঙ্গবন্ধুর খুনের ষড়যন্ত্রকারী ইনুকে মন্ত্রী বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে, এই ইনু ৭নভেম্বর ট্যাংকের উপর উঠে নেচেছিল, মখা আলমগীর ১৬ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্থান সরকারের অনুগত কর্মকর্তা ছিল। গাছের গোড়া কাটলে পুরো গাছ যেমন পড়ে যায়, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করার পর পুরো ট্রাইবুনাল আপনা আপনি ভেঙ্গে যায়।

মাহবুবুল আলম হানিফ: জাসদের কারনে বঙ্গবন্ধু খুন হয় (এসব বক্তব্য এখন দেওয়া ঠিক না-ইনু)। প্রয়োজনে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হবে (হানিফকে পিটিয়ে কুষ্টিয়া পাঠানো হবে- খোকা)। ম খা আলমগীর: হরতাল অবরোধে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ যুবলীগ মাঠে থাকবে (মখা একটা থার্ড ক্লাস মাস্তান- খোকা)। বিচারপতি নিজামুল হক: সরকার গেছে পাগল হইয়া, তারা একটা রায় চায়, সাঈদীর মামলাতো কোন গ্রাউন্ড নাই এইটা গ্রাম্য শালিশের মত, তবুও তারা তার রায় আগে চায়। মাহফুজুর রহমান: সাগর রুনি পরকিয়ার বলি।

প্রধানমন্ত্রী একটা বাচাল। তৌফিক এলাহী: কুইকরেন্টাল নিয়ে যারা কথা বলে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী। সুরঞ্জিত: অনেককেই তীর মেরেছি, এবার তীর আমার দিকে এতে যে কি ব্যাথা তা এবার বুঝতে পারছি। এটর্নিজেনারেল: ইউনুস নয় শান্তিতে নোবেল পাওয়া উচিৎ শেখহাসিনার। স্পীকার আব্দুল হামিদ: সারা জীবন উইন করছি শেষ বয়সে এসে হারতে চাইনা, ভাবছি রাজনীতি থেকে রিটায়ার্ড করবো।

যা দুর্নীতি হয় তাতে প্রতি বছরে একটা করে পদ্ধা সেতু করা সম্ভব। এই হলো শেখ হাসিনার উপস্থাপিত বিশ্বশান্তির মডেল এর বাস্তবরূপ এট বাংলাদেশ। জানিনা এই বাস্তব শান্তির নমুনা দেখে বিশ্ববাসী শান্তির মডেল কতটুকু গ্রহন করবেন, সেটা নির্ভর করবে সম্পূন্ন বিশ্বনেতাদের উপর। হয়ত এই মডেল বিশ্বব্যাপী শান্তি স্থাপনে রাখবে ঐতিহাসিক ভূমিকা, যার জন্য শেখহাসিনা পেতে পারেন শান্তিতে নোবেল। লেখক: মানবাধিকার কর্মী।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।