আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নামায

যেভাবে নামায পড়তে হয় ১. সবাই যার যার শরীকে সুন্দর অবস্থায় রাখার চেষ্টা করে। নামাযের দেহটিকেও মুনীবের নিকট সুন্দর অবস্থায় পেশ করার জযবা থাকা উচিত । নামাযের দেহের সৌন্দর্য হলোঃ ক. নামাযে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো যেখানে যেভাবে রাখা উচিত সেভাবে রাখা। খ. নামাযে যা পড়া হয় তা শুদ্ধউচ্চারণে পড়া । নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় হাতবেঁধে স্হির হয়ে দাঁড়াতে হয়।

সিজদা দেবার জায়গায় দৃষ্টি রাখতে হয়। তাহলে মাথা সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে থাকবে। রুকুর অবস্থায়হাঁটুতে হাতের তালু রেখে হাত দিয়ে হাঁটুকে মযবুতভাবেধরতে হয়। এতে শরীরের ভারটা হাতের উপর পড়ে এবং কুনই ও হাঁটু সোজা থাকে। দৃষ্টি পায়ের পাতার উপর রাখতে হয় ।

এতে কোমর পিঠ ও মাথা এক রেখাবরাবর সমান থাকে এবং মাটির সমান্তরালে থাকে । মাথা পিঠ থেকে নিচু হয় না এবং পিঠ বাঁকা অবস্থায় থাকে না। রুকু থেকে উঠে সিজদায় যাবার আগে স্থির হয়ে দাঁড়াতে হয় এবং দুহাত দুপাশে সোজা হয়ে থাকে। স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে না থেকে সিজদায় চলে গেলে নামায হবে না। এভাবে থামা ওয়াজিব।

সিজদায় যাবার সময় ধীরে ধীরে প্রথমে হাঁটু মাটিতে লাগাতেহয়, এরপর লম্বা হয়ে হাতের তালু মাটিতে রাখতে হয় প্রথমে নাক ও পরে কপাল মাটিতে রেখে স্থির হতে হয়। এসময় দৃষ্টি নাকের দিকে থাকে। এতটা লম্বা হয়ে সিজদা করতে হয় যাতে ঊরু খাড়া (সামনে বা ছেনে ঝুঁকে না থাকে ) আর যেন ঊরু থেকে কনুই এতটা দূরে থাকে যে এর ফাঁক দিয়ে ছাগলের বাচ্চা পার হবার মতো জায়গা থাকে। হাত পাঁজরের সাথে লেগে থাকবে না,একটু ফাঁক থাকবে। তালু থেকে কনুই পর্যন্ত হাতটি মাটি থেকে উঁচু থাকবে ( কুকুরের বসার মতো কনুই মাটিতে লেগে থাকবে না) সিজদার সময় দুপায়ের পাতা খাড়া থাকবে এবং পায়ের আঙুলগুলো ভাঁক করে কিবলামুখী করে রাখতে হবে।

সিজদার সময় দুহাতের আঙ্গুল ফাঁক ফাঁক হয়ে থাকবে না, কিবলামুখী রাখার জন্য মিলিয়ে রাখতে হবে। সিজদা থেকে উঠে দাঁড়বার সময় প্রথমে কপাল, পর নাক, এরপর হাত শেষে হাঁটু উঠাতে হবে। দুসিজদার মাঝখানে স্থির হয়েবসে থামতে হয়। না থেমে আবার সিজদায় চলে গেলে নামায হবে না। এভাবে থামা ওয়াজিব ।

বসাঅবস্থায় দৃষ্টি কোলের দিকে থাকবে । হাত হাঁটুর উপর এমনভাবে থাকবে যেন আঙুলের মাথা কিবলামুখী হয়ে থাকে এবং আঙুল হাঁটুর নীচে ঝুকে না পড়ে। বসার সময় বাম পায়ের পাতা মাটিতে বিছিয়ে এর উপর বসতে হয় এবং ডান পায়ের আঙুলগুলোর উপর পায়ের পাতা খাড়া করে রাখতে হয়। দুরাকাআত নামাযের পর তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু ) পড়ার সময়ও এভাবেই বসতে হয়। ডান পায়ের আঙুলগুলো খাড়া রেখে বসার উদ্দেশ্য বুঝতে হবে।

জামায়াতে নামাযের সময় কাতার সোজা রাখার উপর রাসূল (স) অন্তত গুরুত্ব দিয়েছেন। নামাযে দাঁড়াবার সময় পায়ের গোড়ালির দিকে দিয়ে অন্যদের সমান হয়ে দাঁড়াতে হয়। পায়ের আঙুলের দিক দিয়ে সমান হয়ে দাঁড়ালে কাতার সোজা হবে না। কারণ পায়ের পাতা সবার সমান নয়। কারো পাতা লম্বা, কারো বেশ খাট।

কিন্তু গোড়ালি বরাবর দাঁড়ালে কাঁধের দিক দিয়েও বরাবর হয়। কাতার সোজা রাখার প্রয়োজনেইনামাযে বসার সময় ডান পা স্থির রাখা দরকার । একপা যদিএক জায়গায় স্থির থাকে তাহলে আবার দাঁড়াবার সময় কেউ সামনে বা কেউ পেছনে চলে যাবেনা। এক পা যদি এক জায়গায় স্থির না থাকে তাহলে পা সরে যাবার কারণে কাতার সোজা থাকবে না ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.