আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালেদা জিয়ার স্মৃতি সৌধে যাওয়া আর না যাওয়া প্রসঙ্গে

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি জামায়াত স্মৃতি সৌধে যায়না - অথবা যেতে পারেনা - কারন এরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি এবং পরাজিত পক্ষ। সবচেয়ে বড় কথা হলো এরা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের সহযোগী হিসাবে গনহত্যা আর ধর্ষনের মতো অপরাধ করেও লজ্জিত বা ক্ষমাপ্রার্থনা করার কথা ভাবে না। অন্যদিকে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া জামায়াতকে মিত্র হিসাবে বিবেচনা করেন - উনি প্রকাশ্যে ঘোষনা দিয়েছেন যে উনি জানেন জামায়াতের নেতা নিজামী মুজাহিদ কামরুজ্জামান এবং নিজ দলের নেতা সাকাচৌধুরী বা আলিম মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন না। অর্থাৎ খালেদার দৃষ্টিতে ওরা যা করে ঠিক কাজটিই করেছিলো। এই বিবেচনায় খালেদা জিয়ার স্মৃতি সৌধে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই সৎ সিদ্ধান্ত হবে।

এক সাথে দুই নৌকায় যেমন পা রাখা ঠিক না - তেমনি রাজাকারদের মিত্র হিসাবে তোষন করে স্মৃতি সৌধে গিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের সাথে হিপক্রেসী করাটা ঠিক না। সঠিক কাজ হলো জিয়ার কবরে গিয়ে দোয়া মাহফিল করা - কারন উনি নিজেই বগলে রাজাকার নিয়ে ক্ষমতায় ছিলেন - যদিও নিজে একজন মুক্তিযুদ্ধাই ছিলেন। কথাগুলো বলার কারন - তেল আর পানি যেমন মিশে না - মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার এক সাথে মিশবে না। সাময়িকভাবে হয়তো এরা একটা রাজনৈতিক ক্যাম্পে থাকবে - কিন্তু একসময় আলাদা হবেই। কিন্তু বিএনপির এই রাজাকারতোষন নীতির কারনে সমর্থকদের জন্যে একটা কঠিন অবস্থা তৈরী হয় - এরা মাঝামাঝি একটা বিকৃত চিন্তার অনুসরন করে - অনেকটা সুকান্তের হাঁসজারু বা হাতিমির মতো কোন অদ্ভুদ প্রানীর মতো কিছু একটা।

একদিকে রাজাকার বসে আছে মঞ্চে - অন্যদিকে শ্লোগান হচ্ছে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া সালাম নেও ইত্যাদি। এই ধরনের দ্বিচারীনীতির কারনে নতুন প্রজন্ম একটা ভুল ম্যাসেজ পাচ্ছে। একদিকে মুক্তিযুদ্ধাদের মহান বলছে - তাদের শহীদ হওয়াকে মহান ত্যাগ বলছে আবার সেই মুক্তিযুদ্ধার খুনীকেও সালাম দিচ্ছে দলের কারনে। বিএনপির সামনে দুইটা পথ খোলা আছে - হয় রাজাকারদের কোল থেকে নামানো - নয়তো স্মৃতিসৌধে যাওয়ার ভন্ডামী বন্ধ করা। একটা পথ অনুসরন এদের দ্বিচারিতা নীতি থেকে মুক্ত করবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.