আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালেদা জিয়ার জন্য করুণা হয়। খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত সরাসরি ডাকে সাড়া দেয়নি মঞ্জুরুল আলম।

i love somewhere blog.

কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যায় মানুষের খুবই আড়ালে যা জনসম্মূখে তেমন একটি প্রকাশ পায়না আবার প্রকাশ পেলেও তার গুরুত্ব ঢাকা পড়ে যায় অন্যখবরের অন্তরালে। গত ২৯ শে ডিসেম্বর ২০১৩, এমন একটি মজার ঘটনা ঘটে যায় আমাদের রাজনৈতিক মাঠে, গত ২৯ শে ডিসেম্বর বি,এন,পি নেত্রী ডেড লাইন ঘোষণা করেন, প্রথমে ভেবেছিলাম এটাই বুঝি চুড়ান্ত ফাইট আর চুড়ান্ত আল্টিমেটাম, না বাস্তবে কিছুই হলনা, কথায় আছে যত গর্জে তত বর্ষেনা, তারাই একটি বাস্তব দৃশ্য নিজের চোখে উপভোগ করলাম।

এবার দেখাযাক মজার ঘটনাটি কি ছিল।
বর্তমানে বিরুধী দল বি,এন,পি নেতা নেত্রীর মাঝে সর্বোচ্চ সম্মানিত উচ্চ পদে অধিষ্টিত আছেন (খালেদা জিয়া বাদে) চট্টগ্রামের বর্তমান মেয়র মঞ্জুরুল আলম, তিনি খালেদা জিয়ার করুণায় বাংলাদেশের দ্ধিতীয় সর্বোচ্চ বড় শহরের মেয়র হবার গৌরভ আর্জন করেন,ক্ষমতা আর সম্মানের দিক বিবেচনায় অতিগুরুত্বপূর্ণ আর সম্মানিত পদ হল এই চট্টগ্রামের মেয়দ পদটি, তিনি একজন পূর্ণ মন্ত্রীর সম্মান আর মর্যাদা ভোগ করেন নিয়ম আর আইন আনুসারে,
মজার ব্যাপার হলো এই মঞ্জুরুল আলম চট্টগ্রামের মেয়র পদে বি,এন,পির মনোনয়ন পাবার মাত্র কয়েক সেকেন্ড পূর্বমুর্হুতেও ছিল একজন আওয়ামীলীগের নেতা, সাবেক মেয়র মহিউদ্দীন সাথে ছিল ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব, মহিউদ্দীনের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী মেয়রের দায়ীত্ব পালন করতেন এই মঞ্জুরুর আলম, মহিউদ্দীন কোথায় গেলে দায়ীত্ব দিয়ে যেতেন তখনকার ওর্য়াড কমিশনার আর আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুরুল আলমকে। বাস্তবে মঞ্জরুল আলম একজন আওয়ামীলীগ, তার পরিবারের সকল সদস্য সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়ীত, ইতি মধ্যে মঞ্জুরুল আলমের আপন ভাইয়ের ছেলে আওয়ামীলীগ হতে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড হতে সংসদ সদস্য হয়েছেন।



যখন চট্টগ্রামের মেয়র নিবার্চন অনুষ্টিত হতে যাচ্ছিল তখন চট্টগ্রামের বি,এন,পির মাঝে ছিল চরম দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, এমন চরম কোন্দল মুর্হুতে বি,এন,পি নেত্রী বি,এন,পি দলীয় কাউকে মনোনয় না দিয়ে ঝগড়া আর কোন্দর এড়াতে বুদ্ধি করে দলের বাইরে হতে মনোনয়ন দেন আওয়ামীলীগ নেতা ও তখনকার ওর্য়াড কমিশনার মঞ্জুর আলমকে, ব্যাক্তি হিসাবে মঞ্জুল আলম একজন সৎ ও খুবই ভাল ,

বুদ্ধিমান মঞ্জুল আলম একহুর্মুত দেরী করেনি খালাদা জিয়ার টোপ গিলতে, কারণ বিনা পয়সা বিনা পরিশ্রমে রেডিমেড মেয়র হওয়া চারটিখানি কথা নয়।

মঞ্জুরুল আলমকে বি,এন,পি হতে মনোনয়ন দেওয়ায় একদিকে যেমন মিটে গিয়েছিল তখন বি,এন,পির অভ্যান্তরীণ কোন্দল অন্যদিকে মঞ্জুরুল আলম আওয়ামীলীগের নেতা হবার সুবাবে আওয়ামীলীগের কিছু ভোট টানে পেরেছে বি,এন,পি। বিষয়টা বি, এন,পি জন্য দারুণ বুদ্ধিমানের কাজ। খুব সহজে পরাজিত করতে পেরেছিল একাদিক বারের নির্বাচিত মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দীনকে।

মজার ব্যাপার ছিল, মঞ্জুল আলম ছিল তখন আওয়ামীলীগের ওর্য়াড পর্যায়ের একজন ক্ষুদ্র নেতা, একজন ক্ষুদ্র নেতার পেচনে দৌড়াতে দেখা গেছে একাদিক বারের মন্ত্রী মোর্শেদ খান, বি,এন,পি কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য ও একাদিক বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নোমান, আমির খচরু, সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী, বড় বড় নেতারা, ব্যপারটা তখন খুবই হাস্যকর আর উপভোগ্য ছিল।



হায় বি, এন,পি বুঝতে পারেনি । লোভ দেখিয়ে পরের ঘরের গোয়ালের গরুকে মজার মাজর ঘাস খাওয়ানো যাই , কিন্তু অন্যরের গোয়ালের গরু দিয়ে জামিতে হালা দেওয়া যায় না।

হি হি হি, মঞ্জুরুল আলম সুযোগ নিয়েছেন মেয়র পদের জন্য, কিন্তু বর্তমান চলমান আন্দোলনে বিন্দুমাত্র সাড়া দেয়নি মেয়র মঞ্জুরুল আলম। শুধু তায় নয়, ২৯ শে ডিসেম্বর খালেদা জিয়া সরাসরি মঞ্জুরুল আলমকে ফোন করেন কর্মীদের নিয়ে মাটে নামতে, কিন্তু খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত সরাসরি ডাকে সাড়া দেয়নি মঞ্জুরুল আলম। বি,এন,পি চলমান অন্দোলনে কোথাও একটি মিছিল, মিটিং, সভা, সেমিনারে যোগ দেয়নি চট্টগ্রামের বি,এন,পি হতে নির্বাচিত মেয়র।

এই নিয়ে বি,এন,পি কর্মীরা মারাত্বক ক্ষুব্দ মঞ্জুরুল আলমের উপর।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.