আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ভয়ঙ্কর চেহারার বিড়ালগুলোর একটি ইন্টারনেট

বল আমায় সেই সময়ের নেই কেন অস্তিত্ব, বোঝাও আমায় সেই কল্পনার নেই কোন সমাধান.....আমারি স্বপ্ন আজো জেগে রয় আধারো শুন্য চোখে ... সমকাল ডেস্ক : চলতি সপ্তাহে কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও বিচিত্র রকমের বিড়াল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সাধারণত যেসব পোষা বিড়াল দেখে আমরা অভ্যস্ত প্রদর্শনীতে তাদের কোনো স্থান ছিল না। আনা হয়েছিল ভয়ঙ্কর দর্শন সব বিড়ালকে। কাজাকিস্তান এবং কিরগিজস্তান থেকে শতাধিক বিড়াল সে প্রদর্শনীতে হাজির করা হয়েছিল। অপদেবতা বা দানবসদৃশ যেসব বিড়ালকে প্রদর্শনীতে দেখানো হয় তা ছিল সত্যি অভূতপূর্ব! বিড়াল দেখতে ভিড় করছিলেন বহু কৌতূহলী পশুপ্রেমী।

তাদের অশুভ চেহারা দেখে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। কেউবা হয়েছেন শিহরিত। তাদের অনেকের চেহারা ছিল ভিনগ্রহের জীবের মতো। যাদের সচরাচর আমরা হলিউডনির্মিত কল্পবিজ্ঞানভিত্তিক চলচ্চিত্রে দেখে অভ্যস্ত! প্রদর্শনীতে আনা প্রায় সব বিড়ালের চেহারা ছিল ভয়ঙ্কর রকমের কুৎসিত। তাদের কারও ছিল লোমহীন, লাল জিহ্বা, হাঁ করা মুখে বেরিয়ে থাকা চারটি বড় দাঁত, সবুজাভ ও কালো উজ্জ্বল চোখ, শিংয়ের মতো খাড়া ও তীক্ষষ্ট কান।

কুকুর বা সিংহের মতো থাবা। প্রদর্শনীতে আনা অধিকাংশ বিড়ালই রুশ প্রজাতির। বলা হয়ে থাকে রাশিয়ার শহর রোস্টভ-অন-ডন তাদের জন্মস্থান। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় শিক্ষণ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এলেনা কোভালেভা বলেন, তাদের চেহারা কিম্ভূতকিমাকার হলেও এরা চতুর, খুবই বিশ্বস্ত, সামাজিক, খেলতে ভালোবাসে এবং স্নেহের কাঙাল। তবে তাদের চেহারা কেন এমন ভয়ঙ্কর হলো তার কোনো ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা দিতে পারেননি।

শুধু তাই নয়, বিড়াল কবে থেকে পোষ্য হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে সঠিক ইতিহাসও বিজ্ঞানীরা বিবৃত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে জীববিজ্ঞানীদের ধারণা, বনের বিড়ালদের পোষ্য করার ইতিহাস আনুমানিক ১২ হাজার বছরের পুরনো। ১৯৮৩ সালে সাইপ্রাস দ্বীপে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ৮ হাজার বছরের পুরনো বিড়ালের চোয়ালের হাড় পেয়েছিলেন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সাইপ্রাসের অধিবাসীরা তাদের সঙ্গে নৌকায় করে বিড়াল নিয়ে আসেন দ্বীপে। বিজ্ঞানীরা জানান, সব পোষ্য বিড়ালই মধ্য-পূর্বাঞ্চলীয় বন্য বিড়ালের (ভবষরং ংুষাবংঃৎরং) প্রজাতির।

বিড়ালের বৈজ্ঞানিক লাতিন নামের অর্থ 'বনের বিড়াল'। গবেষকরা বলছেন, প্রাচ্যে প্রথম বিড়ালকে পোষ্য করা হয়। বলা হয়ে থাকে, বিড়ালের আগে মানুষরা যখন যাযাবর ও শিকারে অভ্যস্ত ছিল তখন কুকুর ছিল তাদের পোষ্য। যখন মানুষরা বসতি স্থাপন এবং কৃষি কাজ শুরু করেন তখন বিড়ালকে পোষ মানানো শুরু হয়। তখন থেকে তারা মানুষের সংসর্গ পেতে শুরু করে।

কেননা কৃষিপণ্য রক্ষা এবং ভাণ্ডারে ইঁদুরের উৎপাত বন্ধ করতে কৃষকের বাড়িতে বিড়াল পোষার রেওয়াজ শুরু হয়। আধুনিক সমাজে যুক্তরাষ্ট্রে পোষ্য বিড়াল খুব জনপ্রিয়। এরপর ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। প্রবচন আছে, 'বিড়াল কারও নয়' বা 'কুকুর মানুষের ভালো বন্ধু' কিন্তু 'বিড়াল শুধু বিড়ালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ' মিসরের বেনি হাসান শহরে প্রাচীন সমাধিক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।

মিসরের প্রাচীন দেবী 'বাস্তেত'-এর মাথা বিড়ালের, দেহ নারীর। সে সময় বিড়াল হত্যা করলে মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান ছিল। প্রাচীন রোমে বিড়াল হলো দাসত্ব, নিপীড়ন ও বন্দিদশা থেকে মুক্তির প্রতীক। দূরপ্রাচ্যে বিড়ালকে ইঁদুর থেকে রক্ষাকারী উপকারী প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু মধ্যযুগে ইউরোপে বিড়ালকে ডাইনি বা দূরাত্মার প্রতিনিধি মনে করা হতো।

সে সময় ব্যাপক হারে বিড়াল মেরে ফেলায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্লেগ বা মহামারীর প্রাদুর্ভাব হতো ইঁদুরের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে। বর্তমান বিশ্বে বিড়ালের আদর বহুগুণ বেড়ে গেছে। দ্য মেইল, স্মিথসোনিয়াম ওয়েব তথ্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.