আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বইয়ের মোড়ক উম্মোচন ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্বাগতম


প্রিয় বন্ধুরা (বিশেষ করে যারা আগামী ৩১ জানুয়ারি ঢাকাতে অবস্থান করছেন),
৩১ জানুয়ারি, শুক্রবার, বিকেল চারটায় আমাদের (অণু, এম এ মুহিত, অপু ) Gorgeous Little Globe শিরোনামে বিশ্বের ৩ অজানা দুর্গম অঞ্চলের (ল্যাতিন আমেরিকা, হিমালয়, ল্যাপল্যান্ডের ৬০টি ছবি)আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হবে ধানমণ্ডির দৃক গ্যালারীতে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন অভিযাত্রী, পাখিবিশারদ ইনাম আল হক।
সেই সাথে আমার প্রথম বই 'পৃথিবীর পথে পথে'র মোড়ক উম্মোচনও করা হবে।
এত আগে জানাচ্ছি যাতে আপনি অন্তত দুইটি ঘণ্টা ম্যানেজ করে রাখতে পারেন সেদিন।


আপনারা সবান্ধবে আমন্ত্রিত।
প্রদর্শনীটি ঢাকাতে ৫ দিন চলবে, এইখানে যাবতীয় তথ্য -

আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ক্যাটালগ--














বইয়ের লেখকের কথা অংশে আছে --
উথাল-পাথাল বঙ্গোপসাগরের মাঝে ছোট্ট এক মাছ ধরার জাহাজে বসে লিখছি, বসার বেঞ্চি-টেবিল সুযোগ পেলেই সমুদের মর্জি মত এদিক-ওদিক কাত হয়ে চেষ্টা করছে লেখার গতিকে যতদূর সম্ভব ব্যহত করতে, লিখতে বসে মনে হচ্ছে বিশ্বের সর্ব উত্তরের লোকবসতি লঙইয়েরবিয়েনের কথা যেখানে ফিয়র্ডের পারদপৃষ্ঠের চকচকে জলে গোধূলিসূর্যের খেলা দেখে নিজেকে মহা সৌভাগ্যবান মনে হয়েছিল, কিংবা আজ বাংলাদেশের জলসীমানায় একটি নতুন পাখি আবিস্কারের পর মনে হল- ইশ, এই অভিজ্ঞতার কথা যদি বাঙ্গালী তরুণ-তরুণীরা জানতে পারত! যে দুর্গম স্থান, নয়নাভিরাম নিসর্গ, বিপদসঙ্কুল অভিযানের কথা বইয়ের পাতায় আর সেলুলয়েডের রূপোলী ফিতেয় দেখেছিলাম, তা চর্মচক্ষে দেখে গাঢ় আনন্দে আপ্লুত হই, দুর্বল লেখনীতে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে ইচ্ছে করে জগতের যত রঙ। এই বাসনা থেকেই আজীবন কেবলই নিবিড় পাঠক থাকার প্রতিজ্ঞা ভেঙ্গে লেখালেখি শুরু-
ফিনল্যান্ডে সেই সময়ে প্রকাশিত মাসিক বাংলা পত্রিকা জননী বঙ্গভূমিতে নিয়মিত লেখার কারণেও ভ্রমণ নিয়ে লেখা উৎসাহ বাড়তে থাকে, বন্ধু সীমান্ত দিপু দেশ থেকে তাগাদা নিয়ে খবরের কাগজের ক্রোড়পত্রের জন্য লেখা আদায় করে নেন, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের ত্রৈমাসিক পত্রিকা বাংলার পাখির জন্যও চলতে থাকে পাখির কূজনময় গল্প, বাংলা মাউন্টেন অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের মুখপাত্র শিখর পেরিয়ের জন্য পর্বত ছোঁয়ার নেশার বর্ণনা – এই ভাবেই লেখার জগতটা ভ্রমণের মতই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যায়, সুখী হবার জন্যই লিখি এখন।
ধন্যবাদ সেই বন্ধুদের যারা আমার সামান্য লেখা পড়ে ভ্রমণের নতুন আগ্রহ খুঁজে পেয়েছেন , নিসর্গকে নতুন চোখে দেখেন বলে জানিয়েছেন, যারা সবসময়ই একটি ভ্রমণসংকলন করার জন্য অজস্র বার উৎসাহ দিয়েছেন। ধন্যবাদ ফেসবুকের বইপড়ুয়া পেইজের সকল সদস্যকে।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা বাংলা ব্লগ সচলায়তন পরিবারের সকল সদস্য, লেখক, পাঠকদের- আপনাদের উদ্দীপনা আমাকে নব নব লেখার প্রেরণা যোগায় সকল অবস্থাতে, সে মেক্সিকোর ধোঁয়া উদ্গিরণরত আগ্নেয়গিরির বাস দিয়ে চলমান বাসে অবস্থানকালীন সময়ে হোক বা এখন তিমির খোঁজে উত্তাল সাগরের মাঝে ভাসতে থাকা এক জলযানে।
পৃথিবীর পথে পথে আমাদের নানা ধরনের ভ্রমণ অব্যাহত থাকুক।
Special thanks to Sara Eskelinen, the most wonderful travel mate I ever had, and without whose help and inspirtation this book would never be completed, with whom I went from the Green Lush Hills of Vinales to the Deep Blue Caribbean Sea. We share the wonderful memories of all the great Art Museums, great landscapes, all the Metropolises, from Silence of Finnish Summer Cottage to crowded chaotic Bangladesh.
I am grateful to Teemu Keskinen who first inspired me to write down my stories and to my Mexican brother Isaias Serna, who arranged the mervellous Latin America trip.
তারেক অণু
১ জানুয়ারি, ২০১৪
সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড, বঙ্গোপসাগর

বই সম্পর্কিত কিছু তথ্য-
পৃথিবীর পথে পথে- তারেক অণু
প্রকাশক- ছায়াবীথি
প্রচ্ছদ - স্যাম
৪৫টি ভ্রমণকাহিনীতে আছে ৫ মহাদেশ + উত্তর মেরুর গল্প
৩৩৫ পৃষ্ঠা (২১ ফর্মা), ২২২টি আলোকচিত্র, ৪ ফর্মা রঙিন ছাপা
মূল্য- ৩৫০ টাকা (উপরে যতই লেখা থাক !!)
সচলায়তনের প্রতি আমরা ঋণ শেষ হবার নয়। আজ রাতেই জলচর পাখিশুমারির জন্য রওনা হচ্ছি জলযানে, তাই আগেভাগেই আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম। দেখা হচ্ছে কিন্তু----


সোর্স: http://www.sachalayatan.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।