আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন নারীর সাথে কিভাবে বসেন আলোচনায়? কাকে বাচাতে আসলে মাঠে নেমেছেন ? ইসলাম নাকি জামাতে ইসলাম?

সদা নিরুপায় তবুও অকুতোভয় ৯/১১ এ টুইন টাওয়ার - স্টিফেন মালড্রে- ৩৩ বছর বয়স্ক ইকুইটি ট্রেডার, একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলো মা কে- "মা, আমাদের বিল্ডিং এ একটা প্লেল আঘাত করলো। এই মুহুর্তে.....আমি ভালো আছি কিন্তু ধোয়ায় চার দিক ভরে যাচ্ছে। আমি শুধু তোমাকে বলতে চাই আমি তোমাকে কত টা ভালোবাসি মা (কন্ঠস্বর কেপে ওঠে) এবং আমি তোমাকে ফোন দেব যখন নিরাপদ হব। ঠিক আছে মা ? বাই" ব্রায়ান নানেজ- মেসেজ পাঠিয়েছিলো তার পরিবার কে- "এই মাত্র ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারে প্লেন ক্রাশ করলো। ইটস ওকে... এবং আমি ঠিক আছি....শুধু আমি শ্বাস নিতে পারছি না.....সবাই কে বলো, আমি তাদের কত টা ভালোবাসি আর আমি যদি এখান থেকে বের হতে না পারি.....ভালোবাসি তোমাদের...." ৯/১১ এ টুইন টাওয়ার এ প্রথম প্লেন আঘাত হানার পর ১০০০ এর মত ফোনকল করেছে টাওয়ারের মানুষেরা।

তাদের ভেতর থেকে দুটি বাংলায় দিলাম। ওসামা বিন লাদেন এর কাছে এটা জিহাদ ছিলো, কিন্তু মালড্রে কিংবা নানেজ এমনকি প্লেন হাইজ্যাক করা ব্রেনওয়াশড জিহাদী রাও ঠিক মত জিহাদ বুঝতো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ'র অবকাশ নেই। বুঝলে ওসামা বিন লাদেন নিজে জিহাদী হয়ে ওই প্লেনে থাকতেন। আজকের দিনে কেন এইসব, প্রশ্ন করতেই পারেন। হ্যা, মতিঝিলে কওমী মাদ্রাসার লোক সমাগম দেখে সবাই অনেক বাহবা দিয়েছেন কিংবা দিচ্ছেন তাদের জিহাদী জোশ দেখে।

মাদ্রাসার ছাত্র দের বোঝানো হয়েছে এটা জিহাদ, নাস্তিক দের বিরুদ্ধে। যদিও তাদের জিহাদ দেখা গেছে মূলত গনমঞ্চের বিরুদ্ধে আর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বিরুদ্ধে। এবার তবে আমার কাহিনী বলি- দেশের বাড়ি থেকে আমার দুই ছোট ভাই আসছেন, তারা মাদ্রাসার ছাত্র। বাপ মার যখন ৬-৭ টা ছেলে থাকে তখন তাদের শখ জাগে একজন কে হাফেয বানাবেন যাতে তাদের কিছু পাপ মোচন হয়। আমি এটা কে স্বাগত জানাই, কিন্তু বাপে মাগরিবের নামাজের সময় চায়ের দোকানে আড্ডা দিবে আর ছেলে রে মাদ্রাসায় হাফেয বানাইয়া বেহেস্তের আশা করবে, তার বিরোধী আমি।

যাই হোক, ভাই দুজন এখনো বাড়ি ফেরে নি। সারাদিন তারা মতিঝিল ছিলো। আমার ভাইয়ে অভিভাবক রা চিন্তায় পড়ে গেলেন, ছেলে দের হাফেয বানাতে পাঠিয়েছেন নাকি নাস্তিক শায়েস্তা করতে। আর বিধর্মী নাস্তিক দের তো ধর্মের বানী পৌছে ধর্মের পথে আনা হয়, মতিঝিলে ফাসি চাই, জুতা মারো বলে আনা হয় না। আমার এই দুই ভাই ৩-৪ বার মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছে, প্রতিবারই তাদের শেকল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

জানি না, এভাবেই হয়তো তাদের শাস্তি পেতে হয়। আর সব চেয়ে বড় কথা এই দুই ভাই জানে না ব্লগ কি জিনিষ। আর ব্লগার দের নাম তো দূরে থাক। শুধু জানে ব্লগার মানে ধর্মের নামে যারা খারাপ কথা লেখে। তবে তারা সেটা বিশ্বাস করে না তার প্রধান কারন আমি, আমি যখন বললাম আমি ব্লগার, তখন তারা হা হয়েই তাকালো।

"আমার কোন কিছু ধর্ম বিদ্বেষি?" এক ভাই কয়- "বিদ্বেষ মানে কি?" আমি বললাম- " মানে বিরোধী ?" তার কয় সমস্বরে বললো- "না" তবে আপনেরে জুম্মার নামাজের টাইমে ঘুমায় থাকতে দেখছি। ওজু নাই গোছল করেন না ৭ দিন, আপনে বাদ হয়ে গেছেন। " আমি- " অফ যা" সুতরাং সম্পূর্ন ভুল ধারনা দিয়ে , জোর করে আপনি ১৩-১৭ বছর বয়সি মাদ্রাসার লাখ কেন কোটি আনতে পারবেন। কারন পায়ে শেকল পড়ানো অবস্থায় তাদের আমি দেখেছি। তাদের আপনি হাতে লাঠি কিংবা দা ধরিয়ে শাহবাগ দু তিন জন কে কুপিয়ে আসতে বলতে পারেন, তারা ভয়ে সেটাও করবে।

ঈমাম শাফি কিন্তু নিজে মিছিল করে শাহবাগ আসে নাই, সো খেয়াল কইরা। সবাই নিজের পোটলা বাচায় রাইখা ব্যবসায় নামে। কিন্তু আমি মনে করি আসল জিহাদ নিজের বিবেকের সাথে যুদ্ধ করা, কোন খারাপ কাজ থেকে মন কে যুদ্ধ করে বিরত রাখা। কোন মাদ্রাসার ছাত্র এই পোষ্ট টি পড়বে না জানি তবে পড়বে ভার্সিটি, মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া কিছু তরুন যারা হেফাযতে ইসলাম কে সাপোর্ট করছেন। তারা আজ একজন নারী সাংবাদিক কে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিলো প্রায়, যুক্তি পুরুষের ভেতর নারী কেন।

আপনাদের কাছে প্রশ্ন রইলো সিডাটিভ হিপনোটিক্স এর- " হেফাজতের আলেম রা তবে নারী প্রধানমন্ত্রী আর নারী বিরোধী দলীয় নেত্রীর সংহতি গ্রহন করেন কেন ? একজন নারীর সাথে কিভাবে বসেন আলোচনায়? কাকে বাচাতে আসলে মাঠে নেমেছেন ? ইসলাম নাকি জামাতে ইসলাম?" আল্লাহ আপনাদের হেফাজতে ইসলামের হেফাজত করুন। আমীন ...সিডাটিভ হিপনোটিক্স ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.