আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মওদুদ - একজন ধূর্ত মানুষের প্রোফাইল - ( পর্ব ৭- একজন বর্ণচোরা রাজাকার)

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

মওদুদ আহমেদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীতার সম্পর্কে একটা সুষ্পষ্ঠ অভিযোগ পাওয়া যায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সিরাজুদ্দিন হোসেনের ছেলে সেলিম আর নুরের কাছ থেকে (মুক্তধারা ডট কম) মুক্তিযুদ্ধের পর পর দালাল এবং রাজাকারদের একটা অংশ পাকিস্থানে অবস্থান নেয়। তাদের সম্পদ এবং বাড়ীঘরকে সরকার শত্রু সম্পত্তি ঘোষনা করে এবং মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বন্ধোবস্ত দেয়। এমনই একটা বাড়ীর মালিক ছিলেন আইয়ুব খানের সময়কার মহিলা সংসদ সদস্য ডলি আজাদ - যিনি গোলাম আজম এবং অন্যান্যদের সাথে নাগরিত্ব হারান। ইস্কাটনের ১৯ নং বাড়ীটি শত্রুসম্পত্তি হিসাবে রাজাকারদের হাতে ১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বরে শহীদ সিরাজুদ্দিন হোসেন এবং ১৯৭১ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর রাজাকারদের হাতে শহীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিতের শিক্ষক ড. আবুল কালাম আজাদের পরিবারবর্গকে সরকারী ভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া হয় ১৯৭২ সালে। জেনারেল জিয়ার শাসনামলে মওদুদ আহমদ বেশ কয়েকবার পাকিস্থান সফর করেন এবং পাকিস্থানে নির্বাসিত নাগরিকত্ব হারানো দালালদের সাথে তাদের দেশে বসবাসকারী পরিবারবর্গের যোগাযোগ এবং ভুয়া দলিলপত্র আদানপ্রদানের মাধ্যমে শত্রুসম্পত্তি হিসাবে ঘোষিত সম্পদসমূহ ফেরত প্রদানের পক্ষে কাজ শুরু করেন।

উনি তাদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ফিরে পেতেও আইনী পরামর্শ দেন। ম্ওদুদের প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ সরকার ইস্কাটনের ১৯ নং বাড়িটি নিয়ে একটা বেকায়দায় অবস্থায় পড়ে যায়। কারন ভুয়া দলিলের মাধ্যমে দালালদের বাংলাদেশে বসবাসরত স্বজনকে মালিক হিসাবে দেখিয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে সরকারপক্ষের ইচ্ছাকৃত উদাসীনতাসৃষ্টি করে মামলাগুলোতে সরকারী পক্ষকে হারানো হয়। এই প্রক্রিয়া শুরু হয় জিয়ার শাসনামলে এবং এরশাদের সময়ে চলতে থাকে।

মওদুদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় অনেক বাড়ী এবং সম্পত্তি সরকার ভুয়া মালিকদের ফেরত দিয়ে দিলে তারা তা বিক্রয় করে পাকিস্থানে অর্থ পাচার করে। বিশেষ করে ডলি আজাদের সম্পত্তির বিষয়ে জিয়া/ সাত্তারের শাসনামলে ড. আজাদ এবং সিরাজুদ্দিনের পরিবারকে নোটিশ দিলে ড. কামাল হোসেন এগিয়ে আসেন আইনী সহায়তা দিতে। কিন্তু সেই পর্যায়ে আসে এরশাদের সামরিক শাসন। সামরিক শাসনের অধীনে কোর্টের কার্যক্রম বন্ধ থাকার সময় সরকারের প্রশাসন যন্ত্র দুইঘন্টার নোটিশে দুই প্লাটুন পুলিশের সহায়তায় বাংলাদেশের জন্যে শহীদ দুই পরিবারের ৮ জন সদস্যকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এই বিষয়ে উপর সাপ্তাহিক বিচিত্রা’য় মওদুদ আহমদ এবং পাকিস্থান পলাতক দালালদের সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে শহীদ পরিবারকে গৃহছাড়া করা সম্পর্কে একটা প্রতিবেদনে মওদুদের যোগসাজশের তথ্য প্রকাশিত হয়।

(প্রায় শেষ...)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।