আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন নারী নিজেকে তৈরি করে একজন পুরুষের জন্য এবং একজন পুরুষ নিজেকে তৈরি করে তার জীবনে একজন নারী আসবে ।



সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নিয়া নানান ধরনের বিতর্ক আছে । এর মধ্যে প্রকৃতি ও নারীর সৌন্দর্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি লেখা ও চর্চা করা হয়েছে । নারীর মুখশ্রী ও শারীরিক গঠন এর উপর সাধারনত পুরুষরা সৌন্দর্য খোজার বেশি চেষ্টা করে বিধায় নারীও তার শারীরিক গঠন ও মুখশ্রীকে যথা সম্ভব উপযোগী করে পুরুষের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে । অপরদিকে নারীর কাছে পুরুষের সৌন্দর্য এক কালে শৌর্যের মধ্যে থাকলেও কালের সামাজিক বিবর্তনে তা শৌর্যের সাথে সম্পদ ও ক্ষমতাও যুক্ত হয়েছে । এখন প্রবাদ আছে পুরুষের আবার চেহারা ও বয়স কি ? অর্থ সম্পদের মালিক হলেই হোল ।

প্রকৃতিগত ভাবে নারী ও পুরুষের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে বৈ কি । নারী হচ্ছে মা যিনি গর্ভধারন করেন এবং মানব বংশ বৃদ্ধি করেন । যদিও প্রাণী জগতের সকল নারী প্রজাতিই বংশ বৃদ্ধির ধারক ও বাহক । তথাপি একজন পুরুষের সংগ ছাড়া এই বংশ বৃদ্ধির কার্যক্রম প্রাণী জগতের কোন নারীরই একার পক্ষে করা সম্ভব নয় । প্রানিকুলের মধ্যে মানব জাতীর নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি প্রাকৃতিক বৈজ্ঞানিক পার্থক্য কোন একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে পরেছিলাম ।

একজন নারী সারাজীবনে মাত্র ১৯ বার গর্ভ ধারন করতে পারে অপরদিকে একজন পুরুষের একবারের স্খলিত বীর্য দিয়ে ৫০০ কোটি নারীকে গর্ভবতী করা যায় । সেই হিসেবে নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রকৃতি গত ক্ষমতার পার্থক্য আছে বলেই ধরে নেয়া যায় । তা নারীবাদীরা যতই নারীদের পুরুষের সমকক্ষ হিসেবে দাবী করুক শারীর ও প্রকৃতি সেই সমকক্ষকে স্বীকৃতি দেয় না । আর এই শারীরিক গঠন ও সমাজ - প্রকৃতিতে নারী পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব থাকার কারনে নারী - পুরুষের মানসিক গঠনও অনেক ভিন্ন । মানসিক গঠনটা এই রকমঃ একজন নারী নিজেকে তৈরি করে একজন পুরুষের জন্য এবং একজন পুরুষ নিজেকে তৈরি করে তার জীবনে একজন নারী আসবে ।

এখানেই দৃষ্টি ভঙ্গির পার্থক্য । এই দৃষ্টি ভঙ্গী প্রকৃতি ও সমাজ সৃষ্ট । এই দৃষ্টি ভঙ্গী পরিবর্তন যোগ্য নয় বিধায় এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা একটি ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয় ।
কথা শুরু করেছিলাম সৌন্দর্য নিয়ে । নারীর চোখে যে পুরুষ সুন্দর আর পুরুষের চোখে যে নারী সুন্দর তা হচ্ছে আসল নারী পুরুষের সৌন্দর্য ।

একজন পুরুষের বা নারীর সুধু শরীর ও মুখশ্রী চোখে পরে না । মেয়েলীপনার বা পুরুষালীর নানা দিক চোখে পরে । এর মধ্যে হাটা, চলা, হাসি, কথা বলার ঢং, আচরন , রুচি, ফ্যাশন , শিক্ষা , সংস্কৃতি সকল কিছু মিলেই সৌন্দর্য তৈরি হয় । কোন নারী প্রকৃতি গত ভাবে পুরুষ বিদ্বেষী হতে পারে না । কারন প্রকৃতিগত ভাবে একজন নারী গর্ভধারণের জন্য তৈরি বিধায় পুরুষের প্রতি তার আকর্ষণ থাকাটাই স্বাভাবিক বরং না থাকাটাই অস্বাভাবিক ।

অপরদিকে একজন পূর্ণবয়স্ক গর্ভধারণের জন্য তৈরি একজন নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণও প্রকৃতিগত । এর কোন ব্যত্যয় ঘটা মানে মানসিক সমস্যা বা বিকৃতি অথবা বলা যেতে পারে মানসিক রোগী । নারী ও পুরুষের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বোধও সৌন্দর্যের অংশ । সেই আকর্ষণের প্রতিফলন নারী বা পুরুষ নানান কায়দায় প্রতিফলিত করে । এর বেশিরভাগ চর্চা হয় সাহিত্যে ও সংস্কৃতিতে ।

শিল্প - সাহিত্যের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে নারী - পুরুষ সম্পর্ক । এই সম্পর্ককে মানুষ প্রেম - বিয়ে ইত্যাদি নামে ও বন্ধনে সংজ্ঞায়িত করেছে ।
যারা নারীবাদী বা শুধু নারীদের নিয়ে কথা বলে এবং নারীকে পুরুষের সমকক্ষ রুপে দাড় করায় তারা সামজের নারী পুরুষ সম্পর্কের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে । প্রাণী জগতের সকল পুরুষ ও নারী যেমন মানুষ তার থেকে ভিন্ন নয় । ভিন্নতা যতটুকু তা মানুষের বিকৃতি ।

এই বিকৃতি চর্চা একটি হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয় । মানুষ সমাজ তৈরি করেছে মানুষের বুদ্ধি দ্বারা । সেই সমাজের স্বাভাবিক বিকাশের অংশ হিসেবে নারী পুরুষের ভুমিকা ভিন্ন । এই ভিন্নতা যেমন প্রকৃতিতে তেমন সমাজে । সমাজ গঠনের প্রারম্ভিক সময়ে যে শ্রম বিভাজন তৈরি হয় তা মুলত নারী পুরুষের প্রকৃতিগত শারীরিক গঠন থেকেই তৈরি হয় ।

এই শ্রম বিভাজনের অংশ হিসেবে নারী গৃহস্থালির কাজে ও পুরুষ অন্ন সংস্থানের কাজের সাথে জড়িত হয় । সেই জায়গা থেকেই নারী ও পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি গরে উঠে । এবং সেই সাথে নারী - পুরুষ পরস্পরকে সেইভাবে দেখতে অভ্যস্ত ।
আমরা এখন নারী দিবস পালন করি একটি ভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গী নিয়ে । যেখানে বলা হয় নারীরা পুরুষের দ্বারা নির্যাতিত ।

সমাজের সকল স্থানেই নারীরা নির্যাতিত । সমাজ ও সংসারে নারীরা নির্যাতিত পুরুষের দ্বারা নয় । নির্যাতিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দ্বারা । দারিদ্রতা নারী নির্যাতনের অন্যতম কারন । নারী পাচার , নারীকে শারীরিক ভাবে আঘাত , নারীর শরীরকে পন্য হিসেবে ব্যবহার ইত্যাদি সংক্রান্ত নির্যাতন হয় দারিদ্রতা থেকে ।

একজন পুরুষ শ্রম বিভাজনের শিকার হয়ে পরিবারের আয় রোজগারের দায়িত্বে নিয়োজিত কিন্তু সমাজ বা রাষ্ট্র তাকে কাজ দিতে পারছে না । কিন্তু নারী বসে আছে পুরুষের আয়ের উপর । এই শ্রমবিভাজন থেকেই নারী নির্যাতনের বেশীরভাগ অংশের উৎপত্তি । নারী দিবসের প্রবক্তারা দারিদ্রের কথা বলে না, ধর্মীয় অনুশাসনের জন্য নারীরা কাজ করতে পারে না সেই কথা বলার সাহস পায় না । অথচ নারী নির্যাতনের জন্য সোজা সাপটা পুরুষকে দায়ি করে বসে যা নারীদের মধ্যে পুরুষ বিদ্বেষী মনোভাব তৈরি হয় ।

এই নারীবাদি বক্তব্যের জন্য বিশ্বে যত টাকা খরচ হয় তার দ্বারা প্রতি বছর ৫ কোটি নারীর কর্ম সংস্থান করা যায় ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.