আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গী হলো মুশফিক বাহিনী। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যচে ৪০ ওভারে ২১২ রান লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে টাইগাররা। তবে তামিম আর সাকিবের অনবদ্য ব্যাতিং্যে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকদের শুরুটা ভালো হয়নি। নুয়ান কুলাসেকারার বলে বোল্ড হয়ে ৮ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন নাজিমউদ্দিন (৬)। ২৩তম জন্মদিনে তামিম ফিরেছিলেন স্বরূপে, তারপরও জহুরুল ইসলাম (২) ও এক ম্যাচ পরেই চার নম্বরে খেলতে নামা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের (১) বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে স্বাগতিকদের স্কোর দাঁড়ায় ৪০/৩। চতুর্থ উইকেটে সাকিবের সঙ্গে তামিমের ৭৬ রানের জুটিটাই খেলায় ফেরায় স্বাগতিকদের।

সেনায়েকের বলে কাট করতে গিয়ে তামিম (৫৯) পয়েন্টে লাহিরু থিরিমান্নের হাতে ধরা পড়লেও অবিচল ছিলেন সাকিব। তামিমের ৫৭ বলের ইনিংসে ৯টি চার। নাসির হোসেনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৯ রানের ছোট কিন্তু কার্যকর জুটি গড়ে বিদায় নেন সাকিবও (৫৬)। তার ৪৬ বলের ইনিংসটি ৭টি চারে সাজানো। সাকিবের বিদায়ের পর এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হলেও ষষ্ঠ উইকেটে সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে নাসিরের ৭৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটির সুবাদে সহজ জয়ই পায় বাংলাদেশ।

৬১ বলে করা নাসিরের ৩৬ রানের ইনিংসে ৩টি চার। ১৭ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে মাহমুদুল্লাহরও বড় অবদান। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে। তার ৩৩ বলের ইনিংসে ৩টি চার। দলকে উৎসাহ দিতে মাঠে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আর মাঠের ২৫ হাজার দর্শক প্রতিটি রান বরণ করে নিয়েছেন তীব্র উচ্ছ্বাসে। এর আগে বাংলাদেশি বোলারদের চাপের মুখে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ২৩২ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের পরই শুরু হয় বৃষ্টি। এ কারণে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে ৪০ ওভারে ২১২ রানের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। এর আগে, মিরপুরে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

শ্রীলঙ্কাকে অল্প রানে আটকে দিয়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। এবার পালা ব্যাটসম্যানদের। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলতে হলে ২৩৩ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চামারা কাপুগেদারার অর্ধশতকের সুবাদে ৪৯ ওভার ৫ বলে ২৩২ রানে অলঅউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশি বোলারদের চাপের মুখে এক বল বাকি থাকতেই অল আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসেনের বোলিং তোপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। দলের ৩২ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। ১৯ রানে অধিনায়কের উইকেটটি হারায় লঙ্কানরা। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে জয়াবর্ধনের উইকেট ভেঙ্গে দেন পেসার নাজমুল হোসেন। ব্যক্তিগত ৬ রানে কুমার সাঙ্গাকারা এক্সটা কভারে নাজিমুদ্দিনের ক্যাচে পরিণত হন।

বোলার এবারো নাজমুল হোসেন। ব্যক্তিগত পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে তিলকারতেœ দিলশানকে (১৯) বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেটটি তুলে নেন নাজমুল। চতুর্থ উইকেটে লাহিরু থিরিমান্নের সঙ্গে ৮৮ ও উপুল থারাঙ্গার সঙ্গে ৪৯ রানের দুটি জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ের পুজি গড়ার স্বপ্ন দেখান কাপুগেদারা। কাপুগেদারা-থিরিমান্নের জুটি ভেঙে শ্রীলঙ্কাকে আবার চাপে ফেলেন আবদুর রাজ্জাক। থিরিমান্নে করেন ৪৮ রান।

কিছুক্ষণ পর ৬২ রানে থাকা কাপুগেদারাকেও সাজঘরে পাঠান রাজ্জাক। এর পর দুটি উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান। ৪৮ রান করা উপুল থারাঙ্গাকে সাজঘরে পাঠান শাহাদাত হোসেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন নাজমুল। রাজ্জাক ও সাকিব নেন দুটি করে উইকেট।

মাশরাফি ও শাহাদাত্ নেন একটি করে উইকেট। আজকে বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন এসেছে একটি। চোটের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েছেন পেসার শফিউল ইসলাম। তার বদলে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন নাজমুল হোসেন। পরিবর্তন এসেছে শ্রীলঙ্কা দলেও।

দিনেশ চান্দিমালের বদলে লঙ্কান স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন কাপুগেদেরা। এছাড়া আরো অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন সচিত্র। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.