আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুমূর্ষু জাফলংকে বাঁচাতে হবে

যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়। আমার আগের পোষ্টে অনেকেই পাথরখোরদের হাত থেকে জাফলংকে বাঁচানোর কথা বলেছেন। এই অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও সম্পদের উৎসটি ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা। প্রতিদিন পর্যটকদের ভিড়ও অনেক।

কিন্তু আমরা কি এই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করছি আমরা কি এর যত্ন করছি? আমার তা একদমই মনে হয়নি। জাফলং মুমূর্ষ হয়ে পড়েছে। যত্নের অভাবে জাফলং হারাতে বসেছে এর সম্পদ আর সম্ভাবনা। আসুন ছবির মধ্য দিয়ে দেখি বাংলা অপরূপ রূপ আর সচেষ্ট হই একে রক্ষা করতে। জাফলং এর অবশিষ্ট সৌন্দর্য্য কিন্তু এটা কতদিন থাকে সেটাই মুখ্য বিষয় আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম বাংলা অপরূপ সৌন্দর্য আর নানান ধরণের মানুষ দেখতে দেখতে পথে নানান মানুষ নদী জাফলং এর নদী আর মানুষ পাথরকে ঘিরে জীবিকা কিন্তু কোথায় সেই নদী? কোথায় বিস্তীর্ণ জলরাশি।

এ তো বালুচর। সংকীর্ণ নদী আর অকেজো পর্যটন ব্যবস্থা স্থানীয় মানুষের জীবিকা, সম্পদ আহরণ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে কে ভারসাম্য রক্ষা করবে? কতদিন স্থায়ী হবে এই দৃশ্য? ক্রমাগতভাবে প্রান্ত সরে যাচ্ছে এর সৌন্দর্য প্রকৃতিকে বারবার হারিয়ে দেবে মানুষের লোভ? কিন্তু এই লোভ তো কারো জন্যই মঙ্গলজনক নয় এভাবে তো পর্যটনও বেশি দিন টিকবে না যদি আমরা নিজেরাই দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন হই প্রকৃতি আর মানুষের পথ তো আলাদা নয় নদী না বাঁচলে এই দেশের মানুষ তো বাঁচবে না কোথায় পাব এমন সূর্যাস্ত? আমাদের দেশের মত সুন্দর দরকার প্রকৃতি আর মানুষের মাঝে সুষম ভারসাম্যের ব্রীজ জাফলংকে মূমূর্য অবস্থা থেকে বের করে আনা দরকার। বিশেষ ভাবে মনে পড়ছে ব্লগার বন্ধুদের দুটি মন্তব্য "আগের সেই জাফলং আর নেই। পাথরখোররা জাফলংকে প্রায় ধ্বংশ করে দিয়েছে। ধুলা আর মেশিনের শব্দে কঠিন অবস্থা, তার ওপর আছে নৌকাওয়ালদের সিন্ডিকেট।

": আমরা সোচ্চার "বাংলাদেশের বেশীর ভাগ পাথর কোয়ারী সিলেট জেলাতেই। সব জায়গায় একই দৃশ্য দেখা যায়। পরিবেশের বারটা বাজিয়ে পাথর উত্তোলিত হচ্ছে। জাফলংয়ের এখনকার দৃশ্যাবলীর সাথে ৫/৬ বছরের আগের দৃশ্যের আকাশ পাতাল ফারাক। ": সায়েম মুন ।

ধন্যবাদ সবাইকে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.