আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রযত্নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

জনাব, একবিংশ শতাব্দীর ২য় দশক হইতে আমি আপনার এক নগন্য প্রজা, স্বপ্নের জ্বালায় অতিষ্ঠিত হইয়া, কোন উপায়ান্তর না দেখিয়া আপনার অন্য জীবনের পানে চিঠি টা লিখিলাম। আশা করি আপনি ঐ জগতে সুখে শান্তিতে দিনাতিপাত করিতেছেন। পরসমাচার এই যে, আমরা আপনার অতি স্নেহধন্য কন্যা এবং আপনার প্রিয় এক সামরিক নেতার স্ত্রী'র ব্যাবহারে বডই আনন্দ!!!!! এবং পরম!!!! নিরাপত্তাহীনতায় দিন গুজারিপাত করিতেছি। তবে, আপনার কন্যা সাম্প্রতিক কালে কিছু বেফাস উক্তি করিয়া আমাদিগকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ফেলিয়া দিয়াছেন। ফলে আমাদের সকল প্রজাসাধারণ তাদের নিরাপত্তা ঘাটতি পূরণে যে কোন মুল্যে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ্য নিরাপত্তার স্থান গণভবনে থাকিতে চাহিতেছেন।

এমতাবস্থায় আমাদের দাবি হইতেছে, সমগ্র বাংলাদেশ কে গণভবন ঘোষণা করা হউক যাহাতে রাজ্যের একটা পিপডাও নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগে। মাননীয়, আপনার স্নেহের কন্যা আমাদের জননেত্রী বিগত ৯০'র দশক হইতে আপনার বিতর্কিত যুদ্ধপরাধ ইস্যু লইয়া সরব আছেন। আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন যে, আপনার কন্যা পরপর দুইবার ক্ষমতায় আসিয়াছেন তবে তাহাদের কেশাগ্র এখনো স্পর্শ করেন নাই। তথাপি এখন উহাদের বিচারের নামে এক প্রহসনের ব্যাবস্থা করিয়েছেন যাহতে অন্তত আরো একটি নির্বাচনে যুদ্ধপরাধের ইস্যু ব্যাবহার করা যায়। যদিও আমরা সাধারণ প্রজাসাধারণ এইসব কীটস্য ব্যাক্তিসাধারণকে বিচারবহির্ভুত শাস্তি প্রদানে উৎসাহী ছিলাম।

মান্যবর, আপনি জানিয়া খুশী হইবেন যে, আপনি সেই যে দেশের ক্ষমতাকে ড্রয়িং রুমে নিয়ে গিয়ছিলেন উহা এখনো ড্রয়িং রুম হইতে বাহির হয় নাই। আপনার প্রচলিত গণতন্তের আদলে স্বৈরতন্ত্র এখনো বিদ্যমান রহিয়াছে। আপনার রাজ্যে যে দুইটি দল রাজ্য পরিচালনায় অগ্রগামী ভুমিকা পালন করিতেছে, তাহারা আপনার দেখানো সেই একদল, এক নেতা থিওরী অনুসরণ করিতেছে। পিতা, আপনি মনে করিয়া থাকিতে পারেন, আপনার কন্যা কিছু খারাপ কাজ বা উক্তি করিয়াছে তবে আপনার প্রিয়ভাজন সামরিক নেতার স্ত্রী দেশের আপামর জনসাধারণের কল্যাণে নিয়োজিত আছেন। তাহলে আপনাকে দুঃখের সাথে জানাইতেছি যে, উনি আপনার কন্যার চেয়ে দু'এককাঠি উর্ধ্বে অবস্থান করিতেছেন।

সুযোগ্য গুণধর দুই পুত্র লইয়া উনি রাজ্যটাকে আগেই ল্যাংডা বানাইয়াছেন। অতীব আতংকের সাথে আমরা আরো শুনি যে, উনি তাহার চ্যাম্পিয়ন পুত্রকে রাজ্যের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করাইয়া আপনার রাজ্যটাকে বিক্রয় করিয়া প্রাপ্ত টাকা গুলো সুইস ব্যাংকে এবং মালয়েশিয়ায় জমা করিয়া রাখিবেন। অবশ্য উনি উনার উপর আর্পিত দায়িত্ব " আপনার কন্যার সকল কাজের সমালোচনা করা" অতীব নিষ্ঠার সাথে পালন করিতেছেন। কর্তা, আমরা আপনার দুইবেলা খাওয়া প্রজাসাধারণ এখন একবেলা খাইয়া বেশ সুখেই আছি। তবে উদ্বিগ্ন হইয়া লক্ষ্য করিতেছি যে আপনার কন্যা'র মন্ত্রীসভায় পার্শ্ববর্তী বৃহৎ রাজ্যের নাগরিক ঢুকিয়া আপনার রাজ্যকে ঐ বৃহৎ রাজ্যের সাথে মিলাইয়া দিতে চাহিতেছে।

আমরা আবাল মানুষ বুঝিতেছি না এর সুফল বা কুফল কি হইবে । তবে আপনার নেতৃত্ব আমাদের পুর্বপুরুষরা রাজ্যটি স্বাধীন করিয়াছিলেন তো, তাই মায়া হইতেছে। তবে হ্যা, আমরা আপনার প্রজাসাধারণ আপনার রাজ্যের জন্য কিছু করিতে না পারিলেও পার্শ্ববর্তী রাজ্যের সিপাহীদের গুলি খেলার লক্ষবস্তু হইয়া জীবন দিয়া, তাহাদের দক্ষতা বাডাইয়া দিতেছি। প্রভু, আপনি জানিয়া খুশি হইবেন যে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যাশিক্ষার পাশাপাশি রামদা, চাপাতি, লাঠি, পিস্তল এইসব লইয়া মারামারি শিক্ষা অধ্যয়ন করিতেছি। আপনার এই অধম প্রজা'র শিক্ষাস্থানে অল্প কিছুদিন আগে এরুপ শিক্ষাকালীন সময়ে এক দুর্ঘটনা ঘটে।

ফলে দুইজন শিক্ষার্থী মরিয়া যায়। মহামান্য, আপনার প্রজাদের অবস্থা এখন আগের চাইতে বেশ ভালো । তাহাদের মধ্য যাহারা মহান ছিল তাহারা আরো মহান হইয়াছে এমনকি আপনার কিছু কিছু প্রজা তো খৃষ্টের সম্মান পাইয়া আপনার রাজ্যের সম্মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করিতেছে। তবে কিছু কিছু বের্তামিজ এই সম্মান সইতে না পারিয়া যীশু'র কাছে চলিয়া গিয়াছে। উহারা যীশুর কাছে গিয়া আপনার নামে কি আজেবাজে কথা বলিয়াছে আর আপনি উদ্বিগ্ন হইয়া আমারে স্মরণ করিলেন।

শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী, ওসমানী, তাজউদ্দিন, কামরুজ্জামান,সৈয়দ নজরুল ইসলাম,জিয়াউর রহমান উহারা সবাই আপনার সাথে আছে আশা করিতেছি। উহাদের সবাইরে আমার সালাম দিবেন। আর আপনার প্রতি রইল আমার শ্রদ্ধা। ইতি, আপনার দাসানুদাস মামুনুল ইসলাম বি দ্রঃ এই চিঠি'র সকল চরিত্র বাস্তবিক। কেউ যদি কোন কারণে কাল্পনিক মনে করিয়া থাকে তবে সে যেন হেমায়েতপুরে গিয়া মানসিক চিকিৎসা করায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।