আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাসে ৯টি রিজার্ভ সিট এবং নর-নারীর লড়াই!!

আসুন,সরকারী কর্মচারীদের ঘুষগ্রহণসহ সকল দুর্নীতিবন্ধে সর্বাত্মক সহায়তা করি। কারন সরকারি কর্মচারীরা দেশপরিচালনার হাতিয়ার। তারা যদি না হয় দক্ষ ও সততার অধিকারী, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বাংণাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি হবে সুদূরপরাহত। আমার স্মরণ আছে যে, আমি যোগাযোগমন্ত্রীর পি আর ও থাকাকালে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বাসে ৩+৩+৩=৯টি সিট সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অনেক চড়াই উতড়াইয়ের পর যদিও তা আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং নারীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হলেও---এখনো কিন্তু অনেক পুরুষের সাথেই ৯সিটে বসা নিয়ে নারী বা সহৃদয় যাত্রীদের ঝগড়ায় নামতেই হয়।

কিছু বাজে পুরুষ যেমন জেনেশুনেই ৯সিটে বসে ঝগড়ার সৃষ্টি করেন তেমনই অনেকে গ্রাম থেকে আসা লোকও আইন না জেনেও বসতে পারেন। কিন্তু বাসওয়ালা কিংবা অনেক যাত্রীই কি জানেন যে, রিজার্ভ সিটে নির্ধারিত যাত্রী ছাড়া অন্যের বসার সুযোগ নেই?? তবুও যারা ফাঁকা পেয়ে বসেন কিংবা কন্ডাক্টররা অতিলোভে সেখানে পুরুষকে এ শর্তে বসিয়ে দেন যে, নারী এলে তা ছেড়ে দিতে হবে--সেটা ভালো যদিও তা পুরুষদের লজ্জাকর ও অপমনকর। তাই আমার মতে, অপমান হবার জন্য ওই সিটে না বসাই উচিত যদিও তা ফাকাই থাকে। কিন্তু যারা মা-বোনদের অগ্রাধিকার দিতে চান না কিংবা রিজার্ভ সিটে বসতে চান বা বসেন, তাদের দোষ কিন্তু অনেক কম। বাসওয়ালারাই আসল অপকর্মের হোতা, যারা ৯সিটে পুরুষদের বসার সুযোগ দেয়।

রিজার্ভ সিটে সঠিক যাত্রীদেরী বসানোর দায়িত্ব কিন্তু বাস কন্ডাক্টরের এবং এব্যাপারে ঝগড়ার দায়িত্বও কোন যাত্রীর নয়। তাদের দায়িত্বের অবহেলার খেসারত দিতে হচ্ছে নারী যাত্রী কিংবা অন্য প্রতিবাদী যাত্রীদেরই। তবে সিঙ্গেল নারীদেরও অনুচিত ৯সিট ফাকা থাকাবস্থায় অন্য সিটে বসা; এ ৯সিট অগ্রাধিকারভিত্তিক এবং তা পূরণ হবার পর নর-নারীর সমানাধিকারের প্রশ্ন আসবে- মানে তখন যেখানে যে সিট পাবেন তিনি সেখানেই বসবেন-নর-নারীনিরবিশেষে। কিন্তু দেখা যায়, কিছু পুরুষ সমানাধিকারের দোহাই দিয়ে ৯সিটের বাইরে নারীদের বসার বিরোধিতা করে বোকামীর পরিচয় দেয়? স্বামী-স্ত্রী বাসে উঠলে কি ৯সিটের কথা খাটবে? নাহ, তারা বিচ্ছিন্ন হতে না চাইলে ৯সিটের বাইরে বসবেন-এটাই স্বাভাবিক যদিও রিজার্ভ সিট ফাকা থাকে। বাস কণ্ডাক্টর ৯সিটে পুরুষ বসতে না দিলেই কিন্তু হয়, যদিও অনেক ত্যাঁদড় পুরুষ জোর করেই বসতে চান, এক্ষেত্রে অন্য যাত্রীদের অব্যই প্রতিবাদের মানবিক দায়িত্বটাও পালন করা উচিত তাকে শিক্ষা দিতে।

এতো গেল একদিক, কিন্তু শিশু ও প্রিতিবন্ধীদের জন্যও ৩+৩=৬টি সিট রিজার্ভ থাকলেও আমি দেখেছি--অবিবেচিক কিছু নারীও ৯সিটকে তাদেরই একমাত্র ও একচেটিয়া অধিকার ভেবে বসে থাকেন যে--সেখানে শিশুকেও বসতে দিতে চান না বা উঠিয়ে দেন বা কোলে নিতে বলেন। অথচ সরকার সমাজের ৩টি সেন্সেটিভ ও দুর্বল অংশ--শিশু, প্রতিবন্ধী ও নারীর জন্যই এসব সিট রিজার্ভের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু কি তাই-- বাসওয়ালাসহ নর-নারীনির্বিশেষে সব যাত্রীকেই দেখেছি শিশুদের সিটের অধিকার লঙ্ঘন করতে। একটা শিশু কি নারীর চেয়েও দুর্বল ও বেশী অসহায় কিংবা সবার প্রিয় নয়? মায়ের সাথে বা বাবার সাথে আসা শিশুটি কেনই বা ৯সিটে বসবেনা সরকারী বিধানমতে? কোন নারীযাত্রী শিশু বা তার অভিভাবককে কনভিন্স করে শিশুকে কোলে নিতেই পারেন-সেটা অন্য বিষয়; কিন্তু শিশুর অধিকারই আছে নারী মতোই ৯সিটে বসার, এটা যেন আমরা না ভুলি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।