আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডেটলাইন ৬ এপ্রিল : রুদ্ধশ্বাস গুজবের নগরী ঢাকা

মানুষ আমার সাধন গুরু. সেই মোকামে যাত্রা শুরু ইসলামের হেফাজতকারী (!) ভুঁইফোড় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিলের লঙমার্চকে সামনে রেখে গুজবের নগরীতে পরিণত হয়েছে ঢাকা। চারদিকে কেবল উদ্ভট সব কথা বার্তা। কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা, কোনটা তিল কোনটা তাল; কী করে বুঝি? যেসব কথা বাতাসে ভাসছে তার কয়েকটি উল্লেখ করছি। অন্যসব নগরবাসীর মতোই আমি এসব গুজব শুনে ভীষণ বিভ্রান্তির মধ্যে আছি। # আফগানিস্তান আর পাকিস্তান থেকে ২০ সদস্যের একটি স্নাইপার ও সুইসাইড স্কোয়াড বাংলাদেশে এসেছে।

লংমার্চের আগেই তারা ছদ্মবেশে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছে। লংমার্চের দিন তারা দুই দলে বিভক্ত হবে, একদল যাবে শাহবাগ আর অন্যদল যাবে বিভিন্ন মাদ্রাসায়। দু'দিকেই তারা ব্যাপক গণহত্যা চালাবে এবং দেশে পুরোপুরি অরাজকতা তৈরি করবে। এতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতাগ্রহণের একটা প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হবে। # শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে আওয়ামী লীগ হরতাল দিয়েছে।

যাতে মুসল্লীরা ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে। সরকার কয়েক হাজার ট্রাক ভাড়া করেছে, এগুলো একদিকে কুমিল্লা থেকে কাঁচপুর ব্রিজ আর অন্যদিক নরসিংদী-ঘোড়াশাল-টঙ্গী পর্যন্ত রাস্তা জ্যাম করে রাখবে। হুজুররা ঢাকা ঢোকার সুযোগই পাবে না। # আওয়ামী লীগের মধ্যেই এখন দুটি ভাগ হয়ে গেছে। একদল শাহবাগের ব্লগারদের পক্ষে।

অন্যদল হেফাজতে ইসলামের পক্ষে। শেখ হাসিনা কখনো শুনছেন শাহবাগের ব্লগারদের পক্ষ অবলম্বনকারীদের কথা, আবার কখনো শুনছেন হেফাজতে ইসলামের পক্ষ অবলম্বনকারীদের কথা। হেফাজতের পক্ষের লোকদের কথা শুনেই চার ব্লগারকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার নির্দেশে এখন আর কোনো ব্লগার গ্রেফতার করা থেকে সরকার বিরত আছে। আসলে শেখ হাসিনা নিজেই এখন পড়ে গেছেন দোটানার মাঝে।

# হেফাজতে ইসলামের লংমার্চের বাজেট ৮০ কোটি টাকা। শুধু বাস ভাড়া বাবদ বাজেট সাড়ে ৩ কোটি টাকা। খাওয়া খরচ ৫ কোটি টাকা। কর্মীদের হাত খরচ ১০ কোটি টাকা। বাকি টাকাটা পাবে হুজুর নের্তৃবৃন্দ।

# লং মার্চের ৮০ কোটি টাকা বাজেটের ৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে জামাত আর ৪৫ কোটি টাকা দিচ্ছে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার। লং মার্চের নেপথ্যের প্রধান উদ্যোক্তা সাকা চৌধুরীরর পরিবার। চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন ও বিএনপি নেতা মীর নাছিরও হেফাজতে ইসলামকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। # হেফাজতে ইসলামের লংমার্চের পরিকল্পনা চুড়ান্ত করা হয় ঢাকার আমার দেশ পত্রিকা অফিসে। সাড়ে ৫ ঘন্টার এই মিটিংয়েই মূলত প্ল্যান করা হয় যে এখন সামনে সবকিছু করবে হেফাজতী ইসলামী।

পেছনে সাপোর্ট দিবে সাকা-গিকার পরিবার, মীর কাশিমের পরিবার এবং জামাত। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মাহমুদুর রহমানকে ৩ কোটি, দারুল মাআরিফ চট্রগ্রামের মহাপরিচালক মাওলানা নদভীকে ২ কোটি, কওমী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানকে ১ কোটি, পটিয়া মাদ্রাসার মহা পরিচালক আব্দুল হালিম বোখারীকে ৫০ লক্ষ এবং হেফাজতী ইসলামকে দেয়া হবে ৪৫ কোটি টাকা এবং জামাত নিজে খরচ করবে বাকী টাকার অংশ তাদের নিজেদের ফান্ড থেকে। সিদ্ধান্ত হয় যে এই পুরা লং মার্চের সব দায় দায়িত্ব থাকবে হেফাজতী ইসলামের কাছে এবং চট্রগ্রাম থেকে পুরো ব্যাক আপ দিবে জামাত-শিবির আর বি এন পি’র সাকা গ্রুপ। টাকা ভাগাভাগির দায়িত্ব নেয় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। # লংমার্চের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বিদ্রোহ ঘটনো হবে।

এ সময় বন্দী যুদ্ধাপরাধীদের একজন বা দুইজনকে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের মতো জেলখানায় হত্যা করা হবে এবং আন্তজার্তিক অঙ্গনে বোঝানো হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আসলে একটা প্রহসন। # জামাতের লোকেরাই জামাতের কিছু তরুন নেতাদের খুন করবে, কিছু মাদ্রাসা পুড়িয়ে দিবে। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত আবদুল আলীম কে হিট করবার জন্য তারা এরই মধ্যে পাকিস্তান থেকে স্নাইপার এনেছে। এই ঘটনাটা ঘটিয়ে দিতে পারলেই জামাত দেখাতে পারবে যে এই ট্রাইবুনালে আটক যারা তারা নিরাপদ নয় এবং এই বিচার পুরাই প্রহসন। # হেফাজতী ইসলাম সহ লংমার্চে অংশ নেওয়া সব দল বিভিন্ন এলায় মোট ১৫৬ টা টিম বানিয়েছে।

এরা বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও থানা থেকে লং মার্চের সাথে যোগ দিবে। মূলত এই দলটি ঢাকাতে ঢুকার সাথে সাথেই এদের মধ্যে ১৫ টি ইউনিট শুরু করবে তান্ডব। তারা ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে সেন্ট্রাল ঢাকার একটা অংশে তান্ডব চালাবে। খুলনাতে একটা গ্রুপ নাস্তিক সেজে কোরান শরীফ পুড়িয়ে দিবে এবং এই ঘটনার জের ধরে হিন্দুদের মন্দির ভাঙচুর হবে। এসবের জের ধরে ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে একদল হানা দিয়ে পুরো কারাগারে পাগলা ঘন্টী বাজিয়ে দিবে।

একাত্তর টিভি, প্রথম আলো কার্যালয় সহ অন্যান্য ভবনে এদের একটা ইউনিট এটাক করবে বলে খবর আছে। আসলেও কী এধরনের কিছু হবে বা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, নাকি পুরোটাই উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা--- রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছি।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।