আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিনা , রাজু ! কম্পিউটার সাইন্স ভার্সন ! (ফান পোষ্ট )

ানা ভাঙ্গা পাখির দল তোমার আর আমার হারিয়ে যাবার সাক্ষী ! আমি তো হারিয়ে যাবো ঠিক ই ।। অজানা অহংকারে , মিছে দাম্ভিকতায় আর অর্থহীন জেদে ! ডানাভাঙ্গা পাখিরা ঠিক ই মনে রাখবে ! আগে আগে এই লেখাটি পড়েন যেটা আমাকে এই লিখাটি লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে , যেখানে রাজু মেডিকেল কলেজে গিয়া হেব্বি পেইন পাইছে ! মিনা আর রাজু ! রাজু কম্পিউটার সাইন্স এর আর মিনা মেডিকেলের ! আগের পোষ্ট এ রাজু মেডিকেল এ গিয়া কি প্যাড়া খাইছিল সেটা দেখছেন ! কিন্তু মিনা কি করসে তা কিন্তু লেখক বলেন নাই ! এখন মিনার সময় ! রাত ১২ টা বাজতেই মিনাকে রাজু মনে করিয়ে দিলো সময় শুরু ! মিনাকে একটা লিঙ্ক দিয়ে দিলো , একটা প্রোগ্রামিং সমস্যা ! যেটা রাজুকে সমাধান করতে হবে ! যেহেতু মিনা প্রোগ্রামিং এর ভাষা জানেনা মিনাকে কোড করতে হবেনা , শুধু কি করা যায় এটা ভেবে বাংলায় বলে দেয়া কি করতে হবে রাজুকে ! সমস্যা টা এরকম … তিন জন বন্ধু গেছে বেড়াতে , m সংখ্যক ডিম আছে , একটা বাটি আছে যেটা সর্বোচ্চ ২০ গ্রাম ওজন একসাথে নিতে পারে , m সংখ্যক ডিমের আলাদা আলাদা ওজন দেয়া আছে ! (সংখ্যা গুলো একেক বার একেক রকম হতে পারে !) ওদের হাতে সময় আছে মাত্র ১৮ মিনিট ! ১৮ মিনিটে সর্বোচচ কয়টা ডিম তারা সেদ্ধ করতে পারবে ! উদাহরণ : m =5 10, 4 , 2 ,1, 5. m = 6 20, 8, 1,9 , 2, 3,4. উত্তর : 4 5 বেশ কয়েকবার পড়ার পর মিনা বুঝতে পারলো তার আসলে কি করতে হবে এমন একটা সুত্র বানাতে হবে যেটাতে সম্ভাব্য সবরকম সংখ্যার জন্য সঠিক ফলাফল দিবে ! ভাবতে বসল মিনা …খাতা কলমে তার স্কুল , কলেজ জীবনের সমস্ত গানিতিক মেধা কাজে লাগিয়ে নতুন একটা ফর্মুলা বানানোর জন্য মাথা খাটাতে লাগলো ! অনেকক্ষন পর পর মিনা একটা করে ফর্মুলা রাজু কে জানায় আর রাজু কয়েক টা সংখ্যাতে ওই ফর্মুলার ভুল ধরিয়ে দেয় ! ও ! তাহলে এতা হবেনা ! আবার ভাবাভাবি শুরু ! ২ টা বাজতেই রাজু মনে করিয়ে দেয় সকাল ৮ টায় ক্লাস ! তাই আজ অফফ ! কিন্তু মিনার মাথায় ততক্ষনে গেথে গেছে তিন বন্ধুর ডিমের সমাধান ! ওয়াশ্ রুমে গিয়েও তাই ভাবতেই লাগলো ! ঘুমাতে গিয়েও মাথা থেকে বের হয় না , কি হতে পারে সমাধান ! সকালে এলার্মের ঝাঝালো শব্ধে কষ্ট করে ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে যেতে যেতে রাস্তায় ও ভাবাভাবি ! (সমস্যা টা একটা উদাহরণ মাত্র , এতে অত ভাবাভাবির কিছু নেই ! কিন্তু এমন হয় , আমি নিজে ভুক্তভোগী ! ) ! যাই হোক সকালে ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাসে আসলো ! বিশাল বিশাল সার্কিট একে সার্কিটের সারমর্ম বুঝতে গিয়ে মাথায় শট সার্কিট খেলো ! এখন মাথায় সার্কিট , মিনা ভাবলো যাক মাথা থেকে ডিম গেছে ! তারপর আবার মাইক্রোপ্রসেসরের ক্লাস ! এখানেও বিশাল বিশাল ডায়াগ্রাম ! শুরু করে শেষে গেলে মনে থাকেনা শুরু কোথা থেকে ! ততক্ষনে মিনার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে ! খিদা ও ভালোই লাগছে ! হালকা কিছু খেয়ে মিনা এবার গেল অপারেটিং সিস্টেম ক্লাসে ! সেখানে ওপারেটিং সিস্টেমের একসাথে ইউজার যদি ৫ টা কাজ করে তাহলে কি করলে সিস্টেম ক্র্যাশ করবেনা সেটার সমাধান করতে গিয়ে আবার একি ঝামেলা, এক টা করলে আরেক টা ঝামেলা পাকায় ! আপাতত মিনা এসব চিন্তা বাধ দিয়ে ভাবতে লাগলো যারা উইন্ডোজের মত ওপারেটিং সিস্টেম যারা বানালো , কি কষ্ট টাই না করসে ! সারা দিন মাথায় মিনার এত চাপ গেছে যে মাথার চাপে মিনার শরীর ভেঙ্গে গেছে ! এখন একটু ঘুমানো দরকার ! এমন সময়ে রাজুর ফোন এলো ! ডিমের সমস্যা টার কথা মনে করিয়ে দিলো ! দিনের বাকী সময় টার ভিতর এটার একটা সমাধান করতে হবে ! কিন্তু মিনার ধৈর্য ততক্ষনে শেষ ! লাগবোনা তিন বন্ধুরে ডিম খাওয়ানো আমি আমার কলেজে গিয়ে ওয়ার্ডে খাটি ,মানব সেবা হবে ! দিন শেষে মিনা রাজুরে বললো রাজু তোমার পড়া অনেক কঠিন , মাথার উপর প্রচুর চাপ যায় , একবার মাথায় ঢুকলে শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি লাগেনা ! রাজু বললো হুম তোমার কলেজেও আমি হেব্বি কষ্ট পাইছি , তোমার টা ও কঠিন ! আসলে সব পড়াই কঠিন ! প তে পড়াশুনা তুই ঝামেলা , তুই ঝামেলা !

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.