আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বয়স ২৪ - ২৫ বনাম নায়িকা সংবাদ

যাহা পড়িবেন , নিজ দায়িত্বে পড়িবেন , আপনার মন খারাপ বা ভাল খারাপ হবার জন্য লেখক কোন অবস্থাতেই দায়ী নয়। রবীন্দ্রনাথ ১৩ বছরের বালক সম্পর্কে বলেছিলেন " ১৩-১৪ বছরের ছেলের মত এমন বালাই আর নাই " । আর আমি আজ লিখছি " ২৪-২৫ বছরের ছেলের মত এমন অভাগা আর এই পৃথিবীতে নাই " । এই বয়সটা এমন যে সময় একজন ছেলে তার জীবনের সবচেয়ে দুঃসময়টা পার করে তখন। সহ্য করে জীবনের কঠিনতম অপমান গুলো ।

আমার ভাষায় যারা পারে না তারা শহীদ আর যারা টিকে যায় তারা সফল। সদ্য পাস করে সে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চাকুরির জন্য ঘুরে হন্য হয়ে। বিদেশে যেতে চাইলেও পরীক্ষা ফি ও আবেদনের আর্থিক সংগতি এবং পরিবারের দিকে তাকিয়ে যেতে পারে না । আর্থিক অবস্থার করুন দশা তখন তার নিত্য সঙ্গী।

সফল মেধাবীর সাথে তার প্রেয়সীর বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। সে অসহায়ের মত শুনে চুপ করে থাকে। তার এক এক জন বান্ধবীর বিয়ে হয় কিন্তু সে নিমন্ত্রন টুকুতো দূরে থাক জানতে পর্যন্ত পারে না । কারন আজ কাল নিমন্ত্রন পেতেও যে যোগ্যতা লাগে । আর কে জানে , হয়ত তার উপস্থিতি তার বান্ধবীর বিয়েটাই না ভেঙ্গে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় আর স্কুল জীবনের বন্ধুদের মাঝে অনেকেই এই সময় নিজের যোগ্যতা বা মামা-চাচা / বড় ভাইদের জোরে চাকুরি একটা জুটিয়ে নিয়েই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় আমি অমুক কোম্পানিতে জয়েন করেছি। কী চাকুরী কেউ হয়ত জানে না কিন্তু সে যে চাকুরী পেয়েছে সেটাই অনেকের জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। হতাশা আর অবসাদে জর্জরিত হয়ে যুবক গান ধরে " কোথাও বাশি বাজছিল , হাওয়ারা খুব হাসছিল , আমার ছিল বন্ধ কপাট অন্ধ চোখে রাত ছিল " । এল আর বি , নগর বাউল আর শিরোনামহীন হয় তার রাত জাগার সঙ্গী। দুমড়ে মুচড়ে পড়ে ফেসবুক প্রোফাইল ।

আত্মহত্যাও সে করতে পারে না । জীবন যে একটাই , পারি দিতে হবে অনেক আঁকা বাঁকা পথ। ঘটনা এর পরেই নাটকীয় মোড় নেয়। যুবক কিনে আনে চাকুরি / জি আর ই এর বই । সব বন্ধ করে শুরু করে পড়া।

সৃষ্টিকর্তাও কেন জানি সহায় হয় তার। বছর ঘুরতেই জুটে যায় মস্ত বড় প্রতিষ্ঠানে চাকুরী। কেউ বা চলে যা আমেরিকা/ লন্ডন/ কানাডা/ অস্ট্রেলিয়া। সারাদিনের ব্যস্ততা তাকে করে দেয় যান্ত্রিক। এত কিছুর ভীরেও তার মনে হয় কার জন্য করছে সে এই সব।

সে তো চলে গেছে। হয়ত বাবা মা ও ততদিনে ইহলোক ছেড়ে চলে গেছেন। গল্প শেষ না , নতুন করে শুরু। ছেলে বিয়ে করে। ফুটফুটে এক সন্তান হয় তার।

স্বামী স্ত্রী সন্তান মিলে গাড়ি করে বেড়াতে বের হয়। নিউমার্কেটের সামনে দেখা হয়ে যায় পুরনো সেই প্রেয়সীর সাথে। স্মৃতি তখন পিছু টানে। পরিচয় করিয়ে দেয় স্ত্রী পুত্রের সাথে তার প্রেয়সীরূপ বান্ধবীকে । অগোচরে প্রেয়সীকে শুধায় " কেমন আছ ? " প্রেয়সী নিরুত্তর।

আর তার এই নির্বাক চাহনিই ছেলেকে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়। এই হল এক ছেলে আর তার নায়িকার সংবাদ। এই অবান্তর লেখা গুলো কয়েকটি মানুষের জীবনকে নিয়ে লেখা । কারোর সাথে মিলে গেলে কাকতাল মাত্র। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.