আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবকিছু স্বাভাবিক, তবে.................

কাল দুপুড় বারোটার দিকে মোহাম্মদপুর থেকে হাইকোর্ট যাচ্ছি, সায়েন্স ল্যাব মোড় পেরিয়ে এলিফ্যান্ট রোডে অল্প কদ্দুর যাওয়ার পর ট্রাফিক য্যামে আটকে গেল গাড়ী । তখনই চিৎকার চেঁচামেচি শুনে নজর গেলো রাস্তার ওপাশে, দেখি হইহই করে বিশ-পঁচিশ জন তরুণ দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে। যার অধিকাংশ ঢুকে গেল ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ানো একটি বাসে। আবার নেমেও এলো পরপরই, ততক্ষণে সিগন্যালে পৌঁছে যাওয়া আরেকটি বাসকে উদ্দেশ্য করে ছুটলো সবাই । এরপরই দেখলাম নিদির্ষ্ট একটা ড্রেস পরিহিত কয়েকজন ছেলে পড়িমরি করে ছুটে চলেছে।

তাদের পেছনে হই হই করে অনেকে। নজর গেলো 'ভালো ছাএ' চেহারার একটি ছেলের দিকে, 'কি করেছি' জাতীয় দৃষ্টি নিয়ে তাকাচ্ছিল আক্রমনকারীদের দিকে, তারপর ছুটলো প্রাণভয়ে। ডিভাইডারের কাঁটাতারে শার্ট লেগে বেচারা পড়ে গেল রাস্তায়, তারপর উঠে আবার দৌঁড়। কিন্তু ততক্ষণে ধরে ফেলেছে আক্রমনকারীরা, যাদের একটা অংশ স্হানীয় দোকানগুলোর কর্মচারী বলে অনুমান করা যায় । দৃষ্টির আড়ালে পড়ে যাওয়ায় কদ্দুর কি হলো ঠিক বোঝা গেল না।

তখন নড়ে উঠলো গাড়ীও । সন্ধ্যার পর একই রাস্তা দিয়ে আসার সময় দেখা গেল সবকিছু স্বাভাবিক, সে পথ দিয়ে আসা একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, কিছু জানে না সেও। জানি না কি হয়েছিল। পথচারীদের বিক্ষিপ্ত মন্তব্য শুনছিলাম কোন একটি কলেজের ছাএদের সাথে অন্যদের ঝামেলার জের সইতে হচ্ছে সেই কলেজের ড্রেসধারীদের, কি বিচিএ! আজ কয়েকটি পএিকা দেখলাম কোথাও এ জাতীয় কোন সংবাদ দেখলাম না। অন্যদের কাছে ঘটনা হয়তো তুচ্ছ, কিন্তু বিনা দোষে যার আক্রান্ত হলো, তারা কি কখনো ভুলতে পারবে এ স্মৃতি!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।