আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবকিছু কি এতই সহজ !!

কুয়াশার মত জীবন আমার... এই আছি তো এই নাই !! আমাদের স্কুলের বটগাছটা কাটার ব্যাপারে খবরটা শোনার পরে আমি যতটুকু খোঁজ নিয়ে জেনেছি যে খবরটা সত্যি না । আমার পাওয়া খবর ঠিক নাও হতে পারে, তোরা সবাই যার যার মত করে খবরটার সত্যতা যাচাই কর । তবে একটা সিদ্ধান্ত আমি দিয়ে দেই, অনেকের সিদ্ধান্তের সাথে হয়ত আমার সিদ্ধান্ত টুকুন মিলেও যাবে - ঐ বটগাছটা আমি কেটে ফেলতে দিবনা । হয়ত আমার ক্ষমতাটুকুন খুব অল্প, কিন্তু আমি এটাও জানি, আমার মত অল্প ক্ষমতাবানদের বিশাল,বিশা-আ-আ-আ-ল একটা অংশ তাঁদের সেই অল্প অল্প ক্ষমতা দেখাতে পারলে কি সুবিশাল, ঠিক আমাদের ঐ বটগাছটার মত সুবিশাল একটা ক্ষমতার জাহির হবে ! ঐ বটগাছটার শিকড়ে ধাঁরাল অস্ত্রের একটা কোপ দেওয়ার আগে আমার মত হাজার-হাজার লক্ষ্য-লক্ষ্য ছেলের পায়ে কোপ দিতে হবে । আর আমি মনে করি, এত ধাঁরাল আস্ত্র এখনও নাই যেটা ঐ শিকড়ে যাওয়া পর্যন্ত ধাঁরাল থাকতে পারে ।

উপরে যেগুল বললাম তার কোনটাই একবর্ণ অতিরঞ্জন নয় । সত্যি বলছি এর সবই আমাদের দ্বারা সম্ভব, কারন- WE ARE MADE BY RZS ! সংযোজনঃ শান্তি আর আরামের শহর রংপুরে আমার বাসা । ক্লাস থ্রি থেকে রংপুর জিলা স্কুলের (RZS) একজন গর্বিত ছাত্র । দিন যত বেরেছে গর্বও ততই বেরেছে । ছোট বেলা থেকেই আমাদের স্কুলের বটগাছটা দেখি আর অবাক হই- কত বড় গাছ ! আমার বাবাও এভাবেই অবাক হয়েছেন, দাদুভাই এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন না তবে তিনিও এই গাছের বিশালত্ব দেখে অবাক হয়েছেন আমি নিশ্চিন্ত ।

এই কথা বললাম আসলে স্কুলের এবং বটগাছের বয়স সম্পর্কে একটা ধারনা দেবার জন্যে । স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৩২ সালে, গাছটার বয়স সমান না হলেও খুব বেশি জুনিওর না সে !!! কিছুদিন থেকে একটা কথা শোনা যাচ্ছে, এই গাছটা নাকি বর্তমান প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান আপেল কেটে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছেন, তবে খবরটার সত্যতা এখনও যাচাই করা সম্ভব হয়নাই। উল্যেক্ষ যে জনাব মিজানুর রহমান আপেল দুর্নীতির কারনে ২০০২ অথবা ২০০৩ সালে শাস্তিযোগ্য বদলী হয়েছিলেন। যদি খবরটা সত্যি হয় তাহলে আপনারাই বলুন তো এটা কি মেনে নেওয়া যায় ? এখানে তুই করে লেখায় স্কুলের কোন বড় ভাই রাগ করবেন না প্লিজ, এই বিষয়ে সবাইকে একই কাতারে আনার জন্যেই এভাবে লেখা । পুনশ্চঃ সামুর এক সপ্তাহ কি জিনিষ সেইটা বুঝলাম গত চার মাস এক সপ্তাহ ধরে  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।