আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতঃপর স্বরচিত আরেকখান ক্যাঁচাল। ভ্যারাইটির যুগের ফসল!!! অযধা পড়িয়া সময় নষ্ট করিয়েন না.....

আমার কিছু বলার ছিল কায়সার ও রানা খুব ভাল বন্ধু। একে অপরের জন্য জান দিতে প্রস্তুত (এটা কথার কথা। প্রয়োজন হলে দিত কিনা সন্দেহ!)। তা যাই হোক, দুজনেই এক কলেজে পরে। কলেজে সবাই তাদের এক নামে চিনে।

তাদের মত ছেলেই হয় না। কলেজে কিছু হলেই সবার আগে তাদের নাম আসে। ওইতো সেদিনের কথা। নান্টু স্যারের সাইকেল উধাও! পরে স্কুলের পাশের ডোবা হতে ঊদ্ধার হয়। উদ্ধার করেছিল অন্যেরা।

কিন্তু নাম হয়েছিল দুই তপসীর। ঠিক ধরেছেন পাঠক। দুই তপসী নামে তারা পরিচিত। এমন বিভিন্ন ঘটনার জন্য তারা এলাকা-বিখ্যাত। কখন কার জন্য কি করা যাবে সেই সাধনায় তারা সদামত্ত।

তাদের এলাকায় নতুন কৃষি অফিসার এসেছেন। তার নাকি একটা মেয়ে আছে। খুবই সুন্দরী। এমন মেয়ে কি না দেখে থাকা যায়? দুই তপসী এখন সেই তপস্যায় মত্ত। কিন্তু কেউ কাউকে জানায় না।

সবার চিন্তা মনে মনে। এখন বাহিরে বের হলেই তাদের এক কথা, চল ঐ দিকে (কৃষি আফিসারের বাড়ির দিকে) যাই। একজন ঐ দিকে যেতে চাইলেই অন্যজন মনে মনে বলে, “শালা! ঐ দিকে তুই কি পাইসস?” কিন্তু বন্ধুর কথা না রেখে উপায় নেই। মনের বিরুদ্ধেই যায়। অনেক তপস্যার পরে অবশেষে ফল হয়।

একদিন দুই তপসী মিলে সেই বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ নজর পড়লো বাড়ির ছাদে। লাল জামা পরা এক মেয়ে কাপড় নাড়ছে। দেখেই দুজনের চোখজুড়িয়ে গেল। কিছুক্ষন পরে সে ছাদ থেকে চলে গেলে দুজনই স্ববাক হল।

একজন অপরজনকে, কি দেখলি? -কই? কিছুনা। চল বাড়ি যাই। এখন দুজনেরই এক তপসা। ঐ মেয়ের সাথে দেখা করতেই হবে। রানা একটা প্লেন করলো।

সে পরদিন কায়সারকে ছাড়াই গিয়ে মেয়েটিকে ছাদে দেখে একটি চিরকুট লিখে ‍ছুড়ে মারলো। চিরকুটে যা লিখাছিল, “আমি কে তা তুমি জানো না। কি করি তাও জানো না। আর জানলেই বা কি হবে? আমিতো ‍আর তোমাকে ভালবাসি না। তুমি চাইলেও আমার দ্বারা তা সম্ভব না।

আমি তোমাকে ভালবাসতে পারবো না। কারণ তুমি বেশি সুন্দরী না। তাই এখন হতে আমাকে এড়িয়ে চলবা। আমি আশে-পাশে আছি কি না তা দেখে ছাদে কাপড় নারতে আসবা। তা না হলে আমাকে উত্ত্যক্ত করার জন্যে তোমার আব্বার কাছে নালিশ দেব।

-এলাকার দাদা। ” মেয়েটি সযত্নে চিরকুটটি কুড়িয়ে নিয়ে চলে গেল। রানার আনন্দের সীমা নেই। সে সফল হয়েছে। সে বাড়ি ফিরে গেল।

কিছুক্ষন পর সেই বাড়ির সামনে দেখা গেল কায়সারকে। তার হাতেও একটি চিরকুট। তাতে লিখা, “তুমি কে তা আমি জানি না। কি কর তাও জানি না। আর জানলেই বা কি হবে? তুমিতো ‍আর আমাকে ভালবাস না।

আমি চাইলেও তা সম্ভব না। কারণ তুমি খুবই সুন্দরী। তাই এখন হতে তোমাকে এড়িয়ে চলবো। তুমি আশে-পাশে আছো কি না তা দেখে এই পথে আসবো। তা না হলে তোমাকে উত্ত্যক্ত করার জন্যে যদি আমার আব্বার কাছে নালিশ দেও! -এলাকার সবচাইতে ভাল ছেলে।

” কিন্তু এখনওতো সেই মেয়ে ছাদে এলো না। কি করবে? পরে দরোয়ানকে কিছু বখশিস দিয়ে তার হাতে করে চিরকুটটি মেয়ের কাছে পাঠায়। পরদিন সকালে যথাসময়ে মেয়েটি ছাদে আসে আর রানাও যায়। তাকে দেখে মেয়েটি একটি চিরকুট ছোড়ে ফেলে। তা দেখে রানা পকেট হতে দেয়াশলাই বের করে!!! পাঠক! কি ভাবছেন? না।

যা ভাবছেন তা নয়। দেয়াশলাই বেড় করে সিগারেট ধরাতে। মেয়েটির দিকে তাকিয়ে সুখ টান দেয়। মেয়েটি মুচকি হাসে। পরে মেয়েটি চলে গেলে চিরকুটটি তুলে নেয়।

তাতে লিখা, “আমাকে অবহেলা করো না। ০১xxxxxxxxx” রানা চলে যায়। কায়সার আসে। মেয়েটিকে সে আজও পায় না। পরে দারোয়ানের কাছ থেকে চিঠির উত্তর এসেছে শুনে কিছু বখশিস দিয়ে চিঠিটি উদ্ধার করে।

সে এক বিশাল প্রেমপত্র!!! পরে কায়সার সেখানে দাড়িয়ে থেকেই তার উত্তর লিখে দিয়ে যায়। তারপর হতে রানা প্রতিদিন মোবাইলে কথা বলে আর কায়সার এসে মেয়েটিকে না পেয়ে বখশিস দিয়ে দারোয়ানের কাছ থেকে চিঠির উত্তর উদ্ধার করে। দুই বন্ধুর মাঝে দেখা খুবই কম হয়। তারপর একদিন শোনা গেল মেয়েটির নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে!!! দুই বন্ধুরই মাথায় হাত! এর মাঝে রানাকে মেয়েটি ফোন করে বললো তার সাথে পালাবে। আর কায়সারকে চিঠি লিখল নদীর ঘাটে নৌকা নিয়ে অপেক্ষা করতে।

তাকে নিয়ে শহড়ে চলে যাবে। যথাসময়ে রানার সাথে পালিয়ে সে নদীর ঘাটে এলো। কায়সারও তখন নদীর ঘাঠে বৈঠা হাতে উপস্থিত। পাঠক!!! কি হবে এখন? মেয়েটি কার হবে? আসলে কে জয় করেছে তাকে??? মেয়েটি ঝটপট রানাকে নিয়ে নৌকায় উঠে নৌকায় ছাড়তে বললো। কায়সার অবাক হয়ে আনমনাভাবে নৌকা ছাড়লো।

যথাসময়ে শহড়ে এসে পৌছোলো তারা। মেয়েটি রানার সাথে নেমে রানাকে নিয়ে কাজী অফিসের দিকে ছুটলো। যাবার আগে কায়সারের হাতে একটি চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে গেল। তাতে লিখা, “ভাবিয়া করিয়ো কাজ, করিয়া ভাবিও না। আর আমি কিন্তু তোমাকে ঠকাইনি।

কথা রেখেছি। তোমাকে নিয়ে শহড়ে এসেছি। ” তারপর সে রানাকে নিয়ে কজী অফিসের ভেতর ঢুকলো। পাঠক! খুবই অবাক লাগছে? অরও কত কি পরবেন!!! যথাসময়ে সব রেডি হল। মেয়ের কয়েকজন বন্ধু এসেছে।

সাক্ষী লাগবেতো! কাজী সাহেব বিয়ে পড়াতে শুরু করলেন। রানার সবই কেমন অবাক ও অবিশ্বাস্ব লাগছে। সবচেয়ে অবাক ও ‍অবিশ্বাস্ব লগলো যখন পাত্রের নাম পড়া হল। না!!!!!!!! পাত্র রানা নয়! অন্যকেউ। মেয়েটি সেই মিষ্টি হাসি হেসে বলল, “ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।

আমি কিন্তু তোমাকে দেওয়া কথাও রেখেছি। তোমার সাথে বাড়ি হতে পালিয়েছি। আর আমার বিয়ের কাগজেও তোমাকে স্বাক্ষর করাচ্ছি সাক্ষী করে। ” তারপর বিয়ের কাজ শেষে মেয়েটি চলে গেল তার বরের সাথে। এদিকে বরাবরের মত এই গুণটির জন্যও গ্রমময় ছড়িয়ে গেল দুই তপসীর নাম! গ্রামে ফিরলো না কেউ।

রানা পাগল হয়ে, হয়ে গেল রানা পাগলা। আর কায়সার মাহমুদ ফেইল করে বিয়ের জন্য পাত্রি খোঁজছে!!!! মন্তব্য: মেয়ে বলে কথা!!! গালি দিয়ে প্রেম নিবেদন কর আর আদর দিয়ে প্রেম নিবেদন কর, বিয়ের আগপযর্ন্ত বিশ্বাস করো না। এটাই হচ্ছে ভ্যারাইটির যুগের ফসল!!!! আসল: ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।