আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রজন্ম একাত্তর

এ দেশের ইতিহাসে ছাত্ররা প্রতিটি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল, রাখছে, রেখে যাবে। রাজনীতিবিদদের অনুরোধ, দেখে নিন নতুন প্রজন্মকে, যে কাজ আপনারা পারেননি, তা আমরা করছি, করে যাব। এ আন্দোলন রাজনীতিবিদদের বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শনের আন্দোলন। দেখে নিন নতুন প্রজন্ম কাদের চায়, কি চায়। দেশদ্রোহীর ঠায় নাই এ বাংলায়।

সরকার যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে এ রায় নিয়ে কোন ধরনের তালবাহানা করে, এ জনগণ ছাড়বেনা, এরা নয়া প্রজন্ম এরা রাজনীতিবিদ নয়। বিএনপি আওয়ামীলীগ কোন রাজনৈতিক দলই যাতে এ আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে তা জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন নতুন করে বাংলাকে সাজাই, এইতো সময় রাজাকার আর দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার, রাজাকার দমন দিয়েই না হয় শুরু হোক আন্দোলন। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন যে রাজাকার বিরোধী আন্দোলন চলছে, তা থামবার নয়। এই যুদ্ধাপরাধীদের আর এক মুহুর্তের জন্যেও পতাকা ব্যবহার করতে দেয়া হবেনা।

নির্লজ্যরা বাংলার পতাকার যোগ্য নয়। হতে পারেনা। ছাত্র জনতা জেগে গেছে, আর রেহায় নেই। নব জাগরণের সময় এসে গেছে, নব সূর্য উদয়ের অপেক্ষা মাত্র এখন। যে আগুনে জ্বলছে পুরো বাংলায় তা জ্বলতে থাকবে, রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করুন, ফাঁসির রায় প্রদান করুন।

বিচার বিভাগে প্রকৃত পক্ষে কি হচ্ছে জনগণকে জানান, আমরা জামাত শিবির আওয়ামীলীগ অথবা বিএনপি বুঝিনা, বুঝি শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার্। এই বাংলায় ওদের ঠায় হতে পারে না না না না। । বাংলাদেশ গর্জে ওঠো, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কেউ ভেদাভেদ নেই, এটা আমাদের জাতীয় জাগরণের ইস্যু, শুধু রাজনৈতিক মুক্তির জন্যে নয়, কলঙ্ক মুছতে নয়, নতুন প্রজন্মের নব সূচনায় সূচীত হোক এই প্রজন্ম চত্বর থেকেই, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধিকজানাক এই কসাইদের। কে বিরোধী কে সরকার মোদের কাছে সব সমান, হিন্দু বা মুসলমান বৌদ্ধ অথবা খ্রিষ্টান, জাত পাতের ধার ধারিনা, বিচার হবে একটাই, ফাঁসি চাই।

এই যুদ্ধে নতুন প্রজন্মের রাজাকারদের চিনে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। দাবি এখন একটাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই। । কে বিরোধী আর কে সরকার বাল দেখার টাইম নাই। বিবেককে জাগ্রত করার সঠিক সময় এসেছে, অন্ধ মোহে রাজনীতি নয়, স্বদেশ প্রীতি প্রকাশের এইতো সময়।

এতদিন যারা দেশের অস্তিত্ব সংকটে ছিলেন, যারা প্রতিক্রিয়াহীন, প্রগতিশীল(!), সুশীল সকল রাজনীতিবিদ দলকে বলছি, সাধু সাবধান, শাহবাগ স্কয়ার দেইখা লন। । বাংলাদেশের হৃদয় হতে হৃদয়ে, বাংলাদেশের হৃদয় এখন শাহবাগ। গণজাগরনের মাধ্যমেই ফাঁসি হবে, আই রিপিট ফাঁসি হবে। বাঙ্গালি জাতি ও সংস্কৃতির ভিত্তি এতটাই গভীরে স্থিত যে,দু-চারটি ভাস্কর্য টেনে- হিচড়ে নামিয়ে বা চাপড়াশি- চাড়ালি বক্তৃতা দিয়ে এ জাতির শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটানো ছাড়া আর কিছুই করা সম্ভব না ।

যা বোঝা গেল, গনজাগরণের মাধ্যমেই ফাঁসি বাস্তবায়ন করা হবে। জরুরি ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, গণমুখী, গণতান্ত্রিক ৩য় শক্তির উত্থান চাই। কোন চশমা কিংবা নাগ্রা পরা ডিকটেটর চাই না । এ এক নতুন যুদ্ধ, পাকিদের বিরুদ্ধে নয় তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে নয়, এ যুদ্ধ আমার মা বোনদের ইজ্জত লুন্ঠণকারীদের বিরুদ্ধে, এ যুদ্ধ লক্ষ শহীদের আত্মার শান্তি কামনায়, এ যুদ্ধ শত হাজার নারীর সম্ভ্রমহারা কষ্টের জ্বালা লাঘবের বিরুদ্ধে, এ যুদ্ধ তথাকথিত মানবতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে নয় মানব সভ্যতায় কলুষিত চরম ঘৃণ্য এক দল পশুর বিরুদ্ধে, ইতিহাসকে নতুন করে লিখার জন্য এ যুদ্ধ। যুদ্ধে যুদ্ধে নতুন এক অধ্যায় সৃষ্টির লক্ষ্যে।

যারা জানেনা সেই দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী ন মাস যুদ্ধের কথা, যারা জানেনা সম্ভ্রম হারানোর দু:খ কি, যারা জানেনা বাংলাদেশের মানে কি, যারা জানেনা স্বাধীনতার মানে কি, যারা জানেনা বিজয়ের অর্থ, তাদের নতুন করে জানাতে এ যুদ্ধ, এবং নতুন প্রজন্মের জন্য এ যুদ্ধ। এ যুদ্ধ শান্তির যুদ্ধ। ক্ষোভের যুদ্ধ, ফাসির যুদ্ধ। আমরা রাজপথে আছি, থাকবো ফাঁসির দাবী আদায় করেই। জয় বাংলা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.