আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটের সম্মেলনে ১৮ বিদেশি আলেম ॥ রাষ্ট্রীয় অতিথি নেই

এই ব্লগটি নোমান বিন আরমান'র দায়িত্বে প্রবর্তিত। এখানে মাঝেমধ্যে তিনি আসেন। numanbinarmanbd@gmail.com নোমান বিন আরমান : ঐতিহ্য বদলাতে শুরু করেছে কওমি শিার ‘দস্তারবন্দী’ সম্মেলন। এদেশের শিাবোর্ডের সম্মেলন হলেও রাষ্ট্রীয় কোনো সংশিষ্টতাই এতে নেই। নেই রাষ্ট্রীয় কোনো অতিথিও।

অতীতে রাষ্ট্রপ্রধানদের অতিথি রাখা হলেও এবার হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে সে ধারা। শুধু বিদেশি আলেমকেন্দ্রিকই হচ্ছে এবারের দস্তারবন্দী সম্মেলন। নোমান বিন আরমান সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা ও ভারতের পার্লামেন্টারিয়ানসহ বিদেশের ডজনখানেক শীর্ষ রাজনৈতিক ও ইসলামি নেতৃবৃন্দ সিলেটে আসছেন ফেব্র“য়ারির শুরু দিকেই। রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর পর পরই প্রটোকল অধিকারী ব্যক্তিত্ব পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতার আগমন আয়োজকদের প থেকে ‘নিশ্চিত’ করা হলেও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) তাদের আগমন সম্পর্কে কিছুই জানে না। জানে না তাদের নিরাপত্তায় কী ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এমন কি তাদের আসার সংবাদও পুলিশ প্রশাসনের কাছে নেই। সম্মেলনকে সফল করতে প্রেস কনফারেন্স ও নগরীতে পোস্টার সাঁটানো হলেও বিদেশি নেতাদের বিশাল বহরের আগমন সম্পর্কে পুলিশ প্রশাসন অন্ধকারে রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও সরকারি কোনো অনুমোদন হাতে না পেলেও আয়োজকরা জানিয়েছেন যথাসময়েই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আগামি ৯ ফেব্র“য়ারি শুরু হচ্ছে ৩দিনব্যাপী সে সম্মেলন। সিলেট কেন্দ্রিক কওমি মাদরাসা শিাবোর্ড আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালিম’র ৩০ শালা দস্তারবন্দী (কওমির হাদিস সমাপনী পরীায় উত্তীর্ণ ও কুরআনের হাফিযদের রুমাল প্রদান) সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা মাওলানা ফাযলুর রাহমান (মুফতি মাহমুদ রাহ. ছেলে) ও ভারতের রাজ্যসভার সদস্য ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ (এই দলের প্রেসিডেন্ট মাওলানা উসমান) এর সেক্রেটারি সাইয়িদ মাওলানা মাহমুদ মাদানি।

এছাড়া ইসলামি নেতৃবৃন্দর মধ্যে রয়েছেন, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর সদর (প্রেসিডেন্ট) আলামা সাইয়িদ আরশাদ মাদানি, দারুল উলুম দেওবন্দ এর মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসিম নোমানি, দারুল ঊলুম দেওবন্দ এর উস্তায মুফতি জামিল আহমদ, পাকিস্তানের সাইয়িদ মাওলানা আবদুল মাজিদ নদিম, সৌদি আরবের শায়খ আবদুল হাফিয মাক্কি, ভারতের সায়্যিদ আসজাদ মাদানি, যুক্তরাজ্যের মাওলানা বিলাল বাওয়াসহ ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যের ডজনখানেক শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এর সাথে অনুষ্ঠানে অমন্ত্রিত বাংলাদেশির তালিকায় রয়েছেন ২৫ আলেম। সম্মেলন উপলে আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালীম’র প্রকাশিত অতিথিদের নামসম্বলিত যে প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে, সম্মেলনে যোগ দিতে বর্হিবাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক আলেম আসছেন যুক্তরাজ্য (ইংল্যান্ড) থেকে। প্রচারপত্রের ৪৩ জন আলেমের মধ্যে ভারতের ৫ জন, পাকিস্তানের ২জন, সৌদি আরবের ১ জন এবং যুক্তরাজ্যের রয়েছেন ১০ জন। এই তালিকার বাইরেও মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, পাকিস্তান, ইউরোপ ও আফ্রিকা থেকে অনেক শীর্ষ আলেম সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে প্রচারপত্রে উলেখ করা হয়েছে।

তবে তাদের কারও নাম জানাতে পারেনি বোর্ডসূত্র। ভারত ও পাকিস্তান থেকে সিলেটে আলেম-উলামাদের সফর একটি সংস্কৃতির মতো হয়ে গেলেও এই প্রথম যুক্তরাজ্য থেকে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক আলেমকে অতিথি হিসেবে দেখা যাচ্ছে সিলেটের কোনো প্রোগ্রামে। অতীতের প্রোগ্রামগুলোর সাথে সংশিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও কওমি মাদরাসাগুলোর তীর্থপ্রতিষ্ঠান দেওবন্দ’র অবস্থান ভারতে হওয়ায় সে দেশ থেকে সিলেটে আলেম-উলামার আগমন একটি রীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এই ধারা ভারতবর্ষে যেমন ছিলো, অব্যাহত ছিলো পাকিস্তান আমলেও। সিলেট পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হলেও এ অঞ্চলের ইলমি সম্পর্কটা ভারতের সাথেই সবসময় জোরালো ছিলো।

এ ধারা এখনো রয়েছে। ভারতভাগের আগ থেকেই এঞ্চলের গভীর সম্পর্ক ছিলো রাসূল সা. পরিবারের সদস্য হযরত মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানির সাথে। তিনি ১৯২৩ সালে সিলেটে এসে ২৮ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেন। বর্তমানের নয়াসড়ক এলাকার (লায়ন্স চু হাসপাতালের পাশে) মারকাযি মাদরাসা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। মরহুম স্পীকার ও আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী মাওলানা মাদানির সে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের’ শিষ্য ছিলেন।

এছাড়া নামিদামি অনেকেই মাওলানা মাদানির কাছে শিাগ্রহণ করেছেন। তার সে প্রতিষ্ঠানের ভাবধারায় ১৯২৪ (সাম্প্রতিক তথ্য ১৯৪১) সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আযাদ দ্বীনী এদারা। এবোর্ডের সাথে আসামের কিছু প্রতিষ্ঠানও জড়িত ছিলো বলে জানা গেছে। শাহজালাল রাহ.’র পর ভারতে বসবাসরত রাসূল সা. পরিবারের সদস্যদের মেহনত ও মোজাহাদায় সিক্ত হয়েছে সিলেটের সবুজ জমিন। শিকড় গেড়েছে ইসলামের।

রাসূল পরিবারের সেই সদস্যদের মধ্যে মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানির নাম সবার শীর্ষে। হুসাইন আহমদ মাদানির ইন্তেকালের পর এই হাল ধরেন তাঁর সন্তানেরা। এই ধারাটির প্রভাবই ছিলো সবসময় বেশি। কিন্তু আযাদ দ্বীনী এদারার আগামি সম্মেলনে যুক্তরাজ্য থেকে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক আলেমের আগমনে সংশিষ্ট অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একটি শিাবোর্ডের ৩০ বছরের সম্মেলনে অতিথির তালিকায় ‘যুক্তরাজ্যে’র প্রাধান্যে প্রশ্ন উঠেছে, ইলমে সম্পর্ক কী তবে এবার দেওবন্দ থেকে বিদেয় হয়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছে! তবে একটি সূত্রে জানা গেছে ‘আর্থিক সহযোগিতার’ কারণেই হঠাৎ করে যুক্তরাজ্যে এতো বিপুল সংখ্যক আলেমের অভির্ভাব হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে বিশেষ একটি দলের প্রভাবে আচ্ছন হয়ে পড়ে এদারা। মাওলানা মাদানি রাহ উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের লে ‘এদারার’ যে স্বপ্ন দেখে ছিলেন দিনদিন তা হারিয়ে যাচ্ছে। এখানে অন্য কেউ অন্য স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ করে দিচ্ছেন। এই সম্মেলনের আয়োজন থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত সকল কর্মকান্ড ও প্রকাশনায় সেই চাপ স্পষ্ট বলে মনে করছেন অনেকে। নিজেদের মধ্যে ভিবেদ আরও বাড়বে এই শঙ্কায় স্বনামে কথা বলতে অনিচ্ছুক এদারারই অনেক আলেম সবুজ সিলেটকে বলেছেন, কোনো দল ও বিশেষ কারও একার প্রতিষ্ঠান নয় এদারা।

এরপরও একটি দলের প্রভাব ও ব্যক্তিবিশেষের ফোকাসই চোখে পড়ার মত ঠেকছে। এতে করে উম্মার ঐক্যচিন্তার মূলনীতিটা ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন তারা। তারা বলেন, এর আগে এদারার প্রথম দস্তারবন্দী সম্মেলন হয়েছিলো ১৯৮৩ সালের মার্চে। এটি ছিলো ৫৯তম সম্মেলন। এ সম্মেলনে অপরাপর বোর্ডগুলোকে এক করার ও সাথে নিয়ে কাজ করাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছিলো।

কিন্তু এবার তেমনটি হয়েছে বলে চোখে পড়েনি। এছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় অতিথি করার ‘একপেশী’ চিন্তার কারণে দস্তাবন্দী এখন দলীয় শোডাউনে রূপ নিতে যাচ্ছে। আমন্ত্রিতদের তালিকা বিশেষণ করে তারা বলেছেন একটি দলের রাজনীতির বাইরে শীর্ষ নেতা হিসেবে খেলাফত আন্দোলনের আহমদ উলাহ আশরাফের নাম রয়েছে। কিন্তু এদারার শিা ও আদর্শের সাথে মিল থাকার পরও অন্য ইসলামি দলগুলোর কারও নাম আমন্ত্রণপত্রে দেওয়া হয়নি। অথচ জাতীয় ও নির্দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এদার দস্তারবন্দী সম্মেলনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি ছিলো।

এতে করে এদারা পপাতদুষ্টর অভিযোগ থেকে মুক্তি পেত। সম্মেলনে আসত সার্জজনীনতার ছাপ। এমনটি করতে না পারাকে বড় ধরণের ত্র“টি বলে আখ্যায়িত করছেন মাদরাসা সংশিষ্ঠারা। এছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কোনো অতিথির সম্মেলনে অংশগ্রহণ না থাকায় সমালোচনা হচ্ছে। এদারার প্রথম যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো তাতে অতিথি করা হয়েছিলো তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে।

অবশ্য তিনি প্রোগ্রামে না এলেও ধর্মমন্ত্রী মাহবুবুর রহমানকে পাঠিয়েছিলেন। ধর্মমন্ত্রী সম্মেলনে এদারার উন্নয়নে সরকারের ফান্ড থেকে ৫ লাখ টাকার অনুদান প্রদানের আশ্বাস দিলেও এখনো তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওই সম্মেলনের প্রচার ও মিডিয়া সমন্বয়ক জমিয়ত নেতা মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়ুপুরী। বোর্ডে সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এই সম্মেলনে রাষ্ট্রীয় কোনো অতিথিই থাকছেন না। শিামন্ত্রীর সাথে আলাপের পর তার অপরাগত ও অর্থমন্ত্রীর সাথে দুয়েকদিন হলো (শুক্রবার সন্ধ্যায় পাওয়া তথ্য) প্রাথমিক যোগাযোগ করা হয়েছে বলে বোর্ডসূত্র দাবি করেছে। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর তরফে কী আশ্বাস দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে, মাওলানা এনামুল হক বলেন, এতো ‘খুঁটিনাটি’ জিজ্ঞেস করছেন কেন? তবে একাধিক সূত্রের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, শিামন্ত্রী তো না-ই অর্থমন্ত্রী বা রাষ্ট্রীয় কোনো অতিথিই থাকছেন না এবারের এদারার সম্মেলনে।

মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো, এদারর প্রথম ও এবারের দস্তারবন্দী সম্মেলন মধ্যে মৌলিক কোনো তাফৎ দেখছেন কি না। তিনি বলেন, এবারের আয়োজনে কিছুটা ‘খলল’ (ত্র“টি) পরিলতি হচ্ছে। সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটিতে ‘অনবিজ্ঞরা’ রয়েছেন তাই এমনটি হয়েছে বলে উলেখ করেন তিনি। কেন এই দস্তার : প্রশ্ন উঠেছে এদারা কেন দস্তারের আয়োজন করলো। শুধু পাগড়ি আর রুমাল প্রদান থেকে কী পাবে জাতি? সব প্রশ্নের পাশাপাশি আলোচনা হচ্ছে এর একটি স্থায়ী ম্যাসেজ’র জন্যও।

তরুণ ও বিদগ্ধ আলেমরা বলছেন, কওমি শিার গুণগত পরিবর্তন, আধুনিকায়ন, ও সনদের স্বীকৃতির যে দাবি রয়েছে তা বাস্তবায়নে যদি এই সম্মেলন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে তবেই এই শ্রম আর আয়োজন সার্থক হবে। এধরণের সফলার জন্য প্রয়োজন ছিলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তাদের উপস্থিত করে কওমির শিকড় ও শক্তি সম্পর্কে সরাসরি ধারাণা প্রদান। এমনটি হলে স্বীকৃতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কার্যক্রর ভূমিকা রাখতো। কিন্তু এমন কোনো উদ্যোগ না থাকায় প্রায় কোটি টাকার এই আয়োজনের স্থায়ী অর্জন নিয়ে শংসয়ই থাকলো। এরমধ্যে সহজে সম্মেলন হওয়া নিয়ে একধরণের শংসয় রয়েছে।

কারণ এখনো প্রশাসন এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। এ ব্যাপারে জানতে এসএমপির কমিশনার অমূল্য ভূষণ বড়োয়াকে ফোন করলে তিনি ছুটি আছেন এবং উপ-পুুলিশ কমিশনারের সাথে আলাপ করার পরামর্শ দেন। উপ-পুলিশ কমিশনার জিয়াউল হক গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সবুজ সিলেটকে বলেন, আমি এসম্মেলনের ব্যাপারে কিছুই জানি না। অনুমোদনের ব্যাপারে তিনি বলেন আগে দেখতে হবে রাষ্ট্রীয় অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না। তার আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

তবে এদারা সূত্রে জানানো হয় ১২ জানুয়ারি সস্মেলনের অনুমোদনের জন্য এসএমপিতে আবেদন করা হয়েছে। এবং আবেদনের কপি রিসিভও করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে এদারার বক্তব্য নেওয়ার জন্য মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বাসিত বরকতপুরী সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ্য। সম্মেলনের প্রস্তুতির অগ্রগতি সম্পর্কে কিছুই জানি। অসুস্থ্যতার কারণে তাকে এর বেশি কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নি।

সভাপতি মাওলানা হুসাইন আহমদ বারকোটিও অসুস্থ্য বলে তাকেও ফোন করা হয়নি। সর্বশেষ এদারার পে সবুজ সিলেটের সাথে কথা বলেন মাওলানা এনামুল হক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় এখানে কাউকে দাওয়াত করা হয়নি। যারা সমালোচনা করছেন তারাই রাজনৈতিকভাবে বিষয়টিকে দেখে সমালোচনা করছেন। যুক্তরাজ্য’র অতিথি সম্পর্কে তিনি বলেন, এরা এদারার ফারিগ ও নানাভাবে এদারাকে সহযোগিতা করছেন বলে তাদের অতিথি করা হয়েছে।

বিদেশি অতিথিদের পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, লিফলেটে যা লেখা রয়েছে এর বাইরে কিছু বলতে পারবো না নোমান বিন আরমান স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক সবুজ সিলেট ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।