আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলোচিত কিছু শেষ আলোকচিত্র

Chris Benoit (1967-2007) কানাডার বিখ্যাত পেশাদার রেস্লার Chris Benoit,সে জড়িত ছিল ECW, WCW, এবং WWE এর সাথে। সে রেস্লিং জগতে ১৬ বার নানা ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল,যার মধ্যে দুই বার WWE world heavyweight titles এবং একবার WCW championship. ২০০৭ সালের ২৫শে জুন Chris Benoit ,তার স্ত্রী Nancy এবং ৭ বছরের সন্তান Daniel কে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ তার তাদের বাড়ী থেকে। তদন্তে জানা যায় Chris Benoit তার স্ত্রী এবং সন্তানকে হত্যা করে নিজে এক্সারসাইজ কর্ড দিয়ে ফাঁসী দিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনার আগে Chris Benoit এক ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েছিলেন,সেখানে তার এক ভক্ত সেলফোনে তার একটি ছবি তুলে রাখে,আর এটাই Chris Benoit এর তোলা শেষ আলোকচিত্র। Manfred von Richthofen (1892-1918) “Red Baron.” নামে খ্যাত জার্মান ফাইটার পাইলটের আসল নাম Manfred von Richthofen,যিনি প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে ৮০টিরও বেশী আকাশ যুদ্ধে জয়ী হয়ে ফিরেছিলেন।

১৯১৮ সালের ২১শে এপ্রিল সকাল ১১ টার সময় শত্রুদের গোলায় বিমান ধ্বংস হয়ে মারা যান তিনি। মিশনে যাবার আগে তৈরি হবার সময় তার এক সহযদ্ধা তার একটি ছবি তুলে রাখে,আর সেই ছবিটাই তার জীবনের শেষ আলোকচিত্র হিসেবে ঠায় করে নেয় ইতিহাসের পাতায়। Jeffrey Miller (1950-1970) মিশিগান স্টেট থেকে কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ট্রান্সফার হয়ে আসে Jeffrey Miller,যোগদানের কিছুদিনের মধ্যে সবার মাঝে পরিচিত হয়ে ওঠে একজন প্রতিবাদী হিসেবে। আমেরিকার যুদ্ধবাজ মনোভাবের জন্য বিশেষ করে কম্বোডিয়ায় আমেরিকান সৈন্যদের ভুমিকায় ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করে নানা স্থানে,১৯৭০ সালের ৪ঠা মে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে গুলি চালায় সেখানকার গার্ডরা,মারা যায় ৪ জন আর আহত হয় ৯ জন,এর মধ্যে মারা যাওয়া একজন হল Jeffrey Miller,সে গুলি লেগে পড়ে গেলে সেই মুহূর্তের ছবিটা তুলে নেন John Filo ,ছবিতে দেখা যায় মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়া Jeffrey Miller এর পাশে চিৎকার করে কাঁদছে এক ছাত্রী,ছবিটা পত্রিকায় আসলে সারা আমেরিকায় ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আসে। আর ছবিটা হয়ে যায় আমেরিকার ইতিহাসের একটি অংশ।

MV Wilhelm Gustloff (1945) MV Wilhelm Gustloff ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির একটি প্যাসেঞ্জার জাহাজ। মুলত এটি ছিল হাসপাতাল জাহাজ। যুদ্ধের সময় সাধারণ যাত্রিদের পাশাপাশি নৌ বাহিনীর লোকদেরও স্থান ছিল জাহাজটিতে। ১৯৪৫ সালের ৩০শে জানুয়ারি সোভিয়েত সাবমেরিন S-13 থেকে তিনটি টর্পেডো ছোড়া হয় MV Wilhelm Gustloff এ,৯,৪০০ জন নিয়ে ডুবে যায় জাহাজটি। বাল্টিক সাগরে এখনও ডুবে আছে জাহাজটির কাঠামো।

জাহাজটির শেষ ছবিটি তোলা হয় জাহাজটি কিছু জেটি থেকে ছেড়ে যাবার কিছু পর। Salvador Allende (1908-1973) চিলির প্রথম কমিউনিস্ট প্রেসিডেন্ট সালভেডর আলেন্দে খুবই পরিচিত একটি নাম রাজনৈতিক ইতিহাসে। প্রায় তিন বছর প্রেসিডেন্ট থাকার প্রথম দিন থেকেই আমেরিকা খুব ভালভাবে নেয়নি তাকে,আর তাই নানা সংকট মোকাবেলা করতে হয় তাকে। বিশেস করে শেষ কিছুদিন নিজের নিরাপত্তা নিয়েও খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ এর ১১ই সেপ্টেম্বার যেদিন তাকে হত্যা করা হয় সেদিন তার তোলা শেষ ছবিতে তাকে দেখা যায় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ছাড়াও তার কাধে ঝোলানো একে-৪৭।

হত্যার পর সরকারি ভাবে জানানো হয় আত্মহত্যা করেছেন তিনি কিন্তু কোথায় বা কি কারনে আত্মহত্যা করেছেন তার কোন বিবরণ দেওয়া হয়নি। Tupac Shakur (1971-1996) র‍্যাপ সঙ্গীতের অন্যতম জনপ্রিয় ও হিট গায়ক হিসেবে সারা দুনিয়ার একজন হল Tupac Shakur,সেলিব্রেটিদের মধ্যে আয়ের দিক থেকেও ছিলেন উপরের সারিতে। ১৯৯৪ এ পাঁচবার তাকে গুলি করা হয়,কিন্তু বেচে যায় সে। ১৯৯৬ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর লাসভেগাসে ছিল মাইক টাইসনের বক্সিং ম্যাচ। ম্যাচ দেখে গাড়িতে করে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি,এক পাপারাজ্জি ছবি তোলে গাড়ি রওয়ানা দেবার সময়।

এর ঠিক ২০ মিনিট পর গুলি করা হয় ৪টি। কিছুদিন পর হাসপাতালে মৃত্যু ঘটে তার। আর পাপারাজ্জির তোলা সেই ছবিটি হয়ে যায় ইতিহাস। Michael Jackson (1958-2009) Michael Jackson কে চীনে না বা জানেনা এমন লোক দুনিয়ায় বিরল। ২০০৯ সালের ২৫শে জুন অজ্ঞান অবস্থায় এ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় TMZ তার একটি ছবি তুলতে সমর্থ হয় আর তার হাসপাতালে মৃত্যুর কথাও প্রথম প্রচার করে তারা।

John Lennon (1940-1980 The Beatles এর প্রতিষ্ঠার অন্যতম রুপকার ও ২০০২ এ বিবিসির সর্বকালের সেরা ও ১০০জন মিউজিশিয়ানের তালিকায় লেলন ছিলেন অষ্টম। ১৯৮০ সালের ৮ই ডিসেম্বার Mark David Chapman চারটি গুলি করেন লেলন কে পিছন থেকে। গুলি করার ঠিক কিছু মুহূর্ত আগে একজন ছবি তোলেন লেলনের,এটাই এই কিংবদন্তীর তোলা শেষ আলোকচিত্র।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।