আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ড্রাইভার থেকে..

ড্রাইভার থেকে পেশাদার গাড়ি ছিনতাইকারী হয়ে উঠেছে তারা বার বার গ্রেফতার হলেও জামিন পায় সহজে সাইফ বাবলু ড্রাইভার থেকে এক সময় তারা হয়ে উঠে পেশাদার ভয়ংকর ছিনাতইকারী। পুরো রাজধানীরজুরে চলে তাদের ছিনতাইয়ের রাজত্ব। প্রাইভেট কার, মোটর সাইকেল থেকে শুরু করে অস্ত্রের মুখে তারা টাকা স্বর্ণলংকার সহ বড় ধরনের ছিনতাই করে নির্ভিগ্নে। কথিত দলনেতার নির্দেশে ছিনতাই কাজে তাদের রয়েছে একাধিক সদস্য। অস্ত্রের যোগান দেয় দলনেতা।

দল নেতার সাথে কখেনো সরাসরি দেখা না হলেও মোবাইলে বা দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের নিয়ন্ত্রনে এ গ্রুপটি ছিনতাই কাজে জড়িত। গত ৬ জানয়ারী গ্রেফতার হওয়া গাড়ি ছিনতাইকারী দলের সদস্য নুর আলম হাবু ও আবু সিদ্দিক ছিতাইকারী হওয়ার পর কিভাবে ছিনতাই করে তার বর্ণনা দেন সাংবাদিকদের কাছে। গতকাল শনিবার ড্এিমপির মিডিয়া সেলে গ্রেফতার হওয়া এ দুই ছিনাতইকারী সাংবাদিকদের মুখোমুখি করা হয়। ছিনতাইকারী দলের সদস্য নুর আলম হাবু নবরাজকে জানায়, গত ৩ জানুয়ারী ও এর আগে গত ১০ অক্টোবর গাড়ির চালককে কুপিয়ে জখম করে তারা প্রথক দুটি কার ছিনতাই করে। দলনেতা গিরা নজরুলের নির্দেশে তারা প্রাইভেট কার ছিনতাইয়ের পর তা নিয়ে পল্লিবির একাটি গ্যারেজে নিয়ে রাখে।

তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। কয়েক বছর আগে ঢাকায় আসার পর মোহাম্মদপুর ও গাবতলি এলাকায় সে ট্যাক্সি ক্যাব চালাতো। সে সুবাদে পরিচয় হয় ট্যাক্সিক্যাব ড্রাইভার নজরুল ওরপে গিরা নজরুলের সাথে। গিরা নজরুলই তাদের এ কাজে নিয়ে আসে। এক সময় নজরুল ট্যাক্সিক্যাব চালালেও পরে সে গাড়ি ছিনতাই কাজে জড়িয়ে পড়ে।

পরে একাধিক সদস্য তৈরি করে সে গাড়ি ছিনতাই গ্রুপের দলনেতা হয়ে উঠে। নুর আলম হাবু ও আবু সিদ্দিকের দেওয়া তথ্য মতে গত ৩ জানুয়ারী রাজধানীর তেজগাও শিল্পাঞ্চল এলাকার একটি সিএনজি পাম্প থেকে সুমন নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করে এফ প্রিমো মডেলের প্রাইভেট কার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ আগে গত ১০অক্টোবর রাজধানীর কলাবাগান থেকে চালককে কুপিয়ে ছিনতাই কারা হয় জি করল্লা মডেলের অরেকটি গাড়ি। পরে ছিনতাই করা গাড়ি দুটি পল্লবি থানার একটি গ্যারেজে রাখা হয়। তারা গ্রেফতার হলেও মাঠে তাদের গ্রুপের সদস্য চানমিয়া, সাভারের নজুরুল, মাসুদ, শাহে আলম, আলমগির, গিরা নজরুল রয়েছে।

আলমগির ও আজাহার গত ২ জানুয়ারী গ্রেফতার হয়েছে। গিরা নজরলই হ”েছ তাদের দলনেতা। তাকে কখনো দেখেনি। তার সেকেন্ড ইন কমান্ড টুন্ডা মাসেুদের মাধ্যমে তারা গিরা নজরুলের হয়ে কাজ করে। প্রত্যেকটি ছিনতাইয়ের জন্য তাদেরকে দেয়া হয় ৫ হাজার টাকা।

মামলায় গ্রেফতার হলে পরিবারের লোকজন তাদের টাকা পয়সা খরচ করে জামিনে মুক্ত করে আনেন। গ্রেফতারকৃতরা আরো জানায়, পল্লবি থেকে ছিনতাই হওয়া দুটি প্রাইভেটকার ও ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ নুর তাদের গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। ডিবি সূত্র জানায়, ডিবির গাড়ি চুরি ও ছিনতাই প্রতিরোধ টিমের (দক্ষিন) সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে এ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। ছিনতাইয়ের সময় তারা সুমন ও অপর এক ড্রাইভারের পায়ে আঘাত করে গাড়ি ছিনতাই করে। তাদের আঘাতের কারণে সুমন ও অপর ড্রাইভারের পা কেটে ফেলতে হয়েছে।

তারা পঙ্গু হয়ে পড়ে। পরে কৃতিম পা সংযোজন করে। এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির ডিসি(দক্ষিন) মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত নুর আলম হাবু ও আবু সিদ্দিক গিরা নজরুলের গ্রপের কাজ হয়ে করে। এরা ডিবির পরিচয় দিয়ে রাজধানীর কলাবাগান, ধানমন্ডি গুলশান, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় আগ্নেআস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে গাড়ি ছিনতাই করে। কখনো কখনো এরা ছিনতাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট গাড়ির চালক ও মালিককে হত্যাও করে থাকে।

এর আগেও এরা একাধিক বার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। পরে জামিনে বের হয়ে ছিনতাই শুরু করে। তিনি আরও জানান, গত ৬ জানুয়ারী কলাবাগান থানায় দায়ের হওয়া গাড়ি ছিনাতই মামলার সূত্র ধরে রাতে কলাবাগান এলাকায় অভিযান চালায় ডিবির সদস্যরা। এ সময় নুর আলম হাবু ও মোঃ সিদ্দিককে গ্রেফতারকে ব্যাপক ডিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ছিনতাই করা গাড়ি সম্পর্ক্যে তথ্য দেয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি ২ টি পল্লবি থানার একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়।

ওই সময় গাইড়র মধ্য থেকে ২ টি রিভলবার, ১৪ রাউন্ড গুলি ৩ টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। নুর আলম হাবু ও সিদ্দিক ডিবিকে জানায়, এসব অস্ত্র ও গুলি গিরা নজরুলই তাদের দিয়েছে। গাড়ি ছিনতাইয়ের পর তারা এসব অস্ত্র ও গুলি গাড়ির মধ্যে রাখে। এর আগে ২ জানুয়ারী রমনা থানা এলাকা থেকে একটি রিভালভার, ৫ রাউন্ড গুলি ২ টি ওয়াকিটকি সহ গ্রেফতার করা হয় মোঃ আজাহার ও আলমগির নামে দুই ছিনতাইকারী। গ্রেফতারকৃত আজাহর ও আলমগির একই গ্রুপের সদস্য হলেও তারা ভূয়া ডিবি সেজে বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই কাজে দীর্ঘদিন জড়িত।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয় ঠিকই। কিš‘ আদালতের মাধ্যমে এরা জামিনে বের হয়ে যায়। গ্রেফতারের পর এরা জামিন পায় কেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি মনিরুল বলেন, আমরা জনগনের ট্যাক্সের টাকায় চলি। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। জামিন দেওয়ার বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতের ব্যাপার।

বর্তমানে চোর- পুলিশের খেলা চলছে। কারণ ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে প্রমাণসহ আদালতে পাঠালেও তারা জামিন পেয়ে যায়। এদের পিছনে শক্তিশালী গ্রুপ কাজ করে হয়তো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।