আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নায়িকার ফটো খিঁচতে তার চরম আনন্দ।

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি-১৪ এলোচুলে এগিয়ে এলন তিনি। নাম ডাক চারিদেক তার। তাই একটু সমীহ করেই কথা বলতে হয়।

তার অভিনয়ও আমার পছন্দ। ২০০০ সালের এক দুপুর তার সাথে মুখোমুখি হলাম, তাজমহল রোড়ে তাদের বাসার বসার ঘরে। আমি উল্টো দিকের সোফায় বসা, বার বার অনুরোধ করলেন তার পাশে বসার জন্য। আড়ষ্ট আমি। এতটা কাছাকাছি হতে চাই না।

শেষ পর্য়ন্ত বাধ্য হলাম। তখন আমার বয়স কত হবে? ১৯ কি ২০। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ শেষের দিকে ঘটনা এটি। 'টি ' অদ্যাক্ষরের এ নায়িকা এখন ভীষন নাম করা। তার পাশে বসে কথা বলছি, ফ্যানের বাতাসে তার এলা চুল আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।

একটা অস্বস্তি আমার মধ্যে। তার ওপর তাকে যে সব প্রশ্ন করছি সে সব তার পছন্দ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি খেতে পছন্দ করেন, কি রং প্রিয় এ টাইপের প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু আমি তার জন্য রেডি করে নিয়েছি ভিন্ন প্রশ্ন, বাংলা নাটকের গল্প, মান ও অভিনয় নিয়ে এ সব প্রশ্ন শুনে উত্তর দিচ্ছিলেন। আর কথায় কথায় অবিয়াসলি বলছিলেন।

আমার ফটোজার্নালিস্ট সমানে ফটো খিঁচছেন। নায়িকার ফটো খিঁচতে তার চরম আনন্দ। অনেক ক্ষণ পরে আমরা তার বাসা থেকে বের হলাম, কবে এটি ছাপা হবে তাও জানতে চাইলেন। আমার বিনোদন সাংবাদিকতার জীবনের প্রথম দিকের ঘটনা এটি। এর আগে আরো অনেকের কাছে গেছি।

তবে সবচেয়ে পরিশীলিত মনে হযেছে শিল্পী বশির আহমেদের পরিবারকে। পুরো পরিবারই গান করেন। বশির আহমেদের সাক্ষাৎকার নিতে গেছি। ফোনে আমার গলা শুনে বলেছিলেন, যেতে। যাওয়ার পর আমার চেহারা দেখে উনি তো টাসকি।

এতো পুলাপাইন। এর কাছে কিসের সাক্ষাৎকার দিব। এটা ভদ্রভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু আলোচনার ভেতর দিয়ে অনেক খবরই জানলেন। সঙ্গীত সম্পর্কে আমি কিছু জানি কিনা সেটাও যাচাই করে নিলেন।

এটা ছিল আমার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেদিন তার কন্যা হোমায়রা বশিরের সাক্ষাৎকার নিয়ে ফিরলাম। তার ছেলে রাজা বশির ও স্ত্রী মিনা বশিরের সাথে আলাপ হযেছে অনেক্ষণ। সঙ্গীতের প্রতি আমার টান দেখে মুগ্ধ বশির আহমেদ। আমি লজ্জা পাচ্ছি।

তিনি বললেন, 'তুমি সময় পেলেই আমার বাসায় আসবে। তোমার সাথে আলাপ করে ভালো লাগলো। এই যামানার একটা ছেলে ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতের খবর রাখে, এটাই আমাকে মুগ্ধ করেছে। ' তাদের সাথে আমার অনেক দিন যোগাযোগ ছিল। পরে বিনোদন সাংবাদিকতা ছেড়ে দেয়ার পর আর আলাপ ছিলনা, এ জন্য দুপক্ষই দায়ি।

!!! পরের কিস্তিতে অন্য গল্প শোনাবো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.